বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৩

যারা নবীজীর হেদায়েত বাদ দিয়ে স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগ করতেছে





মুসলমান জাতির জন্য সব চাইতে একটি বড় দুঃস্বপ্ন, সবচাইতে বড় এক বিপর্যয়, সব চাইতে ভয়ানক এক অধ্যয়ের নাম হচ্ছে ওহাবী ফিৎনা | কুখ্যাত ইয়াজিদের উত্তরসূরি, এবং বৃটিশ সরকারের তিলেতিলে গড়ে তোল এক এজেন্ট হচ্ছে ওহাবী ফের্কার প্রতিষ্ঠিাতা ইবনে আব্দুলওহাব নজদী |

এতো ভয়ানক এই ফির্কা যেটা হাদীস শরীফে সরাসরি সতর্ক করা হয়েছে --
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ মুবারক করেন -->
" আমি নজদের জন্য কি করে দোয়া করবো ? কারন নজদেতো ভুমিকম্প ও ফিৎনার সৃষ্টি হবে , এবং এখানেই শয়তানী দলের উৎপত্তি ঘটবে |"

দলীল-
√ বুখারী শরীফ -২/১০৫১
√ মিশকাত শরীফ ৫৮২ পৃষ্ঠা- ইয়ামন ও শামের বর্ননা অধ্যায় !

এই কুখ্যাত শয়তান ইবনেআব্দুল ওহাব নজদী পরিচয় সম্পর্কে কিতাবে বর্নিত আছে --

" ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী ১১১৪ হিজরী মুতাবিক ১৭০৩ সালে আরবের নজদ প্রদেশে জন্মগ্রহণ করে | তার পিতার নাম আব্দুল ওহাব | বড় ভাইয়ের নাম সুলাইমান | পিতা ও ভ্রাতা দুজনেই ওই সময় বিজ্ঞ আলেম হিসাবে খ্যাত ছিলেন | কিন্তু আব্দুল ওহাবের কনিষ্ঠ পুত্র ইবনে ওহাব অত্যন্ত উদাসীন ও গোঁড়া চরিত্রের অধিকারী ছিলো | সে তার পিতা ও ভ্রাতার মতের বিপরীত চলতো এবং প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করতো এবং মনগড়া নতুন মত প্রচার করে ফিৎনা পয়দা করতো | ১১৪০ হিজরী হতে এই নজদী ফিৎনার সৃষ্টি হয় | সে পবিত্র মক্কা শরীফ মদীনা শরীফের নিরীহ লোকদের পাইকারী হত্যা করে | হেরেমাইন শরীফাইনের বসবাস কারী স্ত্রী- কন্যা দের ধর্ষন করেছে | পুরুষদের দাস এবং মহিলাদের দাসীতে পরিনত করেছে | সাইয়্যিদ বংশের অনেককে শহীদ করেছে |এমনকি মসজিদে নববী শরীফের মূল্যবান সব বিছানা ও ঝাড়বাতি গুলো সে নজদে নিয়ে যায় | হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের মাজার শরীফগুলোকে এবং আহলে বাইত শরীফ উনাদের মাজার শরীফ গুলো ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে | এমনকি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা শরীফ ভেঙ্গে দেয়ার জন্য একদল নজদী অনুসারী উদ্যাত হলে আল্লাহ এক সাপ পাঠিয়ে তাদের হত্যা করলেন |"

দলীল--
√ ফতোয়ায়ে শামী
√ ইশয়াতে হক্ব
√ সাইফুল মাজাহাব
√ সাইফুল জব্বার

এই প্রসঙ্গে হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব " রদ্দুল মুখতার " কিতাবে বর্নিত হয়েছে--

كما وقع في زماننا في اتباع عبد الوهاب الذين خرجوا من نجد وتغلبوا علي الحرمين وكانوا ينتحلون الي الحنا بلة لكن هم اعتقدوا انهم هم المسلمون وان من خللف اعتقادهم مشركون و استباعوا بذلك قتل اهل السنة و قتل علماء هم

অর্থ- যেমন আমাদের সময় সংঘটিত আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারীদের লোমহরর্ষক ঘটনা প্রনিধান যোগ্য | তারা নজদ থেকে বের হয়ে মক্কা মদীনার উপর অধিপত্য বিস্তার করেছিলো | তারা নিজেদের হাম্বলী মাজহাবের অনুসারি বলে দাবি করতো | আসলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো, তারাই শুধু মুসলমান বাকি সবাই মুশরিক | এজন্য তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীদের হত্যা করা জায়িয মনে করেছে , এবং অনেক আলেম কে হত্যাও করেছে !"

দলীল-
√ রদ্দুল মুখতার-৩ খন্ড ৪২৭ পৃষ্ঠা - বাবুল বুগাত !

এছাড়া অনুরুপ বর্ণনা বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ " তাফসিরে সাবী " ৩ খন্ড ২৫৫ পৃষ্ঠায় ও বর্নিত আছে !

এই ইবনে ওহাব নজদীর কিছু কুফরী আক্বীদা --
* মুসলমান দের তুলনায় কাফিররা লা ইলাহা ইল্লাহ এর অর্থ ভালো জনতো ! ( কাশফুল শুবহাত ৩য় অধ্যায় ৭ পৃষ্ঠা )

* নবীজী মক্কা শরীফের নেককার কাফিরদের মূর্তি ভেঙ্গে অন্যায় করেছেন !( কাশফুল শুবহাত ২য় অধ্যায়)

* রওজা শরীফ জিয়ারত নিষেধ !

* ৬০৬ হিজরী হতে তার সময় পর্যন্ত সবাই কাফের !

* নবীগন রওজা পাকে জীবীত নন !

* চার ইমামের অধিকাংশ কথাই ভুয়া !

দলীল-- কিতাবুল আক্বায়িদ

এবার আসুন মূল আলোচনায় প্রবেশ করি ! দেওবন্দী মৌলবীরা এই নজদীর প্রতি কি ধারনা রাখতো সেটা দেখুন --->

(১) রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী বলেছে-
" মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারী কে ওহবী বলা হয় | তার আক্বীদা ভালো ছিলো !"

দলীল-
√ ফতোয়ায়ে রশিদীয় ১/১১৯ - তাকলীদ অধ্যায় !

(২) শামসুল হক ফরিদপুরী লিখেছে --
" অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে আরব দেশে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নামক এক ধর্মীয় নেতা এবং রাষ্ট্রীয় নেতা গুজারিয়াছেন | ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হইলেও তিনি বেশ প্রভাবশালী ছিলেন আরব দেশে বেশ প্রভাব বিস্তার করিয়াছিলেন | অনেকগুলো সংস্কার মূলক কাজও তিনি করিয়াছিলেন !'

দলীল-
√ তাছাউফ তত্ত্ব ৩৮ পৃষ্ঠা !

(৩) মাসিক মদীনা পত্রিকায় লিখা হয়েছে --
" শায়েখ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব নজদি ছিলেন আরবের একজন সংস্কারক ( মুজাদ্দিদ) আলেম | ধর্মের নামে ভন্ডামীর বিরুদ্ধে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন !"

দলীল-
√ মাসিক মদীনা- সেপ্টেম্বর,২০১০ সংখ্যা ! ৫০ পৃষ্ঠা !

একটু চিন্তা করুন, এই দেওবন্দী তাবলীগীরা এই কুখ্যাত ইবনে ওহাব নজদী কে মুজাদ্দিদের আসনে বসাইছে |এবার দয়া করে সবাই বিচার করেন ওহাবী ফের্কার ধারক বাহক কারা !


এই হলো আপনার আলেম ,যারা নবীজীর হেদায়েত বাদ দিয়ে স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগ করতেছে 
 
 






  • Noor E Julfikar ei deobandi muhtamim asad nadan ei Hindu mohilar golami





  • Noor E Julfikar deoband madrasay shommelone soniya gandhir achol dhore golam style e jasse deobandi muhtamim




দস্তার রাজদরবার!!! ইসলাম বিরোধী পেইজ দেখলে বাবুনগরী কেদে উঠে, কিন্তু এই বই পড়লে কিংবা পড়ালে কি বাবুনগরীর মন কাঁদে না.................

দস্তার রাজদরবার আপনার লেখা পড়লাম (www.facebook.com/rajdarbaar/posts/668816566497075)। হিন্দুদের এক পেইজ দেখে নাকি বাবুনগরী কেদে উঠেছে, উত্তেজিত হয়েছে। কিন্তু ছবির বই পড়লে কিংবা পড়ালে কি বাবুনগরীর মন কাঁদে না.........

যেই হিফজুল ঈমান নামক বইয়ের ১২ পৃষ্ঠায় (লালদাগ কাটা অংশে) বাবুনগরীসহ তামাম দেওবন্দীদের গুরু মাও আশ্রাফ আলী থানভী বলেছে:
“নবীর যদি কিছু ইলমে গায়েব থেকেও থাকে তাহলে এতে তাঁর বিশেষত্ব কী? এমন ইলমে গায়েব তো সকল চতুষ্পদ জন্তু, পাগল ও শিশুরও আছে।” (নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক)

আসলে এই ধর্মব্যবসায়ী কওমী-দেওবন্দী কর্তৃক নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সা্ল্লামের অবমাননার কারণেই আজকে হিন্দুরা এই দুঃসাহস পেয়েছে।



মজার বিষয় লক্ষ্য করছেন, ফেসবুকে সবাই জানে এই কাজগুলো হিন্দুদের কাজ। অথচ হেফাজতিরা প্রচার করে নাস্তিকদের কাজ। কখনও ভুলেও হিন্দুদের নাম আনে না। কারণ এদের তীর্থভূমি দারুল উলুম দেওবন্দ এর রয়েছে হিন্দুদের সাথে ক্লোওজ দোস্তি







দেখুন খালেদা তেতুলের পাশে বলা সমস্ত হেফজতিরা। নিজেরাই পর্দার কথা বলে কিন্তু নিজেরাই পালন করে না






কওমী নেতা কথিত শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ‘আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা’ শীর্ষক একটি বই লিখেছিল। সেই বইতে লেখা হয়:
“.... রং বেরংয়ের পোশাক, লিপিস্টিক লাগানো, পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা, থিয়েটার নাটক করা, সভা সমিতি করা, রাজনৈতিক আসরে নামা, প্রকাশ্যে সভা সমিতিতে বক্তৃতা দেয়া আর বেশ্যাবৃত্তি করা। শুধু পেশাদারী বেশ্যা নয় অপেশাদার বেশ্যাবৃত্তি করা। .....” (আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা ১৩৪ পৃষ্ঠা, লেখকঃ শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক)
“..... ধন ও ঋণ (পজেটিভ ও নেগেটিভ) ব্যতীত কোন বস্তুর কল্পনা করা যায়না, ধন ঋণ যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, পদার্থের পরমাণু (এটম) পজিটিভ ইলেকট্রন ও নেগেটিভ প্রোটনের সমষ্টি। এ থেকে ইলেকট্রন বিচ্যুত করলে আর পরমাণুর অস্তিত্বই থাকে না। মানবও তাই। স্বাভাবিকভাবে নর ও নারী (ধন ও ঋণ) পরস্পর দর্শনে যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়না একথা মানুষ অস্বীকার করলেও যুক্তিবাদী বিজ্ঞান তা মানতে প্রস্তুত নয়। দৈহিক মিলনের ফাঁক থাকুক আর না থাকুন, আর থাকলে তো কথাই নেই, আকর্ষণ এতো প্রবল ও তীব্র হয় যে, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, মুনি মোহন্ত, দরবেশ, কেউ আত্মসংবরণ করতে পারে না। ....” (আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা ১৩৪ পৃষ্ঠা, লেখকঃ শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক)

কিন্তু এবার দেখুন সেই শায়খুল হাদীস নিজে কি করছে????

নিজের বইয়ে নারী নের্তৃতের বিরুদ্ধে বললেও, নারীদের সভাকে পতিতাদের সভা বললেও, নারী-পুরুষের দেখা সাক্ষাৎকে হারাম বললেও, এ অনুষ্ঠানে গিয়ে সে নিজেকে কি প্রমাণ করলো?? নিজের ফতওয়াতেই নিজে ধরা!!









আরেক কওমী নেতা মুফতি আমিনী কি করে দেখুন: পরে না চোখের পলক!!!!





মোনাজাতে মুফতি আমিনী বলেন, ‘হে আল্লাহ, খালেদা জিয়াকে দেশকে খেদমত করার ক্ষমতা দান করো। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্ম ও ইসলামের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা থেকে দেশকে হেফাজত করো।’
মোনাজাতে বলা হয়, ‘হে আল্লাহ, তুমি চারদলীয় জোটকে শক্তিশালী করো। খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় যাওয়ার তৌফিক দান করো। খালেদা জিয়া ওমরাহ করতে যাচ্ছেন, তাঁর ওমরাহ কবুল করো’











আহারে শফী-বাবু নগরীরর গুরু আসাদ মাদানীর কি অবস্থা



















 আহারে শফী-বাবু নগরীর গুরু দেওবন্দীদের বার্ষিক মাহফিলের স্টেজে সব হিন্দু তেতুল









 আহারে শফী-বাবু নগরীর গুরু দেওবন্দীদের উপস্থাপিকাও এক হিন্দু তেতুল

বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

ত্রয়োদশ নোট: ক্বসীদায়ে শাহনেয়ামতুল্লাহ রহমতুল্লাহি


আামার ত্রয়োদশ নোট: ক্বসীদায়ে শাহনেয়ামতুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি (ভবিষ্যতবাণী সম্বলিত এক আশ্চর্য কবিতা)

26 November 2013 at 18:02
ক্বসীদায়ে শাহ নেয়ামতুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি - বিষ্ময়কর ভবিষ্যৎবাণী সম্বলিত এক কাশফ ও ইলহামের ক্বাসিদা। জগৎ বিখ্যাত ওলীয়ে কামেল হযরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ রহমতুল্লাহি আজ থেকে ৮৮৬ বছর পূর্বে হিজরী ৫৪৮ সালে মোতাবেক ১১৫২ সালে খ্রিস্টাব্দে এক ক্বাসিদা (কবিতা) রচনা করেন। কালে কালে তার এ ক্বসিদা এক একটি ভবিষ্যৎবাণী ফলে গেছে আশ্চর্যজনকভাবে। মুসলিম জাতি বিভিন্ন দুর্যোগকালে এ ক্বাসিদা পাঠ করে ফিরে পেয়েছেন তাদের হারানো প্রাণশক্তি, উদ্দীপিত হয়ে ওঠেছে নতুন আশায়। ইংরেজ শাসনের ক্রান্তিকালে এ ক্বাসিদা মুসলমানদের মধ্যে মহাআলোড়ন সৃষ্টি করে। এর অসাধারণ প্রভাব লক্ষ্য করে ব্রিটিশ বড় লাট লর্ড কার্জনের শাসনামলে (১৮৯৯-১৯০৫) এ ক্বাসিদা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ কবিতাকে আরবী ও ফারসী ভাষায় বলা হয় ক্বাসিদা। ফারসী ভাষায় রচিত হযরত শাহনেয়ামত উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি এর সুদীর্ঘ কবিতায় ভারত উপমহাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের ঘটিতব্য বিষয় সম্পর্কে অনেক ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে।
-----------------------------
(আমার হাতে কবিতার বইটির একটি বঙ্গানুবাদের ফটোকপি আছে। বঙ্গানুবাদ বইটি আজ থেকে ৪৩ বছর আগের, মূল্য মাত্র ৩ টাকা। কবিতাটি মোট ৫৮টি প্যারায় বিভক্ত।)

(প্যারা: ১)
পশ্চাতে রেখে এই ভারতের
অতীত কাহিনী যত
আগামী দিনের সংবাদ কিছু
বলে যাই অবিরত

টীকা: ভারত= ভারতীয় উপমহাদেশ

(প্যারা: ২+৩)
দ্বিতীয় দাওরে হুকুমত হবে
তুর্কী মুঘলদের
কিন্তু শাসন হইবে তাদের
অবিচার যুলুমের

ভোগে ও বিলাসে আমোদে-প্রমোদে
মত্ত থাকিবে তারা
হারিয়ে ফেলিবে স্বকীয় মহিমা
তুর্কী স্বভাব ধারা

টীকা: দ্বিতীয় দাওর= ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের দ্বিতীয় অধ্যায়। শাহবুদ্দীন মুহম্মদ ঘোরি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আমল (১১৭৫ সাল) থেকে সুলতান ইব্রাহীম লোদীর শাসনকাল (১৫২৬ সাল) পর্যন্ত প্রথম দাওর। এবং সম্রাট বাবর শাসনকাল (১৫২৬ সাল) থেকে ভারতে মুসলিম দ্বিতীয় দাওর। মুঘল শাসকদের অনেকই আল্লাহ ওয়ালা-ওলী আল্লাহ ছিলেন। তবে কেউ কেউ প্রকৃত ইসলামী আইনকানুন ও শরীয়তি আমল থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন।
আর হাদীস শরীফেই আছে: যখন মুসলমানরা ইসলাম থেকে দূরে সরে যাবে, তখন তার উপর গজব স্বরূপ বহিশত্রুকে চাপিয়ে দেয়া হবে।


(প্যারা: ৪)
তাদের হারায়ে ভিন দেশী হবে
শাসন দণ্ডধারী
জাকিয়া বসিবে, নিজ নামে তারা
মুদ্রা করিবে জারি

ভিন দেশী: ইংরেজদের বোঝানো হয়েছে


(প্যারা: ৫+৬)
এরপর হবে রাশিয়া-জাপানে
ঘোরতর এক রণ
রুশকে হারিয়ে এ রণে বিজয়ী
হইবে জাপানীগণ

শেষে দেশ-সীমা নিবে ঠিক করে
মিলিয়া উভয় দল
চুক্তিও হবে, কিন্তু তাদের
অন্তরে রবে ছল

টীকা: বিশ শতকের প্রারম্ভে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জাপান কোরিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে পীত সাগর, পোট অব আর্থার ও ভলডিভস্টকে অবস্থানরাত রুশ নৌবহরগুলো আটক করার মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধ শুরু হয়। অবশেষে রাশিয়া জাপানের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।

(প্যারা: ৭+৮)
ভারতে তখন দেখা দিবে প্লেগ
আকালিক দুর্যোগ
মারা যাবে তাতে বহু মুসলিম
হবে মহাদুর্ভোগ

টীকা: ১৮৯৮-১৯০৮ সাল পর্যন্ত ভারতে মহামারী আকারে প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এতে প্রায় ৫ লক্ষ লোকের জীবনাবসান হয়। ১৭৭০ সালে ভারতে মহাদুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়। বংগ প্রদেশে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ থেকে উদ্ভুত মহামারিতে এ প্রদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রাণ হারায়।


(প্যারা: ৮)
এরপর পরই ভয়াবহ এক
ভূকম্পনের ফলে
জাপানের এক তৃতীয় অংশ
যাবে হায় রসাতলে

টীকা: ১৯৪৪ সালে জাপানের টোকিও এবং ইয়াকুহামায় প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।

(প্যারা: ৯)
পশ্চিমে চার সালব্যাপী
ঘোরতর মহারণ
প্রতারণা বলে হারাবে এ রণে
জীমকে আলিফগণ

টীকা: ১৯১৪-১৯১৮ সাল পর্যন্ত চার বছরাধিকাল ধরে ইউরোপে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। জীম= জার্মানি, আলিফ=ইংল্যান্ড।


(প্যারা: ১০)
এ সমর হবে বহু দেশ জুড়ে
অতীব ভয়ঙ্কর
নিহত হইবে এতে এক কোটি
ত্রিশ লাখ নারী-নর

টীকা: ব্রিটিশ সরকারের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ি প্রথম মহাযুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৩১ লক্ষ লোক মারা যায়।

(প্যারা: ১১)
অতঃপর হবে রণ বন্ধের
চুক্তি উভয় দেশে
কিন্তু তা হবে ক্ষণভঙ্গুর
টিকিবে না অবশেষে

টীকা: ১৯১৯ সালে প্যারিসের ভার্সাই প্রাসাদে প্রথম মহাযুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে ‘ভার্সাই সন্ধি’ হয়, কিন্তু তা টিকেনি।

(প্যারা: ১২)
নিরবে চলিবে মহাসমরের
প্রস্তুতি বেশুমার
‘জীম’ ও আলিফে খণ্ড লড়াই
ঘটিবে বারংবার

(প্যারা: ১৩)
চীন ও জাপানে দু’দেশ যখন
লিপ্ত থাকিবে রণে
নাসারা তখন রণ প্রস্তুতি
চালাবে সঙ্গোপনে

টীকা: নাসারা মানে খ্রিষ্টান

(প্যারা: ১৪)
প্রথম মহাসমরের শেষে
একুশ বছর পর
শুরু হবে ফের আরো ভয়াবহ
দ্বিতীয় সমর

টীকা: ১ম মহাযুদ্ধ সমাপ্তি হয় ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর, এবং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে সূচনা হয় ১৯৩৯ সালে ৩রা সেপ্টেম্বর। দুই যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময় প্রায় ২১ বছর।

(প্যারা: ১৫)
হিন্দ বাসী এই সমরে যদিও
সহায়তা দিয়ে যাবে
তার থেকে তারা প্রার্থিত কোন
সুফল নাহিকো পারে

টীকা: ভারতীয়রা ব্রিটিশ সরকারের প্রদত্ত যে সকল আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে তাদের সহায়তা করেছিল, যুদ্ধের পর তা বাস্তবায়ন করেনি।


(প্যারা: ১৬)
বিজ্ঞানীগণ এ লড়াইকালে
অতিশয় আধুনিক
করিবে তৈয়ার অতি ভয়াবহ
হাতিয়ার আনবিক

টীকা: মূল কবিতায় ব্যবহৃত শব্দটি হচ্ছে ‘আলোতে বকর’ যার শাব্দিক অর্থ বিদ্যুৎ অস্ত্র, অনুবাদক বিদ্যুৎ অস্ত্রের পরিবর্তে ‘আনবিক অস্ত্র তরজমা করেছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে আমেরিকা হিরোসিমা-নাগাসাকিতে আনবিক বোমা নিক্ষেপ করে। এতে লাখ লাখ বেসামরিক লোক নিহত হয়। কবিতায় বিদ্যুৎ অস্ত্র বলতে মূলত আনবিক অস্ত্রই বুঝানো হয়েছে।

(প্যারা: ১৭)
গায়েবী ধনির যন্ত্র বানাবে
নিকটে আসিবে দূর
প্রাচ্যে বসেও শুনিতে পাইবে
প্রতীচীর গান-সুর

টীকা: গায়েবী ধনীর যন্ত্র রেডিও-টিভি

(প্যারা: ১৮+১৯)
মিলিত হইয়া ‘প্রথম আলিফ’
‘দ্বিতীয় আলিফ’ দ্বয়
গড়িয়া তুলিবে রুশ-চীন সাথে
আতাত সুনিশ্চয়
ঝাপিয়ে পড়িবে ‘তৃতীয় আলিফ’
এবং দু’জীম ঘারে
ছুড়িয়া মারিবে গজবী পাহাড়
আনবিক হাতিয়ারে।

টীকা: প্রথম আলিফ= ইংল্যান্ড
দ্বিতীয় আলিফ=আমেরিকা
তৃতীয় আলিফ= ইটালি
দুই জীম=জার্মানি ও জাপান


(প্যারা: ১৯- এর শেষ)
অতি ভয়াবহ নিষ্ঠুরতম
ধ্বংসযজ্ঞ শেষে
প্রতারণা বলে প্রথম পক্ষ
দাড়াবে বিজয়ী বেশে

(প্যারা: ২০)
জগৎ জুড়িয়া ছয় সালব্যাপী
এই রণে ভয়াবহ
হালাক হইবে অগিণত লোক
ধন ও সম্পদসহ

টীকা: জাতিসংঘের হিসেব মতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি লোক মারা গিয়েছিল।

(প্যারা: ২১)
মহাধ্বংসের এ মহাসমর
অবসানে অবশেষে
নাসারা শাসক ভারত ছাড়িয়া
চলে যাবে নিজ দেশে

কিন্তু তাহারা চিরকাল তরে
এদেশবাসীর মনে
মহাক্ষতিকর বিষাক্ত বীজ
বুনে যাবে সেই সনে

টীকা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় ১৯৪৫ সালে, আর ভারত উপমহাদেশ থেকে নাসারা তথা ইংরেজ খ্রিস্টানরা চলে যায় ১৯৪৭ এ। এই প্যারার দ্বিতীয় অংশের ব্যাখ্যা দুই রকম আছে।
ক) এই অঞ্চলের বিভেদ তৈরী জন্য ইংরেজ খ্রিস্টানরা কাশ্মীরকে হিন্দুদের দিয়ে প্যাচ বাধিয়ে যায়।
খ) ইংরেজরা চলে গেলেও তাদের সংস্কৃতি এমনভাবে রেখে গেছে যে এই উপমহাদেশে লোকজন এখনও সব যায়গায় ব্রিটিশ নিয়ম-কানুন-ভাষা-সংস্কৃতি অনুসরণ করে।

(প্যারা: ২২)
ভারত ভাঙ্গিয়া হইবে দু’ভাগ
শঠতায় নেতাদের
মহাদুর্ভোগ দুর্দশা হবে
দু’দেশেরি মানুষের

টীকা: দেশভাগের সময় মুসলমানরা আরো অনেক বেশি এলাকা পেত। কিন্তু সেই সময় অনেক মুসলমান নেতার গাদ্দারির কারণে অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা হিন্দুদের অধীনে চলে যায়। ফলে কষ্টে পরে সাধারণ মুসলমানরা। এখনও ভারতের মুসলমানরা সেই গাদ্দারির ফল ভোগ করছে।

(প্যারা: ২৩)
মুকুটবিহীন নাদান বাদশা
পাইবে শাসনভার
কানুন ও তার ফর্মান হবে
আজেবাজে একছার

টীকা: এই প্যারা থেকে ভারত বিভাগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ধরা যায়। এই সময় এই অঞ্চলে মুসলমানদের ঝাণ্ডাবাহী কোন সরকার আসেনি। মুকুটবিহীন নাদান বাদশাহ বলতে অনেকে ‘গণতন্ত্র’কে বুঝিয়েছে। আব্রাহাম লিংকনের তৈরী গণতন্ত্রকে জনগণের তন্ত্র বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা হচ্ছে জন-নিপীড়নের তন্ত্র। এই গণতন্ত্রের নিয়ম কানুন যে ‘আজেবাজে’ সে সম্পর্কে শেষ লাইনে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

(প্যারা: ২৪)
দুর্নীতি ঘুষ কাজে অবহেলা
নীতিহীনতার ফলে
শাহী ফর্মান হবে পয়মাল
দেশ যাবে রসাতলে

টীকা: সমসাময়িক দুর্নীতি বুঝানো হয়েছে।

(প্যারা: ২৫)
হায় আফসোস করিবেন যত
আলেম ও জ্ঞানীগণ
মূর্খ বেকুফ নাদান লোকেরা
করিবে আস্ফালন।

(প্যারা: ২৬)
পেয়ারা নবীর উম্মতগণ
ভুলিবে আপন শান
ঘোরতর পাপ পঙ্গিলতায়
ডুবিবে মুসলমান

(প্যারা: ২৭)
কালের চক্রে ¯স্নেহ-তমীজের
ঘটিবে যে অবসান
লুণ্ঠিত হবে মানী লোকদের
ইজ্জত সম্মান


(প্যারা: ২৮)
উঠিয়া যাইবে বাছ ও বিচার
হালাল ও হারামের
লজ্জা রবে না, লুণ্ঠিত হবে
ইজ্জত নারীদের

(প্যারা: ২৯)
পশুর অধম হইবে তাহারা
ভাই-বোনে, মা-বেটায়
জেনা ব্যাভিচারে হইবে লিপ্ত
পিতা আর কন্যায়

(প্যারা: ৩০)
নগ্নতা আল অশ্লীলতায়
ভরে যাবে সব গেহ
নারীরা উপরে সেজে রবে সতী
ভেতরে বেচিবে দেহ

(প্যারা: ৩১)
উপরে সাধুর লেবাস ভেতরে
পাপের বেসাতি পুরা
নারী দেহ নিয়ে চালাবে ব্যবসা
ইবলিস বন্ধুরা

(প্যারা: ৩২)
নামায ও রোজা, হজ্জ্ব যাকাতের
কমে যাবে আগ্রহ
ধর্মের কাজ মনে হবে বোঝা
দারুন দুর্বিষহ

(প্যারা: ৩৩)
কলিজার খুন পান করে বলি
শোন হে বৎসগণ
খোদার ওয়াস্তে ভুলে যাও সব
নাসারার আচরণ

(প্যারা: ৩৪)
পশ্চিমা ঐ অশ্লীলতা ও
নগ্নতা বেহায়ামি
ডোবাবে তোদের, খোদার কঠোর
গজব আসিবে নামি

(প্যারা: ৩৫)
ধ্বংস নিহত হবে মুসলিম
বিধর্মীদের হাতে
হবে নাজেহাল, ছেড়ে যাবে দেশ
ভাসিবে রক্তপাতে

(প্যারা: ৩৬)
মুসলমানের জান-মাল হবে
খেলনা- মুল্যহত
রক্ত তাদের প্রবাহিত হবে
সাগর ¯্রােতের মত


টীকা: হাদীস শরীফে আছে: পাঁচটি কারণে পাঁচটি জিসিস হয়। “১) যদি যাকাত না দেয়া হয়, তবে অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি দেখা দেয়; ২) যদি মাপে কম দেয়া হয়, তবে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, ৩) যদি বেপর্দা-বেহায়াপনা বেড়ে যায়, তবে দুরারোগ্য ব্যাধি দেখা দেয়, ৪) যদি একেক জন একেক রকম ফতওয়া দেয়, তবে মতবিরোধ দেখা দেয়, আর ৫) যদি মুসলমানরা আল্লাহ তায়ালার সাথে যে ওয়াদা করেছিল, সেউ ওয়াদা থেকে দূরে সরে যায় (অর্থ্যাৎ কোরআন হাদীস থেকে দূরে সরে কাফেরদের আমল করে) তবে তাদের উপর গজব স্বরূপ বিদেশী শত্রু চাপিয়ে দেয়া হয়।”
বর্তমানে মুসমানদের উচিত কাফেরদের আমল থেকে তওবা করে হাক্বিকী মুসলমান হওয়া। তবেই মুসলমানদের বিজয় অত্যাসন্ন, যা আগামী পর্বগুলোতে বলা হবে ইনশাআল্লাহ।


(প্যারা: ৩৭)
এরপর যাবে ভেগে নারকীরা
পাঞ্জাব কেন্দ্রের
ধন সম্পদ আসিবে তাদের
দখলে মুমিনদের

টীকা: এখানে পাঞ্জাব কেন্দ্রের বলতে কাশ্মীর মনে করা হয়।

(প্যারা: ৩৮)
অনুরূপ হবে পতন একটি
শহর মুমিনদের
তাহাদের ধনসম্পদ যাবে
দখলে হিন্দুদের

টীকা: ১৯৪৮ সালে মুসলিম সুলতান নিজামের অধীনস্ত হায়দারাবাদ শহরটি দখল করে নেয় হিন্দুরা। সে সময় প্রায় ২ লক্ষ মুসলমানকে শহীদ করে মুশরিক হিন্দুরা, ১ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করে, হাজার হাজার মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। শুধু নিজামের প্রাসাদ থেকে নিয়ে যায় ৪ ট্রাক সোনা গয়না।

(প্যারা: ৩৯)
হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ সেখানে
চালাইবে তারা ভারি
ঘরে ঘরে হবে ঘোর কারবালা
ক্রন্দন আহাজারি

টীকা: এখানে সমগ্র ভারতে মুসলমানদের ঘরে ঘরে যে হিন্দুরা নির্যাতন করছে সেই বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

(প্যারা: ৪০)
মুসলিম নেতা-অথচ বন্ধু
কাফেরের তলে তলে
মদদ করিবে অরি কে সে এক
পাপ চুক্তির ছলে

টীকা: বর্তমান সময়ে এই উপমহাদেশে এ ধরনের নেতার অভাব নেই। যারা উপর দিয়ে মুসলমানদের নেতা সেজে থাকে, কিন্তু ভেতর দিয়ে কাফিরদের এক নম্বর দালাল। সমগ্র ভারতে এর যথেষ্ট উদাহরণ আছে, উদাহরণ আছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও।

(প্যারা: ৪১)
প্রথম অক্ষরেখায় থাকিবে
শীনে’র অবস্থান
পঞ্চাশতম অক্ষে থাকিবে
নূন’ও বিরাজমান
ঘটিবে তখন এসব ঘটনা
মাঝখানে দু’ঈদের
ধিক্কার দিবে বিশ্বের লোক
জালিম হিন্দুদের

টীকা: বর্তমানে এই সময়টি চলে এসেছে। এতদিন হিন্দুরা তাদের মুসলিম নির্যাতনের ঘটনাগুলো লুকিয়ে রাখত। কিন্তু এখন আর লুকানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। এখন সবাই এই জালিম হিন্দুদের জঘণ্য অপকর্মের জন্য তাদের ধিক্কার দিচ্ছে।

(প্যারা: ৪২)
মহরম মাসে হাতিয়ার হাতে
পাইবে মুমিনগণ
ঝঞ্জারবেগে করিবে তাহারা
পাল্টা আক্রমণ

(প্যারা: ৪৩)
সৃষ্টি হইবে ভারত ব্যাপিয়া
প্রচ- আলোড়ন
‘উসমান’ এসে নিবে জেহাদের
বজ্র কঠিন পণ

(প্যারা: ৪৪)
‘সাহেবে কিরান-‘হাবীবুল্লাহ’
হাতে নিয়ে শমসের
খোদায়ী মদদে ঝাপিয়ে পড়িবে
ময়দানে যুদ্ধে

টীকা: এখানে মুসলমানদের সেনাপতির কথা বলা হয়েছে। শনি ও বৃহস্পতিগ্রহ অথবা শুক্র ও বৃহস্পতি গ্রহের একই রৈখিক কোণে অবস্থানকালীন সময়ে যে যাতকের জন্ম অথবা এ সময়ে মাতৃগর্ভে যে যাতকের ভ্রুনের সঞ্চার ঘটে তাকে বলা হয় সাহেবে কিরান বা সৌভাগ্যবান। সেই মহান সেনাপতির উপাধি হবে ‘হাবীবুল্লাহ’।

(প্যারা: ৪৫)
কাপিবে মেদিনী সীমান্ত বীর
গাজীদের পদভারে
ভারতের পানে আগাইবে তারা
মহারণ হুঙ্কারে

টীকা: আক্রমণকারীরা ভারত উপমহাদেশের হিন্দু দখলকৃত এলাকার বাইরে থাকবে এবং হিন্দু দখলকৃত এলাকা দখল করতে হুঙ্কার দিয়ে এগিয়ে যাবে।


প্যারা-৪৬
পঙ্গপালের মত ধেয়ে এসে
এসব ‘গাজীয়েদ্বীন’
যুদ্ধে জিনিয়া বিজয় ঝাণ্ডা
করিবেন উড্ডিন

প্যারা-৪৭
মিলে এক সাথে দক্ষিণী ফৌজ
ইরানী ও আফগান
বিজয় করিয়া কবজায় পুরা
আনিবে হিন্দুস্তান

টীকা: হিন্দুস্তান সম্পূর্ণরূপে মুসলমানদের দখলে আসবে।

প্যারা-৪৮
বরবাদ করে দেয়া হবে দ্বীন
ঈমানের দুশমন
অঝোর ধারায় হবে আল্লা’র
রহমাত বরিষান

প্যারা-৪৯
দ্বীনের বৈরী আছিল শুরুতে
ছয় হরফেতে নাম
প্রথম হরফ গাফ সে কবুল
করিবে দ্বীন ইসলাম

টীকা: ছয় অক্ষর বিশিষ্ট একটি নাম যার প্রথম অক্ষরটি হবে ‘গাফ’ এমন এক হিন্দু বণিক ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম পক্ষে যোগদান করবেন। তিনি কে তা এখন বুঝা যাচ্ছে না।

প্যারা-৫০
আল্লা’র খাস রহমাতে হবে
মুমিনেরা খোশদিল
হিন্দু রসুম-রেওয়াজ এ ভুমে
থাকিবে না একতিল

টীকা: ভারত বর্ষে হিন্দু ধর্ম তো দূরে হিন্দুদের কোন রসম রেওয়াজও থাকবে না। (সুবহানাল্লাহ)

প্যারা-৫১
ভারতের মত পশ্চিমাদেরো
ঘটিবে বিপর্যয়
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে
ঘটাইবে মহালয়

টীকা: বর্তমান সময়ে স্পষ্ট সেই তৃতীয় সমর চলছে। অর্থ্যাৎ সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মুসলমাদের বিরুদ্ধে কাফিররা যুদ্ধ করছে তথা জুলুম-নির্যাতন করছে। এই জুলুম নির্যাতন বা তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধই একসময় তাদের ধ্বংসের কারণ হবে। এখানে বলা হচ্ছে মহালয় বা কেয়ামত শুরু হবে, যাতে পশ্চিমারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।

প্যারা-৫২
এ রণে হবে ‘আলিফ’ এরূপ
পয়মাল মিসমার
মুছে যাবে দেশ, ইতিহাসে শুধু
নামটি থাকিবে তার

টীকা: এ যুদ্ধের কারণে আলিফ = আমেরিকা এরূপ ধ্বংস হবে যে ইতিহাসে শুধু তার নাম থাকবে, কিন্তু বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব থাকবে না। বর্তমানে মুছে যাওয়ার আগাম বার্তা স্বরূপ দেশটিতে আমরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অর্থনৈতিক মন্দা চরমভাবে দেখতে পাচ্ছি।


প্যারা-৫৩
যত অপরাধ তিল তিল করে
জমেছে খাতায় তার
শাস্তি উহার ভুগতেই হবে
নাই নাই নিস্তার
কুদরতী হাতে কঠিন দণ্ড
দেয়া হবে তাহাদের
ধরা বুকে শির তুলিয়া নাসারা
দাড়াবে না কভু ফের

টীকা: এখানে স্পষ্ট যিনি এই শাস্তি দিবেন তা হবে কুদরতি হাতে। আল্লাহ তায়ালার ক্ষেত্রে কুদরত = নবী রাসূলের ক্ষেত্রে মুজিজা = অলী আল্লাহ গণের ক্ষেত্রে কারামত। এখানে কাফিরদের শাস্তি কোন ওলী আল্লাহ কারামতের মাধ্যমেই দিবেন এটাই বুঝানো হয়েছে। এই শাস্তির কারণে নাসারা বা খ্রিস্টানরা আর কখনই মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না।

প্যারা-৫৪
যেই বেঈমান দুনিয়া ধ্বংস
করিল আপন কামে
নিপতিত শেষকালে সেই
নিজেই জাহান্নামে

প্যারা-৫৫
রহস্যভেদী যে রতন হার
গাথিলাম আমি তা --যে
গায়েবী মদদ লভিতে, আসিবে
উস্তাদসম কাজে।

প্যারা-৫৬
অতিসত্বর যদি আল্লা’র
মদদ পাইতে চাও
তাহার হুকুম তামিলের কাজে
নিজকে বিলিয়ে দাও।

টীকা: বতর্মানে সমস্ত ফিতনা থেকে হিফাজত হওয়ার একমাত্রা উপায় হচ্ছে সমস্ত হারাম কাজ থেকে খাস তওবা করা। সেটা হারাম আমল হোক কিংবা কাফের-মুশরেক প্রণিত বিভিন্ন নিয়ম-কানুন হোক।

প্যারা-৫৭
‘কানা যাহুকার’ প্রকাশ ঘটার
সালেই প্রতিশ্রুত
ইমাম মাহদী দুনিয়ার বুকে
হবেন আবির্ভূত

টীকা: ‘কানাযাহুকার’  সূরা বনী ইসরাইলের ৮১ নং আয়াতের শেষ অংশ। যার অর্থ মিথ্যার বিনাশ অনিবার্য। পূর্ব আয়াতটির অর্থ ‘সত্য সমাগত মিথ্যা বিলুপ্ত’। যখন মিথ্যার বিনাশকাল উপস্থিত হবে তখন উপযুক্ত সময়েই আবির্ভূত হবেন হযরত কোন ‘মাহদী’ বা ‘পথ প্রদর্শক’ উনার আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে চলমান বাতিল ধ্বংস হবে।

প্যারা-৫৮
চুপ হয়ে যাও, ওহে নিয়ামত
এগিও না মোটে আর
ফাসঁ করিও না খোদার গায়বী
রহস্য--আসরার
এ কাসিদা বলা করিলাম শেষ
‘কুনতু কানযাল’ সালে
(অদ্ভূত এই রহস্য গাঁধা
ফলিতেছে কালে কালে)

টীকা: কুনতু কানাযাল সাল’’ অর্থ্যাৎ আরবী হিজরী সন ৫৪৮ সাল মোতবেক ১১৫৮ সাল হচ্ছে এ ক্বাসিদার রচনা কাল। এটা আরবী হরফের নাম অনুযায়ি সাংকেতিক হিসাব। আরবী হরফের মান অনুযায়িী কাফ=২০, নূন=৫০, তা=৪০০, কাফ =২০, যা=৭, আলিফ=১, সর্বমোট-৫৪৮।

মূলত অলী আল্লাহ গন মহান আল্লাহ তায়ালা’র তরফ থেকে ইলমে লাদুন্নী নামক এক ধরনের বিশেষ জ্ঞান পেয়ে থাকেন। হযরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন সেই ধরনের একজন ওলী আল্লাহ। শাহ নেয়ামতুল্লাহ রহমতুল্লাহি উনার সেই ইলামে লাদুন্নী জ্ঞান এর কিছু অংশ প্রকাশ করেছেন।

(সমাপ্ত)


দ্বাদশ নোট: এবার তিন মুসলিম শিশুকে জবাই করলো হিন্দু



আমার দ্বাদশ নোট: এবার তিন মুসলিম শিশুকে জবাই করলো হিন্দু সন্ত্রাসীরা, আমরা কি বাংলাদেশে আছি না ভারতে?

19 November 2013 at 03:04
বরিশালের গৌরনদীতে তিন মুসলিম শিশুকে জবাই করেছে এক হিন্দু সন্ত্রাসী। শিশুদের মধ্যে একজন শহীদ হয়েছে, বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত রোববার এই জঘন্য ঘটনা ঘটায় নয়ন বালা নামক এক হিন্দু। যদিও এ হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, কিন্তু মিডিয়াগুলো হিন্দু সন্ত্রাসী নয়ন বালাকে মাদকাসক্ত বলে ঘটনার মোড় অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। শুধু তাই না, প্রশাসনের সমস্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তা (বরিশাল-১ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশালের পুলিশ সুপার মো. এহসান উল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার অশোক নন্দী, সুদীপ্ত সরকার, , গৌরনদী থানার ওসি নাজমুল করিম) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। তবে নিহতের পিতা হিন্দু সন্ত্রাসী নয়ন বালা ছাড়াও তার বাবা অমল বালা, চাচা দুলাল বালা, চাচী রুনু বালা, পুস্প বালা, সুবর্ন বালাকে দোষী বলে উল্লেখ করলে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। (http://risingbd.com/detailsnews.php?nssl=c8f0521f5bda726a6f4380142e5b6e6a&nttl=24802#.UopheaK-Zkg)


গত বৃহস্পতিবার বরিশাল সদরে এই কিশোর ছেলেটিকে জবাই করে হত্যা করে হিন্দু সন্ত্রাসীরা। ছেলেটির নাম পারভেজ গাজী।  একই সাথে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় আরো তিন মুসলিম যুবককে। এ ঘটনায় পুলিশ হিন্দু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা প্রকাশ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ জনগণ খুনি হিন্দুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয় বাংলাদেশের হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো। হিন্দুদের পক্ষ নিয়েই মুসলমানদের বিরুদ্ধে একের পর এক নিউজ করতে থাকে প্রথম আলো, ইত্তেফাক, একাত্তর টিভি’র মত মালাউনপন্থী মিডিয়াগুলো (যদিও হিন্দুদের কেউ হতাহত হয়নি)। আর এতে হিন্দুপ্রেমী প্রশাসন হিন্দুদের ত্রাণ দিতে নেমে যায়। আর ধরপাকড় করা হয় নিহত গাজীর পরিবারের সদস্যদের।

হিন্দুদের আক্রমনে শহীদ পারভেজ গাজীর মা পারভীন বেগম বুকফাটা আর্তনাদ নিয়েবলেছেন, “পত্রিকা ও টিভিতে অপনারা শুধু একতরফাভাবে আগুনে পোড়া বাড়িঘরের ছবি দেখাচ্ছেন; কিন্তু আমার পারভেজকে যে মন্দিরের সামনে গাছের সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে এবং রাস্তার ওপর ফেলে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, সেই রক্তের ছবি কি আপনাদের চোখে পড়ে না? আমি আমার জায়গা-জমি সব বিক্রি করে হিন্দুদের বাড়িঘর পোড়ানোর ক্ষতিপূরণ দেবো, তবে আপনারা আমার পারভেজকে এনে দেন!”

এ ঘটনা নিয়ে পরষ্পর বিরোধী দুটি মামলা হয়েছে। হিন্দুরা যে প্রশাসনকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে হিন্দুদের মামলার আসামী সংখ্যা দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায়। মুসলমানরা এক হত্যা মামলার জন্য আসামী করেছে ১৩ সন্ত্রাসী হিন্দুকে। সেখানে হিন্দুরা মামলা করেছে দেশ হাজার জনকে আসামী করে (http://www.amaderbarisal.com/news/55709.aspx) আর এতে হিন্দুদের জন্য ঘরছাড়া হয় এলাকার সমস্ত মুসলমান পুরুষ।

মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই খুলনায় এক হিন্দু যুবক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় তার গলায় রড ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে হিন্দু সন্ত্রাসীরা।

(http://dhakareport24.com/khulna/2013/11/05/7272)

এর আগে খুলনার মহেশপুরে দিপু কুমার নামক এক ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম প্রহার করে হিন্দুরা

(http://www.abna.ir/data.asp?lang=11&Id=211873


বলাবাহুল্য ভারতে গরু জবাই নিষিদ্ধ, কিন্তু মুসলমান জবাই সিদ্ধ। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশেও এই আইন বলবৎ করতে চাচ্ছে হিন্দুরা। অবিলম্বে যদি মুসলমানরা এর প্রতিবাদ না করে, তবে অতি শিঘ্র হিন্দুরা এ দেশেও তাদের রামরাজত্ব কায়েম করবে, পিষে মারবে মুসলমানদের।

এক্ষেত্রে মুসলমানদের যা করা উচিত:
১)    ভয় না পেয়ে সব মুসলমানকে ঈমানী জজবায় একত্র হয়ে এর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা উচিত।
২)    যে সকল মিডিয়া হিন্দুদের পক্ষ নিচ্ছে তাদের অফিস ঘেরাও করা উচিত এবং তাদের সাংবাদিকদের ঐ এলাকা হতে বিতাড়িত করা উচিত।
৩)    যে প্রশাসন হিন্দুদের পক্ষ নিচ্ছে তাদের অফিসও ঘেরাও করা উচিত, কানসাটে যেভাবে মুসলমান এক হয়েছিল ঠিক সেভাবে।
৪)    যে সমস্ত হিন্দুরা মুসলমানের দেশে থেকে মুসলমানদের জবাই করছে তাদের চৌদ্ধ গুষ্টিসহ এলাকা থেকে বিতাড়িত করা উচিত, যেহেতু প্রশাসন এ কাজ করছে না তাই জনগণকে একত্র হয়েই এ কাজ করতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তির সাহস পাবে না তারা।
৫)    জনগণকে এক হয়ে থাকতে হবে, লক্ষ লক্ষ মুসলমান এক হলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন একশন নিতে কখনই সাহস পাবে না।

যারা এ নোটটি পড়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ এর তথ্যগুলো বেশি করে শেয়ার করুন। যদি বরিশাল কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ থাকে তবে তাদের করনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিন। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে আপনাকে মুশরিকদের এ সকল জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার তৌফিক দান করুন। (আমিন)



ছবি: কি দোষ ছিল ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু তানিয়ার 



একাদশ নোট: গোয়েন্দাবাহিনী ও বিচারক পদে গণহারে হিন্দু


আমার একাদশ নোট: গোয়েন্দাবাহিনী ও বিচারক পদে গণহারে হিন্দু নিয়োগ (নিয়োগ পর্ব-৩)

17 November 2013 at 16:54

দেশের নিরাপত্তার জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা বাহিনী। আর বাংলাদেশের এক নম্বর গোয়েন্দা সংস্থা হচ্ছে,‘জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতর’বা ‘এনএসআই’। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সেই গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা বাহিনীও নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে হিন্দুদের হাতে।

এনএসআই’সহকারি পরিচালক পদে থেকে সরকারী ক্ষমতায় প্রভাব বিস্তার করে আছে তিন হিন্দু কর্মকর্তা:


১) বিপ্লবী রাণী (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক প্রটোকল অফিসার এবং বর্তমান এআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদারের স্ত্রী। উল্লেখ্য অতি স্বজনপ্রীতির কারণে ব্যাপক সমালোচিত এই প্রলয় কুমার জোয়ারদার। যার কারণে ক্ষমতার পালাবদলে সমস্যা হতে পারে এ ভয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে দুই বছরের জন্য ছুটিও নিয়ে নিয়েছে প্রলয়)২) সমিরণ হাওলাদার
৩) অসিত বরুন সরকার।

২০১১ সালে সরকার এনএসআইতে নতুন করে ৯৩ জনকে নিয়োগ দেয়। এর মধ্যে  হিন্দু লবিং এ প্রবেশ করানো হয় ২৩ জনকে।

১.   সুভংকর রায়
২.    নরেশ কুমার বিশ্বাস
৩.    পীযূষ কান্তি গুহ
৪.    সুদীপ আইচ রায়
৫.    সুবল চন্দ্র বণিক
৬.    প্রদীপ কুমার অধিকারী
৭.    কৃষ্ণচন্দ্র দাস
৮.    পলাশ কান্তি তালুকদার (প্রলয় কুমার জোয়ারদারের আত্মীয়)৯.    উত্তম চন্দ্র হাওলাদার
১০.    বিক্রমাদিত্য দাস
১১.    জহরলাল রবিদাস
১২.    পঙ্কজ তালুকদার (প্রলয় কুমার জোয়ারদারের আত্মীয়)১৩.    নিরূপম কুমার রায়
১৪.    রাজীব ভট্টাচার্য্য রজত
১৫.    রঞ্জিত পুরকায়স্খ
১৬.    এমএলএসএস নীতিশ দাশ
১৭.    খোকন চক্রবর্তী
১৮.    প্রণয়চন্দ্র সরকার
১৯.    তপন কান্তি পাল
২০.    শংকর জোয়ারর্দার
২১.    শিল্পী রানী দাস
২২.    অপু হাজারী
২৩.    নিতাইচন্দ্র দাস
উল্লেখ্য, পাশের দেশ ভারত ও পাকিস্তানের অনুকরণে বাংলাদেশেও এনএসআইতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের রেওয়াজ দীর্ঘ দিনের। আওয়ামী লীগ সরকার গতবার ক্ষমতায় গিয়ে এ রেওয়াজ ভাঙতে শুরু করে ।

(hindumalu.wordpress.com/2011/07/08/জাতীয়-গোয়েন্দা-সংস্থায়-ব/#more-22)



এবার আসুন যারা এই দেশে বিচার করবে, সেই জজ-বিচারক পদেও প্রবেশ করানো হয়েছে হিন্দুদের। সম্প্রতি ৬ষ্ঠ ব্যাচে সহকারি জজ পদে নিয়োগ দেয়া ১২৪ জনকে। এর মধ্যে ২২ জনই হিন্দু। (শতকরা হিসেবে ১৭ শতাংশ)

নিয়োগপ্রাপ্ত হিন্দু জজরা হলো:

১)    পলাশ কুমার দালাল
১.    নির্জন কুমার মিত্র
২.    রাজীব দে
৩.    পশুপতি বিশ্বাস
৪.    সম্পা রানী দাস
৫.    শমিষ্ঠা বিশ্বাস
৬.    নয়ন চন্দ্র মোদক
৭.    দেবব্রত বিশ্বাস
৮.    রাজেশ চৌধুরী
৯.    সুব্রত মল্লিক
১০.   শান্তি চন্দ্র দেবনাথ
১১.    রাজীব কুমার রায়
১২.    শিপলু কুমারদে
১৩.    কাঞ্চন কুমার কুণ্ডু
১৪.    বীণা দাশ
১৫.    মুক্তা মণ্ডল
১৬.    মুক্তা রাণী
১৭.    সুলেখা দে
১৮.    সঞ্চিতা বিশ্বাস
১৯.    প্রবাল চক্রবর্তী
২০.    বিপ্লব দেবনাথ
২১.    জয়ন্তী রাণীরায়
২২.    কৃষ্ণ কমলরায়

(সূত্র:http://www.lawjusticediv.gov.bd/static/6th_bjs_asst_judge_appointment_revised_notice_504.pdf)


অথচ দেখুন পার্শ্ববর্তী ভারত যে ৬৫ বছর ধরে ধর্ম নিরপেক্ষার লেভেল এটে আছে, তারই উত্তর প্রদেশে সম্প্রতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৭০ জন জজকে। উত্তর প্রদেশে জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মুসলমান, কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত ৭০ জনের মধ্যে একজনও মুসলমান নেই।


(http://muslimmirror.com/eng/no-muslim-among-70-newly-appointed-judges-in-up-justice-itself-wants-justice/)

উপরের সমীক্ষা গুলোদেখলে সহজেই অনুমেয়, বাংলাদেশকে যেভাবে হিন্দুকরণ করা হচ্ছে তাতে এদেশ নাইজেরিয়া হতে আর বেশিদিন সময় লাগবে না। নাইজেরিয়া যেমন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশহলেও তার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহ খ্রিস্টানদের দখলে, মুসলমানরা সেখানে খ্রিস্টানদের অধীনস্ত। তেমনি বাংলাদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ জনগণ মুসলমান হলেও দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদ চলে যাচ্ছে হিন্দুদের দখলে। আর তাই আমরাও হয়ে যাচ্ছি হিন্দুদের অধিনস্ত.......

 

[বি:দ্র:প্রশাসনের হিন্দুদের নিয়ে আমার নবম নোট: www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-নবম-নোট-প্রশাসনে-হিন্দুদের-মাত্রাতিরিক্ত-উপস্থিতি-বেখবর-সাধারণ-জনগণ-নিয়োগ-প/414138512048928 -এ হিন্দু আমলারা কে, কোথায়, কোন পোস্টে আছে তার আপডেট এডিট করে সম্পূর্ণ করা হলো] 




শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৩

দশম নোট: আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে হিন্দু নিয়োগ


আমার দশম নোট: আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে গণহারে হিন্দু নিয়োগ (নিয়োগ পর্ব-২)

12 November 2013 at 01:36
গত অক্টোবরের ঘটনা। পুলিশে এসআই পদে ১৫২০ জনের নিয়োগ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। চাকুরীর আশায় চাতক পাখির মত বসে থাকা ঢাবির মুসলিম ছাত্রটা টের পায়, জঘন্নাথ হলের হিন্দু ছাত্ররা একচেটিয়া টিকে গেছে এসআই পদে, যেখানে অধিকাংশ মুসলিম ছাত্রের মাথায় হাত।
বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা মাত্র ২-৩ শতাংশ হিন্দু, অথচ তারাই আজ ৯৫ শতাংশ মুসলমান ছাত্রদের চাকুরী মেরে খাচ্ছে। যেখানে লক্ষ লক্ষ মুসলিম যুবক চাকুরী খুজঁতে খুজঁতে জুতার তলা হারিয়ে ফেলছে, সেখানে শুধুমাত্র হিন্দুধর্মালম্বী হওয়ার কারণে ভারতীয় লবিং-এ আমাদের দেশের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারি চাকুরীতে গণহারে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের। এতে একদিকে যেমন যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বেকারত্বে হতাশ হচ্ছে মুসলিম যুবকরা, অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও চলে যাচ্ছে হিন্দুদের দখলে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে দেশের স্বাধীনতা।

পুলিশে’র এসআই পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হিন্দুদের তালিকা:

১.    সুব্রত চন্দ্র সরকার
২.    সুরেশ রাজবংশী,
৩.    পলাশ সরকার,
৪.    নীল রতন দাস
৫.    শ্যামল কুমার ধর,
৬.    পংকজ কান্তি সরকার,
৭.    সজীব চন্দ্র রায়
৮.    দিলীপ কুমার মজুমদার
৯.    সুকান্ত বাউল
১০.    রিপন নাগ
১১.    সজল চন্দ্র দাস
১২.    সুব্রত দাস
১৩.    ইমন পাল
১৪.    রাম প্রসাদ ঘোষ,
১৫.    সঞ্জয় গোস্বামী,
১৬.    বিনয় কুমার
১৭.    সুজন কুমার রায়
১৮.    নারায়ন দেবনাথ
১৯.    রাজীব চন্দ্র দাস
২০.    শুভ মন্ডল
২১.    সুদীপ কুমার বিশ্বাস
২২.    তারক চন্দ্র শীল
২৩.    সুজন বিশ্বাস
২৪.    পংকজ কুমার সাহা
২৫.    রিপন চন্দ্র দাস
২৬.    রনী কুমার সাহা
২৭.    উজ্জল চন্দ্র বিশ্বাস
২৮.    লিপন সরকার
২৯.    কুমার দাস
৩০.    মানিক চন্দ্র সাহা
৩১.    সুধাংশু সরকার
৩২.    মিলন সরকার
৩৩.    পল্লব কুমার সরকার
৩৪.    মনীষা বিশ্বাস
৩৫.    প্রদীপ বিশ্বাস
৩৬.    তাপস মন্ডল
৩৭.    সুব্রত বিশ্বাস
৩৮.    মনতোষ বিশ্বাস
৩৯.    চন্দ্রন দে
৪০.    অখিল রায়
৪১.    মিলন মধু
৪২.    সজীব বালা,
৪৩.    দিপা ভৌমিক
৪৪.    মাইকেল বণিক
৪৫.    সুজন বিশ্বাস
৪৬.    রাজু মন্ডল
৪৭.    সঞ্জয় বিশ্বাস
৪৮.    অনির্বান সরকার
৪৯.    বিল্টু কুমার দাস
৫০.    পরিতোষ বালা
৫১.    বাবুল বসু
৫২.    কৃত্তিবাস ঢালী
৫৩.    জয়ন্ত মজুমদার
৫৪.    শ্রীবাস গাইন
৫৫.    পরিমল বিশ্বাস
৫৬.    শক্তিপদ মৃধা
৫৭.    শংকর সরকার
৫৮.    তন্ময় সাহা
৫৯.    দীপক সরকার
৬০.    হরিচাঁদ হাজরা
৬১.    উজ্জল সরকার
৬২.    দীপন কুমার মন্ডল
৬৩.    রতন বৈরাগী
৬৪.    মিন্টু বৈদ্য
৬৫.    পবিত্র কুমার মন্ডল
৬৬.    মিলটন কুমার দেবদাস
৬৭.    অসীম মন্ডল,
৬৮.    শুভ্রজিৎ পাল
৬৯.    দিলীপ কুমার বিশ্বাস
৭০.    সুজিত কুমার কর
৭১.    সুদীপ বাছাড়
৭২.    রতন কুমার ঘোষ
৭৩.    সুবল চন্দ্র পাল
৭৪.    অমিত কুমার সরকার
৭৫.    অনুপ কুমার চেক্সধুরী
৭৬.    সুমন চন্দ্র দাস
৭৭.    উৎপল কুমার সাহা
৭৮.    নিতাই চন্দ্র দাস
৭৯.    সোহেল চন্দ্র সরকার
৮০.    রুপেশ চন্দ্র দাস
৮১.    শাওন চক্রবর্তী
৮২.    অসীত দাস
৮৩.    প্রদীপ চন্দ্র সরকার
৮৪.    লিটন চন্দ্র পাল
৮৫.    চন্দন কুমার পাল
৮৬.    তুহিন চৌধুরী
৮৭.    বকুল সাহা
৮৮.    নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ
৮৯.    প্রণব চক্রবর্তী
৯০.    সজল কুমার ধর
৯১.    অভিজিৎ চৌধুরী
৯২.    বিজন কুমার বিশ্বাস
৯৩.    সুজিত সরকার
৯৪.    উজ্জল সাহা
৯৫.    পলাশ চন্দ্র সরকার
৯৬.    শ্রীবাস চন্দ্র সরকার
৯৭.    বাপ্পা ঘোষ
৯৮.    পলাশ ব্যানার্জি
৯৯.    পলাশ কুমার রায়
১০০.    দেবপ্রিয় পন্ডিত
১০১.    সজীব ঘোষ
১০২.    পুলক সরকার
১০৩.    বিপব কুমার চন্দ্র
১০৪.    তন্ময় কুমার বিশ্বাস
১০৫.    সুমন চন্দ্র সরকার
১০৬.    সোহাগ চন্দ্র সাহা
১০৭.    গনেশ চন্দ্র দে
১০৮.    রতড়বা মিত্র
১০৯.    পার্থ শেখর ঘোষ
১১০.    প্রশান্ত কুমার সাহা
১১১.    মানিক চন্দ্র দে
১১২.    মহিতোষ চন্দ্র সূত্রধর
১১৩.    রাজীব ভৌমিক,
১১৪.    উৎপল দত্ত অপু
১১৫.    মুক্তা সাহা
১১৬.    স্মৃতি রানী দত্ত
১১৭.    অনজনা ভৌমিক
১১৮.    সুলোচনা দেবী
১১৯.    সুকান্ত রায়
১২০.    সবুজ কুমার দেব
১২১.    সুব্রত কুমার দে
১২২.    বিশ্বজিৎ চন্দ্র দে
১২৩.    রাজিব কুমার সাহা
১২৪.    সজল কুমার মজুমদার
১২৫.    সত্যজিৎ কুমার ঘোষ
১২৬.    কালিদাস কর্মকার
১২৭.    বিনয় সরকার
১২৮.    শাওন কুমার বিশ্বাস
১২৯.    পংকজ কুমার আচার্য
১৩০.    তপন চন্দ্র বাকালী
১৩১.    সহদেব কুমার সরকার
১৩২.    সঞ্জয় পাল
১৩৩.    রাজীব পাল
১৩৪.    বেনু কুমার ভৌমিক
১৩৫.    বাবুল কুমার পাল
১৩৬.    সুবীর বিক্রম দে
১৩৭.    শিউলী সরকার
১৩৮.    সুচিত্রা দাশ
১৩৯.    শম্পা হাজারী
১৪০.    ছন্দা ঘোষ
১৪১.    এ্যানি রায়
১৪২.    শাওন দাশ
১৪৩.    সুমিত দাশ
১৪৪.    বিকাশ রুদ্র
১৪৫.    রতন কান্তি দে
১৪৬.    অজয় দেব শীল
১৪৭.    হিরু বিকাশ দে ছোটন
১৪৮.    বাসু দেব নাথ
১৪৯.    প্রিয়তোষ দে
১৫০.    সুবীর পাল
১৫১.    বাপন চক্রবর্ত্তী
১৫২.    রাজিব চন্দ্র পোদ্দার
১৫৩.    সুমন চন্দ্র দাস
১৫৪.    সঞ্জয় রায়
১৫৫.    কিশোর মজুমদার
১৫৬.    প্রদীপ চন্দ্র দে
১৫৭.    ভক্ত চন্দ্র দত্ত
১৫৮.    খোকন দাস
১৫৯.    সুকান্ত সাহা
১৬০.    দয়াল হরি ভৌমিক
১৬১.    অপু কুমার দাশ গুপ্ত
১৬২.    মনি রানী ভৌমিক
১৬৩.    পার্থ রঞ্জন চক্রবর্তী
১৬৪.    তীথংকর দাস
১৬৫.    নাম-মৃনাল কান্তি মজুমদার
১৬৬.    সাধন চন্দ্র নাথ
১৬৭.    স্বর্ণালী মজুমদার
১৬৮.    লীমেন দাশ
১৬৯.    ডালিম কুমার মজুমদার
১৭০.    জীবন রায় চৌধুরী
১৭১.    দিপক চন্দ্র নাথ
১৭২.    অনুপ চক্রবর্তী
১৭৩.    রিপন কুমার
১৭৪.    প্রজ্ঞা পারমাতা দাস
১৭৫.    অসিত কুমার বসাক
১৭৬.    তপন ঘোষ
১৭৭.    লিখন কুমার সরকার
১৭৮.    মোঃ সুব্রত কুমার বিশ্বাস
১৭৯.    মিলন কুমার পোদ্দার
১৮০.    সুপদ হালদার
১৮১.    বিশ্বজিত কুমার
১৮২.    সজল কুমার সরকার
১৮৩.    মিঠুন সরকার
১৮৪.    কনক কুমার সরকার
১৮৫.    সুতসোম সরকার
১৮৬.    লিটন কুমার সাহা
১৮৭.    পিন্টু কুমার দাস
১৮৮.    বিকাশ চক্রবর্তী
১৮৯.    গোপাল চন্দ মন্ডল
১৯০.    গৌতম চক্রবর্তী
১৯১.    বাবন কুমার
১৯২.    রনি কুমার দাস
১৯৩.    অর্জুন কুমার মজুমদার
১৯৪.    সুকান্তকুমার পাল
১৯৫.    দিলীপ কুমার রায়
১৯৬.    কাজল কুমার রায়
১৯৭.    পলাশ চন্দ্র রায়
১৯৮.    দিবাকর রায়
১৯৯.    সবুজ চন্দ্র দেবনাথ
২০০.    প্রলয় কুমার বর্মা
২০১.    লিটন চন্দ্র রায়
২০২.    দেবাশীষ সাহা
২০৩.    মিন্টু চন্দ্র রায়
২০৪.    নয়ন চন্দ্র রায়
২০৫.    তুষার চন্দ্র রায়
২০৬.    মল্লিকা রানী রায়
২০৭.    শিশির কুমার ধর
২০৮.    বাপী কুমার
২০৯.    কিশোর কুমার পাল
২১০.    ঠাকুর দাস রায়
২১১.    রনি কুমার পাল
২১২.    অলকান্ত রায়
২১৩.    প্রভাত চন্দ্র রায়
২১৪.    পরিতোষ চন্দ্র বর্মন
২১৫.    ভূষন চন্দ্র বর্মন
২১৬.    ননি গোপাল বর্মন
২১৭.    আলন চন্দ্র বর্মন
২১৮.    তুষার সরকার
২১৯.    শ্যামল মন্ডল
২২০.    অরুন কুমার দাস
২২১.    সৌরভ দাশ
২২২.    সঞ্জয় মন্ডল
২২৩.    সুদেব পাল
২২৪.    দেবব্রত সরদার
২২৫.    বিভাস কুমার সাহা
২২৬.    দিবাকর মালাকার
২২৭.    উত্তম কুমার মিত্র
২২৮.    গোপাল চক্রবর্তী
২২৯.    কিশোর কুমার বিশ্বাস
২৩০.    তুফান দুলাল মন্ডল
২৩১.    অনিষ মন্ডল
২৩২.    নয়ন কুমার নাগ
২৩৩.    রুবেল মহান্ত
২৩৪.    সঞ্জিত কুমার মন্ডল
২৩৫.    সুশান্ত কুমার খান
২৩৬.    চিন্ময় কুমার দাস
২৩৭.    মৃন্ময় কুমার মন্ডল
২৩৮.    শশাঙ্ক শেখর মন্ডল
২৩৯.    সুশান্ত কুমার মন্ডল
২৪০.    অপুরাম ঘোষ
২৪১.    জয়দেব কুমার বসু
২৪২.    সুমন কুমার চ্যাটার্জী
২৪৩.    মিঠুন দত্ত
২৪৪.    শ্রীনিবাস মিস্ত্রী
২৪৫.    পলাশ কুমার রায়
২৪৬.    দিপন কুমার ঘোষ
২৪৭.    প্রনয় কুমার
২৪৮.    প্রদীপ রায়
২৪৯.    রাজীব কুমার সাহা
২৫০.    শ্রী রাজিব কুমার
২৫১.    অমৃত কুমার বিশ্বাস
২৫২.    তাপস কুমার দত্ত
২৫৩.    দেবব্রত মজুমদার
২৫৪.    বিশ্বজ্বিত পাল
২৫৫.    লিটন কুমার বিশ্বাস
২৫৬.    শ্রীবাস কুন্ডু
২৫৭.    গোপাল সাহা
২৫৮.    বনানী সিংহ
২৫৯.    অনুপ কুমার দাস
২৬০.    অভিজিৎ সিংহ রায়
২৬১.    গৌবন্দ চন্দ্র দাস
২৬২.    আলক চন্দ্র ভক্ত
২৬৩.    কাজল সরকার
২৬৪.    রিপন কুমার বিশ্বাস
২৬৫.    মৃনাল চন্দ্র শিকদার
২৬৬.    রিপন হালদার
২৬৭.    সঞ্জীব কুমার সাহা
২৬৮.    রতন কুমার শীল
২৬৯.    সুজন চক্রবর্তী
২৭০.    মনোজ কুমার সরকার
২৭১.    অমিত সাহা
২৭২.    সুহৃদ দে
২৭৩.    কমল বড়াল
২৭৪.    হরষিৎ মন্ডল
২৭৫.    দোলন মজুমদার
২৭৬.    সমীর রঞ্জন মজুমদার
২৭৭.    পার্থ সারথী হাং
২৭৮.    দিবাকর রায়
২৭৯.    সুদেব
২৮০.    দীপায়ন বড়াল
২৮১.    সুজয় কুমার মজুমদার
২৮২.    শান্তনু দেবনাথ
২৮৩.    তমাল কান্ত দে
২৮৪.    শুভ ব্রত শর্ম্মা
২৮৫.    শাওন দেব নাথ
২৮৬.    কাজল চন্দ্র দেব
২৮৭.    পূর্নেন্দু ভট্টাচার্য্য
২৮৮.    কিরীটি মোহন দাশ
২৮৯.    প্রণব রায়
২৯০.    দেবাশীষ দেব
২৯১.    মাধব চন্দ্র দাস
২৯২.    যতন চন্দ্র পাল
২৯৩.    শশধর বিশ্বাস
২৯৪.    দেবাশীষ সূত্রধর
২৯৫.    বিনয় কুমার চক্রবর্ত্তী
২৯৬.    অঞ্জন কুমার দাশ
২৯৭.    পলাশ চৌধুরী দিপন
২৯৮.    নিহারেন্দু বিজয় দাশ
২৯৯.    রুনা রায়
৩০০.    পলাশ কানু
৩০১.    পরিমল চন্দ্র দাস
৩০২.    বুলবুল বিশ্বাস
৩০৩.    জীবনানন্দ সরকার
৩০৪.    অনুজ চক্রবর্ত্তী
৩০৫.    পিযুষ কান্তি দেবনাথ
৩০৬.    দেবাশীষ শর্ম্মা
৩০৭.    জগৎ জ্যোতি দাস
৩০৮.    সজীব দেব রায়
৩০৯.    সমীরন সিংহ
৩১০.    রাজেন্দ্র প্রসাদ দাশ
৩১১.    পলাশ চন্দ্র দাশ
৩১২.    জনাব সুকোমল ভট্টাচার্য্য
৩১৩.    সৌমেন দাশ
৩১৪.    সুজন তালুকদার
৩১৫.    অসীম গোস্বামী
৩১৬.    রিপটন পুরকায়স্থ
৩১৭.    পীযুষ কান্তি দাস
৩১৮.    সুমন চন্দ্র হাজরা
৩১৯.    গোপেশ চন্দ্র দাস
৩২০.    সুমন চক্রবর্তী
৩২১.    বিষ্ণুপদ রায়
৩২২.    নিকসন দাশ
৩২৩.    রাজীব পাল
৩২৪.    স্বপন কুমার তালুকদার
৩২৫.    বিমল চন্দ্র দে
৩২৬.    রাজীব কুমার রায়
৩২৭.    অজিত কুমার তালুকদার
৩২৮.    শাওন দাস
৩২৯.    ধ্রুবেশ চক্রবর্তী
৩৩০.    প্রদ্যুৎ ঘোষ চৌধুরী
৩৩১.    জিতেন্দ্র বৈষ্ণব
৩৩২.    গৌতম সরকার
৩৩৩.    সুজন তালুকদার
৩৩৪.    শিপলু চৌধুরী

মোট নিয়োগপ্রাপ্ত হিন্দু: ৩৩৪জন, মোটের ২১.৯৭ শতাংশ।

দেখেছেন! জনসংখ্যার মাত্র ২-৩ হিন্দুর জন্য কত সুব্যবস্থা।
এই হলো নিয়োগপ্রাপ্তদের লিস্ট। এখান থেকে হিন্দুদের নামগুলো আলাদা করা হয়েছে। http://www.banglanews24.com/.../si20131022132029.pdf
এবার আসুন দেখি, আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারত, যারা ৬৫ বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষতার সংবিধান ধারন করে আছে, যাদের জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ মুসলমান, সেই ভারতে পুলিশে মুসলমান নিয়োগ কতটুকু:

পশ্চিমবঙ্গ : মুসলমান জনসংখ্যা ২৫.২৫%, পুলিশে চাকুরীতে আছে ৭.৩২%
আসাম : মুসলমান জনসংখ্যা ৩০.৯২ % , পুলিশে চাকুরীতে আছে: ১০.৯৫%
বিহার : মুসলমান জনসংখ্যা ১৬.৫৩% ,পুলিশে চাকুরীতে আছে: ৫.৯৪%
কেরালা : মুসলমান জনসংখ্যা: ২৪.৭%, পুলিশে চাকুরীতে আছে ১২.৯৬%
কর্নাটক : মুসলমান জনসংখ্যা: ১২.২৩% , পুলিশে চাকুরীতে আছে: ৬.৭১%
জম্মু ও কাশ্মীর : মুসলমান জনসংখ্যা: ৬৬.৯৪% , পুলিশে চাকুরীতে আছে: ৫৬.৩৬%
গুজরাট : মুসলমান জনসংখ্যা ৯.০৬% , পুলিশে চাকুরীতে আছে ৫.৯৪%
মহারাষ্ট্র : মুসলমান জনসংখ্যা: ১০.৬০%, পুলিশে চাকুরীতে আছে: ৪.৭১%
উত্তর প্রদেশে : মুসলমান জনসংখ্যা: ১৮.৫০%, পুলিশে চাকুরীতে আছে: ৪.২৪%
তামিল নাড়ু : মুসলমান জনসংখ্যা: ৫.৫৬%, পুলিশে চাকুরীতে আছে ০.১১%

(Statement showingState Wise Disbursements of NMDFC for 2004-05, 2005-06 and 2006-07)


মূলত আলোচিত এ ‘এসআই নিয়োগ’এ একটি বিষয় পুরোপুরি স্পষ্ট, তা হলো: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা হয়ে গেছে স্বাধীনতাপূর্ব পূর্ব পাকিস্তানের মত, যেখানে সংখ্যালঘু হয়েও চাকুরী ক্ষেত্রে বিহারীদের ছিল একছত্র আধিপত্য, কিন্তু সংখ্যাগুরু ও যোগ্যতা সম্পন্ন হয়েও বাঙালীরা ছিল নিপীড়িত নিষ্পেষিত ।
তাই সময় এসেছে সচেতন হওয়ার, প্রতিবাদ করার। হে মুসলিম জাতি! তোমাদের ঘুম ভাঙবে কবে?

[বি:দ্র: পাঠকদের ব্যাপক অনুরোধের কারণে, প্রশাসনে হিন্দুদের নিয়ে আমার নবম নোট (https://www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-নবম-নোট-প্রশাসনে-হিন্দুদের-মাত্রাতিরিক্ত-উপস্থিতি-বেখবর-সাধারণ-জনগণ-১/414138512048928)-এ হিন্দুরা প্রশাসনের কোথায় কোথায় আছে তা ধিরে ধিরে এডিট করে সংযুক্ত করা হচ্ছে]