শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৩

অষ্টম নোট: মুসলমানদের কেন সবাই চুপ?


আমার অষ্টম নোট: মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে বার বার পিষ্ট করা হচ্ছে , তবু কেন সবাই চুপ?

5 November 2013 at 05:10
পাবনার সাঁথিয়ার ঘটনা নিয়ে সরকার ও মিডিয়ার হিন্দুয়ানী কান্না অসহ্য পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হয়েছে সেটা কোন বিষয় না, হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে সেটা অনেক বড় হয়ে দাড়িয়েছে তাদের কাছে।
  প্রথম আলো, কালেরকণ্ঠ ও ইত্তেফাকে নবীজির অবমাননাকে উহ্য করে হিন্দু ও হিন্দুধর্মের জন্য বিরামহীন মায়াকান্না দেখে বোঝা গেছে তাদের গোড়া কোথায়

সাঁথিয়ায় যা ঘটেছে, তা যদি আমরা একটু যাচাই করি তবে বিষয়টা স্পষ্ট হবে:

১) হিন্দু রাজীব সাহা কর্তৃক ফেসবুকে প্রাণপ্রিয় নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে ব্যঙ্গ (নাউজুবিল্লাহ)

২) মুসলমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দরুন ক্ষোভের সঞ্চার এবং ফলাফলে ভাঙচুর

৩) ঘটনার সূত্রপাত তথা হিন্দু কর্তৃক অবমাননার অনুসন্ধান না করে উল্টো মুসলমানদের উপর সরকার ও মিডিয়ার দমন-নিপীড়ন এবং গ্রেফতার।

৪) নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংক্রান্ত অবমাননা আমলে না নিয়ে মন্দির অবমাননাকে আমলে নিয়ে তা দেশব্যপী সরকার ও মিডিয়ার প্রচার

চতুর্থ বিষয়টার দিকে খেয়াল করলে বোঝা যাবে, প্রথমে ইসলাম অবমাননা ছিল শুধু পাবনার একটি গ্রামে। কিন্তু এখন নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টার বাদ দিয়ে হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গার বিষয়টা অধিকগুরুত্ব দিয়ে সারা দেশব্যাপী রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বড় পরিসরে ইসলাম অবমাননা করা হলো। যা সত্যি দেশের জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশ মুসলমানের জন্য পরিতাপের বিষয়।

এখন অনেকে বলতে পারেন, রাজীব সাহা যে ইসলাম অবমাননার করেছে তার দলিল কোথায়। আমি উত্তরে বলবো, শুধু রাজীব কেন প্রত্যেকটা হিন্দুই ফেসবুকে প্রতিনিয়ত ইসলাম অবমাননা করে যাচ্ছে যার বহু দলিল আছে, যা দিয়ে শেষ করা যাবে না। তবে রাজীবের বিষয়টা হয়তো কেউ সেভ রাখেনি, তারা সরিয়ে ফেলেছে। তবে এই সাথিঁয়ার ঘটনা নিয়ে ‘বাঙালী হিন্দু’ পেইজে যে কমেন্টগুলো করা হয়েছে তা দেখলে বুঝবেন, মুসলমানদেরটা খেয়ে-পড়ে কতটুকু সাবলীল ভাষায় হিন্দুরা ইসলাম অবমাননা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যদি এবারই প্রথম হতো তবে একটা কথা। প্রতিবারই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে পাত্তা দেয়া হয়না, দেয়া হয় হিন্দুদের-বৌদ্ধদের। এটা যে মুসলমানদের উপর কতবড় ধর্মীয় নিপীড়ন এবং ঈমানী নির্যাতন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মূলত: সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও মুসলমানরাই এখন সংখ্যালঘুর ন্যায় সর্বদা নিপীড়িত ও নির্যাতিত।

রামুর ঘটনা:
দুঃখ প্রকাশ করে আমাকে এই ছবিটা দিতে হলো:




আপনি বলুন এই ছবিটা দেখলে কি কোন মুসলমানের মাথা ঠিক রাখা সম্ভব?? কখনই না।
যারা এই জঘণ্য কাজটা করেছে তারাই রামুর ঘটনার জন্য দায়ি। কিন্তু এই ছবিটা যারা ছড়িয়েছে তাদের কি গ্রেফতার করেছিল সরকার? করেনি।
উল্টো এই ভয়ঙ্কর ইসলাম বিদ্বেষী ছবি দেখে যে মুসলমানরা জ্ঞানশূন্য হয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন তাদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের ঘটনা:
গত ২৭ মার্চ, ২০১২ কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিদ্যালয়ের মাঠে মঞ্চস্থ্ হয় ‘হুজুর কেবলা’ নামের এক নাটক। নাটকটির পরিচালক ঐ স্কুলের হিন্দু শিক্ষিকা ‘মিতা রানী’। ঐ নাটকটির বিভিন্ন অংকে নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইচ্ছাকৃত অবমাননা করা হয় এবং  নারী লোভী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। (নাউজুবিল্লাহ)
এই ঘটনাটি সাতক্ষীরার ‘দৈনিক দৃষ্টিপাত’ নামক একটি স্থানীয় পত্রিকা প্রকাশ করে। ঐ খবর পড়ে মুসলমানরা এর প্রতিবাদ করে, কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশনে না যাওয়ায়  জনগণ ক্ষোভ সংবরন করতে পারেনি।
পরবর্তীতে দেখা গেলো যে হিন্দু বেজন্মা এই নাটক তৈরী করেছে তার বিচার না করে উল্টো যে পত্রিকা এ খবর ছাপিয়েছে তার সম্পাদককে চরমভাবে হেনস্থা করা হলো এবং পত্রিকাটির ডিক্লেরেশন বাতিল করে দেয়া হয়, একই সাথে বিক্ষুব্ধ মুসলমানদেরকে গণগ্রেফতারও করা হলো।


হিন্দু কর্তৃক বার বার ইসলাম অবমাননা, তবে কি করবে মুসলমান?
কোন নাস্তিক বা বিধর্মী যদি ইসলাম অবমাননা করে তবে মুসলমান কি করবে? ধিরে সুস্থে মামলা করবে? লাভ নেই। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা (২৯৫, ২৯৫ক, ২৯৮ ধারা) মামলাগুলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অনুমোদন ছাড়া নেয় না স্বাধীন (!) বিচার বিভাগ। তাই নিম্ন আদালতের সরনাপন্ন হয়ে লাভ নেই।

ইন্টারনেটে ইসলাম অবমাননার দায়িত্ব বিটিআরসি’র উপর, কিন্তু সেখানেও মালু
ইন্টারনেটে যদি কোন ইসলাম অবমাননা ঘটেই থাকে তবে তা বন্ধের দায়িত্ব নিবে বিটিআরসি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই বিটিআরসি’র কাছে ইসলাম অবমাননকারী ওয়েসসাইটসমূহ বন্ধ করার বহু আবেদন জানিয়েও কোনই লাভ হয়। কারণ বিটিআরসি চেয়্যারম্যান পদে বসে আছে ‘সুনীল কান্তি বোস’ নামক এক ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দু মালু।

অনলাইনে অবমাননার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল, কিন্তু কোথায় সরকার-বিটিআরসি?
অনলাইনে ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বহু আগেই হাইকোর্টে রিট হয়। সেখানে এ সমস্ত ইসলাম বিদ্বেষী পেইজ কেন বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে সরকারের উর্ধ্বতন মহলকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয় (২০১২ সালের ২১শে মার্চ) ।  অনলাইনে ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের এত কঠোর সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও তা পাত্তা দেয়নি সরকার বা বিটিআরসি। এখনো প্রতিনিয়ত খোলা হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষী পেইজ। সরকার এগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে না, কিন্তু এতে কোন মুসলমান ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেলে উল্টো তাকে দমন করা হচ্ছে।
হাইকোর্ট রুলের কপি:




প্রকৃত অর্থে সরকারের উচিত ছিল যারা ইসলাম অবমাননার মত জঘন্য কাজগুলো করছে তাদের আগে চিহ্নিত করা এবং আইনের আওতায় আনা। তখন পরবর্তী ঘটনাগুলো ঘটত না।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে সরকার নিজের ব্যর্থতা দায় মুসলমানদের উপর চাপাচ্ছে এবং ঘটনাগুলোকে ভ্রান্ত রাজনৈতিক ভিত্তির উপর দাড় করিয়ে তা থেকে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে।
একই সাথে মুসলমানদের অনুভূতি থেকে হিন্দুদের অনুভূতিকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেই চরমভাবে ইসলাম অবমাননা করে যাচ্ছে।
তবে সরকারের বোঝা উচিত ছিল, মানুষ এর প্রতিশোধ না নিলেও মহান আল্লাহ তায়ালা কিন্তু তা ক্ষমা করবেন না। কারণ মহান আল্লাহ তায়ালা সবকিছু সহ্য করেন, কিন্তু উনাব হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের  শানে কোন ধরনের বেয়াদবি সহ্য করেন না। তাই যারা এই বেয়াদবির সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেককেই আবু লাহাবের মত কাফফারা আদায় করতে হবে। তারা তাদের ভয়ানক পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকুক।
####

Ib Sohel  মুসলিম কান্ট্রি হওয়ার পরেও বাংলাদেশে সরকার ও মিডিয়ার যাতাকলে পবিত্র ইসলাম ও মুসলমান কেমন করে পিষ্ট হচ্ছে, আর ভারত তাবেদার সরকারের কারণে উগ্র হিন্দু সম্প্রদায় কতটা মাথাচারা দিয়ে ওঠেছে তা এই নোটটিতে স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। হিন্দুদের উগ্রপনা দেখে মনে হচ্ছে যে, তারা হয়তো ভেবে নিয়েছে যে, বাংলাদেশে তাদের রামরাজত্ব কায়েম হতে যাচ্ছে। ফের আ’লীগ আসলেই হয়তো তারাই দেশ চালাবে। তারা যদি এমন ভেবে থাকে তাহলে এটা নিশ্চিত যে, তারা মুসলমানদের ইতিহাস ভুলে গেছে। তাদের অস্তিত্বযে, মুসলমানদের দান সে ইতিহাস তারা ভুলে গেছে। তবে মোঘল বাদশাহদের মতো দয়া, ক্ষমা করে ভুল আর বাংলার মুসলমান করবেনা। এটাও গোঁড়া হিন্দুদের মনে রাখা উচিত।

সাইবার মুজাহিদ ভারতে বিনা কারনে মুসলমান শহীদ করে তার খবর এদেশে পত্রিকায় কেন নাই!!!
ভারতে বিনা কারনে মুসলমানের ঘর বাড়ি পুড়ায়ে দেয় তার বিরুদ্ধে বুদ্ধুজীবিদের আওয়াজ কেন নাই !!
ভারতে বিনা কারনে মক্তব মসজিদ ধ্বংস করে তার কথা চুশীলদের মুখে কেন নাই !!!

ভারতে যখন-তখন মুসলমান মা-বোনের ইজ্জতহরন করে তখন নারীবাদিদের বজ্রকন্ঠ কেন নাই !!
ভারতে যখন মুসলমানদের দেশ ছাড়া করা হয় তখন মানবাধিকারকর্মীদের প্রতিবাদ কেন নাই !!!
ভারতে যখন তখন দাংগা শুরু করে তখন হিন্দুদের কেন সাম্প্রদায়ীকতা নাই !!!

আর যখন এদেশে হিন্দুরা ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে একের পর এক কটুক্তি করার কারনে মুসলমান প্রতিহত করে তখন পত্রিকা, বুদ্ধুজীবি, চুশীল, নারীবাদী,মানবাধিকারগোষ্ঠি এক সাথে ঘেউ ঘেউ করে মুসলমানদের সাম্প্রদায়ীক প্রমান করার চেষ্টা করে ? মুসলমানের বেলায় এদের আওয়াজ তখন থাকে কোথায় ? এদের তাহলে এদেশে থাকার অধিকার কি ? এইসকল কুলাংগার লোকদের স্থান তো এই মুসলিম দেশ হতে পারেনা !! এদের স্থান যেখানে সে সোনাগাছীতে এরা চলে যাক ?
মুসলিম দেশে থেকে মুসলমানের, ইসলামের বিরুদ্ধে কথা তো মুসলমান সহ্য করবেনা!! এখন শুধু বাড়িতে আগুন নয়, যারাই ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাদেরশুদ্ধ সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে হবে


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন