বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০১৪

বর্তমানে মুসলমানদের দুরাবস্থার কারণ

বর্তমানে মুসলমানদের এত দুরাবস্থার কারণ যদি বের করতে চান তবে বের হবে মুসলিম নামধারী মুনাফিক। কাফির-মুশরিকরা কখনই মুসলমানদের সাথে সরাসরি যুদ্ধে পেরে উঠেনি তাই তারা মুসলমানদের মধ্যে মুনাফিক তৈরী করে ইসলাম ধ্বংস করেছে।
কাফির মুশরিকরা বহু ফিকির করে দেখেছে, মুসলমানদের ক্ষতি করতে সবার প্রথমে মুসলমানদের কেন্দ্রস্থল সৌদী আরবে বসাতে হবে একজন মুসলিম নামধারী মুনাফিক। তারা নামে শুধূ মুসলমান হবে, কিন্তু আক্বিদা চিন্তাধারা ও কার্যক্রম হবে কাফিরদের মতG
এজন্য আজ থেকে ৩শ’ বছর আগেই মুসলমানদের আক্বিদা ধ্বংস করতে মুসলমানদের মাথে লক্ষ লক্ষ গোয়েন্দা প্রেরণ করেছিলো তৎকালীল ব্রিটিশ সরকার। সেই লক্ষ লক্ষ গোয়েন্দা থেকে একটি মাত্র গোয়েন্দা চরম সাফল্যের মুখ দেখে। তার নাম ছিলো হেমপার। সে আব্দুল ওহাব নজদী নামক এক ব্যক্তির উপর প্রভাব খাটিয়ে ওহাবী আক্বিদা নামক চরম একটি বিভ্রান্তিকর আক্বিদা তৈরী করে (confessions of a british spy and the british enmity against islam এ বইটি পড়তে পারেন)। পরবর্তীকালে এই আক্বিদা পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য শাসকদের মধ্যে কাউকে দরকার হয়ে পরে। আজ থেকে ১০০ বছর আগে ব্রিটিশ সরকার আরবে আরেক গোয়েন্দা প্রেরণ করে যার নাম টি ই লরেন্স। এই ব্রিটিশ গোয়েন্দাই সউদ পরিবারের মত দস্যু পরিবারকে সউদী আরবের ক্ষমতায় নিয়ে আসে (টি ই লরেন্সকে নিয়ে দ্য লরেন্স অব অ্যারাবিয়া নামক এক সিনেমাও তৈরী হয়েছে) । সউদ পরিবাব ক্ষমতায় এসে জাজিরাতুল আরবের নাম পরিবর্তন করে তাদের পরিবারের নাম অনুসারে নাম রাখে সউদী আরব। এবং পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করে সেই ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের। ওহাবী সরকার আসার আগেও ১০০ বছর আগে মক্কা শরীফ মদীনা শরীফে সর্বত্র সুন্নী ইমামরা থাকত। কিন্তু ওহাবীপন্থী সরকার আসার পর তারা সব ধ্বংস করে দিলো। মুসলমানদের ঈমান নষ্ট করতে সব মসজিদে ওহাবী আক্বিদাভূক্ত ইমাম বসাতে লাগলো, সাহাবীগণের পবিত্র মাজারশরীফগুলো কথিত মাজার পূজার অজুহাত দেখিয়ে ধ্বংস করে দিলো। মক্কা শরীফ মদীনা শরীফে কাফিরদের প্রবেশ করালো। সারা পৃথিবীতে বাতিল ওহাবী মতবাদ ছড়াতে লক্ষ লক্ষ কোটি ডলার তারা সরবরাহ করতে থাকলো। কেউ হজ্জ করতে গেলে তার হাতে বিনামূল্যে ভ্রান্ত আক্বিদা বই ধরিয়ে দিতো। বিভিন্ন দেশে মসজিদ তৈরী করতে টাকা দিতো ঠিকই, কিন্তু ইমামাটা ওহাবী আকিদ্বাভূক্ত বসাতো। এভাবেই তারা সারা বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের আক্বিদা ধ্বংস করতে থাকলো।

এরপর সউদী সরকার তাদের বন্ধু আমেরিকার সাথে নতুন ফন্দি আটলো। একদিকে সউদী সরকার টাকা দিয়ে বিভিন্ন দেশে ওহাবী-সালাফি-লা
মাহযাবী জঙ্গি তৈরী করলো, অন্যদিকে আমেরিকা সেই জঙ্গি দমনের নামে সেই দেশ দখল করতে থাকলো। অর্থাৎ সউদী আরব টাকা মাধ্যমে আল কায়েদা, তালেবান, বোকো হারাম, আল শাবাব, লস্করই তইয়বা, আবু সায়াফ, নুসরা ফ্রন্ট, আইএসআইএল নামক বিভিন্ন ওহাবী-সালাফি সংগঠন তৈরী করলো, অন্যদিকে তার বন্ধু আমেরিকা ঐ দলগুলোর উছিলা দিয়ে বিভিন্ন দেশ আক্রমণের বৈধতা অর্জন করলো।
মূলত: ওহাবী-সালাফি-লা
মাহযাবী আক্বিদাগুলো হচ্ছে চরম বিভ্রান্ত আক্বিদা যা সৌদী পৃষ্ঠপোষকতায় ছড়ানো হয়। ওহাবী-সালাফি-লামাহযাবী বিভিন্ন লেকচাররারের নাম দিয়ে সেগুলো বাংলাদেশেও প্রচার করছে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে পিস টিভিতে জাকির নায়েক উক্ত ভ্রান্ত আক্বিদা প্রচার করছে। এছাড়া আজকে বিলাল ফিলিপস নামক এক আফ্রিকান ব্যক্তি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চেয়েছিলো, কিন্তু তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সেও এই ভ্রান্ত আক্বিদার লেকচার দেয়। তাই খুব ভালো হয়েছে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এই বাতিল আক্বিদার লোকগুলো আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এরা একদিকে ওহাবী-সালাফি-লা মাহযাবী আক্বিদা প্রবেশ করাবে, অন্যদিকে আমেরিকাকে বলবে আমাদের দেশ দখল করার জন্য। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের উচিত এই বাতিল আক্বিদাগোষ্ঠীকে বর্জন করা। কোনভাবেই যেন তারা বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার না করতে পারে।