মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

'বোতল হুজুর' কারা?



'বোতল হুজুর' কারা?
 
আমার মতে, যেসব ব্যাক্তি সুন্নাতি দাড়ি টুপি পরে রিজিকের ধান্দায় দ্বীনকে ব্যাবহার করে, স্বার্থের বিনিময়ে অত্যাচারী জালেম শাসকের দালালি করে এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা করে তাদের বোতল হুজুর বলা হয়।
সৌদি বাদশাহ্‌এর পালিত হুজুর(s) 'মাদখালি/আহ্‌লে সৌদ' আতারি মার্কা হুজুরদের থেকে শুরু করে জালিম হাসিনা সরকারের পালিত আলেম(?) 'ওলামালীগ' সকলেই এই বোতল হুজুরদের অন্তর্ভুক্ত।

বোতল হুরু নামকরণের সার্থকতা ও যৌক্তিকতাঃ
ছবিতে দেখা যাচ্ছে বোতলের সাথে এদের ভীষণ মিল। শারীরিকগত মিল ও স্বভাবগত মিল।
ক. বোতলের মুখ ছোট কিন্তু পেট মোটা। বোতল হুজুরদেরও মুখ ছোট কিন্তু পেট মোটা। কারণ এরা এতো খায় যে অলস হয়ে গেছে।
খ. বোতল কেবল মাত্র নিজের ভেতরে কিছু আত্মসাৎ ছাড়া কিছুই পারেনা, বোতল হুজুররাও সবসময় নিজেদের পেটে কিছু ঢোকানোর ধান্দায় থাকে। নিজদের কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা।
গ. সৌদি আরবের উত্তোলিত তেলের ভাগ পায় বলে ওই তেল রাখার জন্য বোতল দরকার। আর সেই বোতল ওরা আমাদের কাছ থেকে কৌশলে আদায় করে। তেলের বোতলের সংগ্রহকারী। তেলের টাকা নিজের পেটে ঢুকায় এজন্য এরাই হলো প্রকৃত বোতল। এজন্য এদের নাম বোতল হুজুর।
বোতল হুজুর আমার দেওয়া নাম, এদের মুল নাম 'দরবারী আলেম', বা মাদখালি, বা আহ্‌লে সৌদ।

বোতল হুজুর চেনার ৮টি প্রধান উপায়ঃ
১। স্বার্থের কারণে দ্বীনকে ব্যবহার করবে। ইসলাম হবে তাদের রোজগারের পথ ও খ্যাতি অর্জনের মাধ্যম।
২। জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে আয়াত ও হাদিসের অপব্যখ্যা করবে। তাগুত/কাফির/জালিম/ফাসেক শাসকের কথামত চলবে, এক আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে শাসকদের অথবা তাদের শাস্তির ভয় করবে। চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে ইসলামের সঠিক কথা বলবেনা।
৩। নিজের রাষ্ট্রের তাগুত/ফাসেক/জালিম অথবা কাফির শাসক যেভাবে চায় সেভাবেই ইসলামের কথা শোনাবে। শাসকদের পক্ষে ও সরকারবিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলবে।
৪। প্রকাশ্য অথবা গোপন দালালি করবে, বিরোধিতাকারীকে তাকফির করবে অথবা খাওয়ারেজী বলবে। বিভ্রান্তি ও বিভেদ সৃষ্টি করবে।
৫। শাসকের চরম অপরাধটিকে দেখেও না দেখার ভান করবে এবং তার প্রশংসা করবে। অত্যাচারী শাসকের জন্য দোয়া করবে।
৬। যারা আল্লাহ্‌র রাস্তায় যুদ্ধ করে এবং সঠিক আকিদাহ পোষণ করে তাদের 'খাওয়ারেজি' এবং চরমভাবে গালাগালি করবে। ছোট খাটো বিষয় নিয় মুসলিমদের মাখে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে।
৭। বাহির থেকে দেখে এদের আকিদাহ বেশ শুদ্ধ মনে হবে কিন্তু ভেতরে ভেতরে জালিম শাসকদের দাসত্ব করবে। শাসকের অন্যায়ে বিরোধিতা করবেনা। শাসকের দেশে বিপ্লব ঠেকাতে এরে সব ধরনের চেষ্টা করবে। শাসকরাও এদের প্রচারনায় বাধা দিবেনা বরং সাহায্য করবে।
৮। এরা প্রথমেই সুন্নাহ্‌ ও বিদআত নিয়ে আলোচনা করে মানুষকে আকৃষ্ট করে এরপর ইসলামের সাথে ধোঁকাবাজি করে। এদের চেহারা অনেক নূরানি হয়ে থাকে এবং সুন্দর দাড়ি থাকে কিন্তু ভেতরে চরম দালালি।

বোতল হুজুরদের নিজস্ব মিডিয়া থাকতে পারে। লক্ষ্য করুন, সামান্য হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের সত্য খবর প্রকাশ করার জন্য আমাদের দেশে দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি বন্ধ হয়ে যায়ে অথচ কাফিররা এসব বোতল হুজুরদের আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো বন্ধ করে দেয়না কারণ কাফিররা জানে বোতল হুজুরেরা যে ইসলামের কথা বলে তা কুরআন হাদিসের ইসলাম নয়। এগুলো হচ্ছে ইউএসএ এর ইসলাম বিরোধী সংস্থা ইউএনও এর ল্যাবরেটরিতে তৈরি ইসলাম। যার কারণে আমেরিকাও এসব বোতল হুজুরদের বিখ্যাত করার জন্য সাহায্য করে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল তাদের সাক্ষাৎকার এবং অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেয় যাতে তারা মানুষকে "ইউএনও এর ল্যাবরেটরিতে তৈরি ইসলাম" প্রচার করতে পারে।
তারা বিভিন্নভাবে মানুষকে সারাদিন "কোথায় হাত বাধতে হবে, মাহযাব মানা যাবে কিনা, সুরা ফাতিহার পর আমীন বলতে হবে কিনা, রফুলে ইয়াদিন পালন করা যাবে কিনা" এসব অতি ছোটখাট এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে মাসলা মাসায়েল দিয়ে এমন বিভ্রান্তির মাঝে ফেলে যাতে মানুষকে জ্বিহাদ বিমুখ হয়। এটা সরাসরি আমেরিকার চক্রান্ত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বেশ কিছু বোতল হুজুর এমনভাবে বিখ্যাত হয়ে গেছে যে এদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই "বেনামাজি মুসলিমরাও" গালি দিবে। কারণ অধিকাংশ মানুসই এখন বোতল হুজুরদের তাকলিদ (অন্ধ অনুসরণ) করা শুরু করে দিয়েছে। বোতল হুজুরেরা কিছু বললে তা যাচাই ছাড়াই মানুষ বিশ্বাস করে নেয়। অর্থাৎ এখানেও পীর তন্ত্র চলে এসেছে। প্রতিটি বোতল হুজুরই ছুপা পীর।

কিছু বোতল হুজুর চরমভাবে হাদিস ও কুরআন এর ব্যখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার ও অপব্যখা করে। বিশিষ্ট একজন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় বোতল হুজুর ইতিমধ্যেই প্রমান করেছে "খিলাফাতের কোন প্রয়োজন নাই, সৌদির রাজতন্ত্রই হালাল ও সহিহ"!
পীরেরা যেমন বলে "জিসকা দো পীর হে উসকো দোন পীর দো ডানা পাকাড়কে বেহেশতমে লেজায়েগা"। আর এইসব বোতল হুজুরেরা বলে "বুকের ওপর হাত বাঁধো, রফুলে ইয়াদিন পালন করো, জোরে আমীন বলো, মাহযাবের ইমামদের মা বাপ তুলে গালি দাও আর মুজাহিদদের খারেজী বলো" তাহলেই বেহেশতো।

এই বোতল হুজুরদের শীর্ষনেতা হলো কাদিয়ানী (আল্লাহ্‌ তার ওপর লানত বর্ষণ করুন), যে কিনা নিজেকে নবী দাবী করেছিল। এই কাদিয়ানীই ইংরেজদের খুশি করার জন্য সর্বপ্রথম বলেছিল "নফসের জ্বিহাদ বওড় জ্বিহাদ"। আফছস আজ আমরা না জেনেই এই কাফিরের ফতোয়ায় হাদিস বলে চালিয়ে দিই।
যারা বলে নফসের জ্বিহাদ বড় জ্বিহাদ, তারা আসলে কেউ মুসলিমই নয়। তারা হলো কাদিয়ানীর এজেন্ট।

সারাবিশ্বের মত আমাদের দেশেও বোতল হুজুর রয়েছে। এরা এদের রব শেখ হাসিনাকে বাঁচানোর জন্য হাদিস ও আয়াতের অপব্যখা করে। আমি নিজে একটি সংসদ অধিবেশনের সরাসরি সম্প্রচারে দেখেছি একজন মুনাফিক দাড়ি টুপি পরে কিভাবে হাদিস ও আয়াতকে বিকৃত করে প্রমান করে দিল "নারী নেতৃত্ব হারাম নয় বরং জায়েজ আছে" নাউজুবিল্লাহ। এদেরকে সবাই আমাদের দেশে "ওলামালীগ বলে চেনে"।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বোতল হুজুরেরা তাদের নিজ নিজ দেশের তাগুত সরকারকে খুশি করার জন্য, মোটা অংকের টাকা পাওয়ার জন্য, টিভিতে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ লাভের আশায়, জনপ্রিয়তার উদ্দেশে কুরআন হাদিসের অপব্যখা করে চলেছে। নূরানি চেহারা আর সুন্নাতি পোশাক নিয়ে এরা মানুষকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। তার মদ্ধে উল্ল্যেখ্যযোগ্য হলো সৌদি বাদশাহ্‌-এর দালালগণ যাদের অধিকাংশই মদিনা বিশ্ববিদ্যাল্য হয়ে পাশ করেছে অথবা ওখানেই শিক্ষকতা করছে।

বাংলাদেশে বোতল হুজুরদের এজেন্ট (মুরিদান) হলো আহ্‌লে হাদীছ নামক একটি ফিরকা। এদের অধিকাংশই সৌদি বাদশাহ্‌এর গোলামী করে আর মুজাহিদদের খারেজী বলে। হয়তবা ওইসব দরবারী আলেম বা বোতল হুজুদের ভণ্ডামি না বুঝেই তারা তাদের অনুসরণ করে চলেছে।
উল্ল্যেখঃ সকল আহ্‌লে হাদীছ একরকম নয়। আমি কুমিল্লার একটি আহ্‌লে হাদীছ আওতাধীন একটি এলাকা চিনি যারা নিজেদের আহ্‌লে হাদীছ পরিচয় দেয় ঠিকই কিন্তু সৌদির পা চাটেনা, রাজতন্ত্র চায়না বরং খিলাফাত চায়, তারা মাহযাব নিয়েও বাড়াবাড়ি করেনা এবং এরা জ্বিহাদপন্থী। এদের মাঝে থেকেই জেএমবি-এর মত শক্তিশালী মুজাহিদ গ্রুপ উঠে এসেছিল। আহ্‌লে হাদীছ পরিচয় দিলেও এরা মুলত সালাফি। সৌদি সালাফি এবং তথাকথিত আহ্‌লে হাদিস এক নয়। সুতরাং আহ্‌লে হাদীছ বলতেই সবাইকে আবার বোতল হুজুর বলে গালি দিবেন না।

বোতল হুজুরদের ব্যাপারে আমাদের করনীয়ঃ
বোতল হুজুরদের মুখোশ খুলে দেওয়া আমাদের জন্য কর্তব্য কারন বোতল হুজুরেরা হলো মুনাফিক। এসব মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সবচেয়ে নিম্নস্তরে। মুনাফিকদের ব্যাপারে সাবধান, কারণ কাফিরদের দ্বারা এতটা ক্ষতি ইসলামের হয়নি যতটা হয়েছে এইসব বোতল হুজুর/ আহ্‌লে সৌদ/ মাদখালি মুনাফিদকের দ্বারা হয়েছে।
এজন্য এদের থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ নাস্তিক ও কাফিরদের বোঝানো যায় কিন্তু এদের বোঝানো যায়না। তবে তারা যদি তাউবা করে চলে আসে তবে তাদের ক্ষমা করুন। এদের বিরুদ্ধে বেশি বেশি লিখতে হবে যাতে মানুষ এদের চিন্তা পারে, এদের ভণ্ডামি ধরতে পারে। এবং জ্বিহাদ শুরু হলে এইসব মুনাফিকদের আগে কল্লা ফালানো হবে ইনশাআল্লাহ্‌।

বিঃদ্রঃ বোতল হুজুর চেনার ৮টি উপায়ের সাথে আপনার প্রিয় হুজুর(!) মিলে গেলে আমি দায়ী নই। তেলের বোতল দায়ী।
শেয়ার করে বোতল উন্মোচনের সাহায্য করুন

Jafran Hasan Shurjo হযরত আবু বাকরা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-যখন কিসরা পদানত হল তখন তাকে বলতে শুনেছি-কে তার পরবর্তী খলীফা? বলা হল-তার মেয়ে। তখন রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন-সে জাতি সফলকাম হয় না, যাদের প্রধান হল নারী।
{সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২২৬২, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৬৮৬, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৫৯৩৭, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৯০৭}

ভাই এখানে দুর্বল হাদিস কোথায় পেলেন? এখানে বেশ কয়েকটা সহিহ হাদিসে একসাথে বলা হয়েছে। আর এই ব্যাপারে মুহাদ্দিস ইমামদের ফতয়াও রয়েছে।




বাবা ইরাকে তুমি ৫ বছরে ১০ লাখ মারছ। এই নাও তোমার মেডেল




হাতটা অনেক গরম




বেস্ট ফ্রেন্ড বুশের সাথে মদের আসরে আমিরুল মুমেনিন ও আহলে কিতাব অর্ধোলঙ্গ গার্লফ্রেন্ডের সাথে ভবিষ্যৎ আমিরুল মুমেনিন ও উম্মুল মুমেনিনরা



যারা জিহাদ করে তারা খারেজী। মার্কিন রশদদাতা সৌদি বাদশাহ আবুল্লাহ মুসলিমের বন্ধু, তার বিরুদ্ধে কথা বলা হারাম। (এটা হাদিসে আছে, যে হাদিস এর বিরুদ্ধে যায় তা সব জাল।) ইখওয়ানুল মুসলেমিন কাফির, হানফিরা বেদাতি, তাবলীগ কাফির, জিহাদিরা কাফির। শুধু আমি ভাল তার প্রমান আমিরুল মুমেনিন আবদুল্লাহ আমাকে পয়সাপাতি দেয়, আর কাউকে দেয়?- বাংলাদেশের আহলে সৌদের গুরু ১০০% সহিহ আকিদাধারী মতি ভাই





সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৩

চতুর্দশ নোট: হিন্দু বিদ্বেষী পোস্ট নিয়ে হেফাজতিদের অপপ্রচার


বাংলার স্বাধীন সুলতানদের যুগটিই বাংলার সর্বাপেক্ষা গৌরবময় যুগ। তখন বাংলা ভারতের বুকে স্বাধীন ও সর্বাপেক্ষা ধনী রাজ্য হিসেবে পরিচিত হয়। ইতিহাসের কথা যদি বলা হয়, সেক্ষেত্রে ইবনে বতুতার বই পড়লেই এসব জানা যাবে।
বাঙালী হিন্দুরা দাবি করতে চায়, তারা ব্রিটিশদের গোলামি করে বাংলার জাগরণ(!) ঘটিয়েছিল। এরকম অদ্ভূত সম্প্রদায় দুনিয়ার বুকে একটিও নেই, যারা মনিবের পা চেটে, মনিবের বিছানায় নিজেদের মা বোনদের পাঠিয়ে, দেশকে বিক্রি করে দিয়ে রেনেসার দাবি করে। বাঙালি হিন্দু যে কতটা নীচ, তা তাদের মূল্যয়ন দেখলেই বোঝা যায়। এদের পরাধীনতাপ্রিয় পা চাটা স্বভাবের জন্যই এরা ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি জাতির পায়ের তলায় আছে এবং থাকবে। এদের দ্বারা কখনো স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠিত হবেনা, যা বাঙ্গালী মুসলমানদের দ্বারা হয়েছে। কারণ বাঙ্গালী মুসলমান স্বাধীন সুলতানি আমলের ঐতিহ্য বহন করে, তারা ঈশা খাঁ, মজনু শাহ উনাদের উত্তরসূরী। আর কলকাতার হিন্দুরা বহন করে তাদের পিতামহীদের ব্রিটিশ উপপতিদের অবৈধ রক্ত, তারা তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পরাধীনতার বীজ বহন করে চলেছে।


আমার চতুর্দশ নোট: দস্তার রাজদরবারের হিন্দু বিদ্বেষী পোস্ট নিয়ে হেফাজতিদের অপপ্রচার, ‘ফল কি? বৃক্ষেই পরিচয়’

December 2, 2013 at 3:31pm


সম্প্রতি দস্তার রাজদরবারের পোস্ট নিয়ে ফতওয়া দিতে শুরু করেছে একদল হেফাজতি। তাদের দাবি, “দস্তার রাজদরবার যে কাজ করছে তা ইসলাম সম্মত নয়, ইসলাম এভাবে হিন্দু বিদ্বেষ ছড়াতে অনুমতি দেয় না” ইত্যাদি ইত্যাদি, এর জন্য তারা চুটকা দলিলও উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে যা মূলত বিভ্রান্তিকর এবং ধোকাবাজির নামান্তর।
বলাবাহুল্য, বুয়েটের সাবেক ছাত্র প্রকৌশলী দস্তার রাজদরবার ব্লগ-ফেসবুকে এক নতুন ইতিহাস রচয়িতার নাম, এতে কোন সন্দেহ নাই। সে যে বিষয়বস্তু দলিল-প্রমাণ সহকারে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে, সেটা কওমী মাদ্রাসা পড়ুয়ারা কখনো কল্পনায় আনতে পারবে কিনা তা সন্দেহ (কথা তিতা হলেও ১০০ ভাগ সত্যি)।
এবার আসুন দেখি, ইসলাম কি কাফেরদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অনুমতি দেয় কিনা।

যিনি সবার সৃষ্টিকর্তা, এমনকি কাফেরদেরও সৃষ্টিকর্তা সেই আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের সম্পর্কে কি বলেছেন:

ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা সর্ব নিকৃষ্ট ও নাপাক:
১) “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে আল্লাহ তায়ালার নিকট কাফিরেরাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।” (সূরা আনফাল- ৫৫)
২) নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক বা অপবিত্র। (সূরা-তাওবাহ, আয়াত : ২৮)
আমার প্রশ্ন: এখন এই আয়াত শরীফের স্বপক্ষে কেউ যদি হিন্দুদের নিকৃষ্ট বা নাপাক বলে তবে কি ভুল হবে??

ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা মুসলমানদের শত্রু, মুসলমানরা তাদের শত্রু:
১) নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদের শত্রু (সূরা বাকারার : ৯৮)
২) ‘তোমরা (মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।’ (সূরা মায়িদা: ৮২)
আমার প্রশ্ন: এখন কেউ যদি তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে তার ফায়সালা কি??

ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধদের সাথে কোন বন্ধুত্ব স্থাপন ও সম্পর্ক রাখা যাবে না:
১) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করোনা। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা মায়িদা-৫১)
৩) “মু’মিনগণ যেন মু’মিনগণ ব্যতীত কাফেরদিগকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যে কেউ এরূপ করবে তার সাথে আল্লাহ’র কোন সম্পর্ক থাকবে না ”(সূরা আল ইমরান: ২৮)
আমার প্রশ্ন: এখন যাদেরকে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা শত্রু বলেছেন, আমি বান্দা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করলে কি তা গুনাহ হবে না সওয়াব হবে? উদাহরণস্বরূপ: কারো বাবার শত্রুর সাথে কেউ কি কখন বন্ধুত্ব স্থাপন করে??

ইহুদী-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধদের ভক্ত হওয়া যাবে না, তাদের শ্রদ্ধা কিংবা প্রশংসা করা যাবে না
১) হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে ভক্তি বা শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে গ্রহণ করোনা।” (সূরা মুমতাহিনা-১)
২) মেশকাত শরীফে আছে, “কোন ফাসেক ব্যক্তির প্রশংসা করেলে, আল্লাহ তায়ালা এতটা অসন্তুষ্ট হন যে উনার অসন্তুষ্টির কারণে আরশ পর্যন্ত প্রকম্পিত হয়।”
তাহলে কাফেরের প্রশংসা করলে কি ভয়ঙ্কর অবস্থা হতে পারে?
আমার প্রশ্ন: যারা মুসলমান নাম দিয়ে পাপাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে মানছে তাদের কি অবস্থা হবে?

ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা আমাদের ঈমান নষ্ট করতে চায় এবং এর জন্য সর্বদা চক্রান্ত করে:
১) মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “তারা এটাই কামনা করে যে, তারা যেরূপ কুফরী করেছে তোমরাও সেইরূপ কুফরী কর, যাতে তোমরা তাদের সমান হয়ে যাও।  (সূরা নিসা: ৮৯)
২) “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।” (সূরা বাক্বারা-১০৯)
৩) মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ইহুদী-নাছারারা কখনো তোমাদের (মুসলমানদের) প্রতি সন্তুষ্ট হবে না যতোক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদের ধর্ম গ্রহণ না করবে বা অনুগত না হবে।”  (সূরা বাক্বারা-১২০)
আমার প্রশ্ন: এখন আল্লাহ কথার স্বপক্ষে কেউ যদি হিন্দুদের ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত তুলে ধরে তবে কি ভুল হবে??

ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা সর্বদা অন্তরে মুসলিম বিদ্বেষী চিন্তা করে:
১) হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও। [সূরা আল ইমরান: ১১৮]
২)  দেখ! তোমরাই তাদের ভালবাস, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না। আর তোমরা সমস্ত কিতাবেই বিশ্বাস কর। অথচ তারা যখন তোমাদের সাথে এসে মিশে, বলে, আমরা ঈমান এনেছি। পক্ষান্তরে তারা যখন পৃথক হয়ে যায়, তখন তোমাদের উপর রোষবশতঃ আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। বলুন, তোমরা আক্রোশে মরতে থাক। আর আল্লাহ মনের কথা ভালই জানেন। [সূরা আল ইমরান: ১১৯]
৩) তোমাদের যদি কোন মঙ্গল হয়; তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে আনন্দিত হয় আর তাতে যদি তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের কোনই ক্ষতি হবে না। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে সে সমস্তই আল্লাহর আয়ত্তে রয়েছে। [সূরা আল ইমরান: ১২০]
আমার প্রশ্ন: হিন্দুদের অন্তরগত বিদ্বেষ কেউ যদি প্রমাণ সহকারে দেখিয়ে দেয় তবে কি গুনাহ হবে??

ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধদের বিরুদ্ধেই জিহাদ ফরজ করেছেন আল্লাহ:
১) “আর তাদের হত্যা করো যেখানেই তোমারা তাদের দেখা পাও, আর তাদের তাড়িয়ে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদের তাড়িয়ে দিয়েছিল, আর উৎপীড়ন যুদ্ধের চেয়ে নিকৃষ্টতর। কিন্তু তাদের হত্যা করো না পবিত্র-মসজিদের আশেপাশে যে পর্যন্ত না তারা সেখানে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, কাজেই তারা যদি তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তবে তোমরাও তাদের সাথে লড়বে। এই হচ্ছে অবিশ্বাসীদের প্রাপ্য।”-সূরা আল বাক্বারাহ (১৯১)
২) নবীজির সময় কাফেরদের সাথে মুসলমানদের ২৭টি যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল, যার ৯টিতে নবীজি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন।

নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকারীর শাস্তি কি হবে?
১) স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা সূরা লাহাবে আবু লাহাবের ধ্বংস হবে বলে ঘোষণা দিলেন এবং তার ধ্বংস নিশ্চিত হলো।
২) বুখারী শরীফে স্পষ্ট করে কাফ বিন আশরাফ ও আবু র’ফের দুটি ঘটনা উল্লেখ আছে। কাফ বিন আশরাফ ছিল ইহুদী কবি, সে কবিতার মাধ্যমে নবীজির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতো আর আবু র’ফে ছিল ইহুদী ব্যবসায়ী। সে বিভিন্ন এলাকায় কনসার্টের মত আয়োজন করে নবীজির বিরুদ্ধে গান-নাচ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতো। (নাউজুবিল্লাহ) নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই সাহাবীগণকে বললেন: কে আছে ঐ ইহুদীকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে। তখন দুইজন সাহাবী ঐ দুই ইহুদীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করলেন।
৩) ১৯২৪ সাল পাকিস্তানের লাহোরে রাজপাল নামক এক কাফের নবীজির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে এক ‘রঙ্গীলা রাসূল’ নামক এক ব্যাঙ্গাত্বক বই লিখেছিল। এই রাজপালের মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল আলীমুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি নামক এক নবী প্রেমিক। আলীমুদ্দিনকে যখন ফাসিকাষ্ঠে নেয়ার পর সে হেসে বলেছিল:
“আমাকে তাড়াতাড়ি ফাসি দাও, ফেরেশতারা আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে আসছে। আমি তাদের দেখতে পাচ্ছি।”
এখন আমার প্রশ্ন: নবীজির বিরুদ্ধে যে হিন্দুরা অপপ্রচার করছে, তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে বলা হলে কি নাজায়িজ হবে?

হিন্দুদের তথা কাফিরদের দেশ থেকে বের করে দেয়া:
১) নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “হেজাজ থেকে সমস্ত মুশরিকদের বের করে দাও।” তাই করা হয়েছিল।
২) খাইবারে ইহুদিদেরকে রাখা হয়েছিল এই শর্তে যে, তাদেরকে যেকোন সময় বের করে দেয়া হতে পারে। সে মুতাবিক হযরত উমর রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহু তাদেরকে পরবর্তীতে বের করে দিয়েছিলেন। নাজরানের খ্রিস্টানদেরকেও তিনি রাখেননি। (সূত্র: শিবলী নোমানীর লেখা ‘আল ফারুক’)
আমার প্রশ্ন: হিন্দুদেরকে কেউ যদি দেশ থেকে বের করে দিতে চায় তবে কি অনৈসলামিক হবে??

মূলত: পবিত্র কুরআন শরীফে কাফেরদের সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলার জন্য কাফেররা তা সহ্য করতে পারে না। কিছুদিন পূর্বে কাফেরদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল: পবিত্র কোরআন শরীফের যে ৭০০ আয়াত (তাদের ভাষায়) এ কাফেরদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে সেগুলো বাদ দিলে তারা মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে। (নাউজুবিল্লাহ)

কিন্তু কারা প্রকৃত সন্ত্রাসী:
১) ইহুদী-খ্রিস্টানারা প্রতিদিন ফিলিস্তিনি আফগানিস্তান ইরাকে লক্ষ লক্ষ মুসলমান মারছে তারাই প্রকৃত সন্ত্রাসী।
২) হিন্দুদের ভোটে জেতার উপায় হচ্ছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করা, যেটা নরেন্দ্র মোদির ক্ষেত্রে প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তু তাদেরকে কেউ সন্ত্রাসী বলে না। মূলত: তারাই প্রকৃত সন্ত্রাসী।
৩) খোদ আমেরিকায় প্রতিদিন গড়ে ১০০ লোক নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে মারা যায়, কিন্তু তাদের টেরোরিস্ট বলা হয় না। মূলত: তারাই প্রকৃত সন্ত্রাসী।
৪) বৌদ্ধরা প্রতিদিন থাইল্যান্ড, মায়ানমার, চীনে মুসলমান মারে কিন্তু এতে তাদের টেরোরিস্ট বলা হয় না। মূলত: তারাই প্রকৃত সন্ত্রাসী।

এবার আসুন দস্তার রাজদরবারের এই কাজের বিরুদ্ধে কেন লেগেছে হেফাজত??

১) দেখবেন হেফাজত অনলাইনে ইসলাম বিদ্বেষী লেখালেখির জন্য সবসময় নাস্তিকদের দায়ি করে। তাদের এই বক্তব্য যতটুকু ইসলামের জন্য, তার থেকে ঢের রাজনীতির জন্য। কারণ সবাই জানে, অনলাইনের ইসলাম বিদ্বেষী লেখালিখি মূল হোতা হচ্ছে হিন্দুরা এবং এভরি (ইসলাম বিদ্বেষী) নাস্তিক  ইজ এ চুপা হিন্দু। কিনতু তাদের কখনই এই কাজের জন্য হিন্দুদের দায়ি করতে দেখা যায় না। তারা আওমীলীগকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে এ জন্য তাদের সকল আন্দোলনের টার্গেট আওয়ামীলীগ। কিন্তু হিন্দু বা খ্রিস্টানরা ইসলাম বা দেশের বিরুদ্ধে কিছু করলে তারা তার বিরুদ্ধে কিছু বলে না। যেমন সম্প্রতি আওয়ামী সরকার টিকফা চুক্তির নামে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে, কিন্তু যেহেতু এর সাথে কাফের আমেরিকা জড়িত তাই তারা এর বিরুদ্ধে কিছুই বলেনি।
২) হিন্দুরা অনলাইনে নবীজির বিরুদ্ধে বললেও উল্টো হেফাজতকে হিন্দুপক্ষ নিতেই দেখা গেছে। যেমন সম্প্রতি সাথিয়ায় রাজীব সাহা নামক এক হিন্দু ফেসবুকে নবীজির বিরুদ্ধে বললে সাধারণ মানুষরা এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বাড়িঘর পুরিয়ে দেয়। কিন্তু দেখা যায় সেই হেফাজতির উল্টো হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে।(http://bangla.irib.ir/2010-04-21-08-29-09/2010-04-21-08-29-54/item/55244-পাবনায়-সাম্প্রদায়িক-হামলা-টিআইবির-উদ্বেগ,-অনেকের-ক্ষোভ)
৩) হেফজাতের গোড়া ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা। সেই দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে সরাসরি হিন্দুদের পক্ষে দালালি করা হয়। নিচের লেখাগুলোতে এর বহু দলিল প্রমাণ সহকারে পাবেন:
ক) www.facebook.com/notes/des-wa/ভারতের-দেওবন্দ-নিয়ে-দস্তার-রাজদরবারের-ঐতিহাসিক-স্ট্যাটাস-এবং-আমার-প্রথম-নোট/406460449483401
খ) www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-তৃতীয়-নোট-মোদি-ইস্যুতে-দেওবন্দে-ভাঙ্গন-প্রতারিত-সাধারণ-মুসলমান/407867649342681
গ) www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-চতুর্থ-নোট-দেওবন্দীরা-হলো-হিন্দু-মার্কা-মুসলমান/408272595968853
ঘ) www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-পঞ্চম-নোট-কাশ্মীরের-পরাধীনতার-কষ্ট-এবং-দেওবন্দী-রাজাকারদের-মুখোশ-উন্মোচন/409008552561924
ঙ) www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-৬ষ্ঠ-নোট-অখণ্ড-ভারত-নীতি-ভুল-প্রমাণিত-ইতিহাসের-কাঠগড়ায়-দেওবন্দী-মওলানারা/409344262528353
চ) www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-সপ্তম-নোট-তেঁতুল-হুজুরদের-তেঁতুল-দর্শন/410949602367819www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-দ্বিতীয়-নোট-নরখাদক-নরেন্দ্র-মোদির-ইতিহাস-কি-মুসলমান-ভুলে-যাবে/406909432771836

ভারতে দেওবন্দ নামক যে বৃক্ষ হিন্দুদের দালাল হয়ে কাজ করছে, তার ফল হেফাজতিরা বাংলাদেশে যে হিন্দুদের হয়ে দালালি করবে এটাই স্বাভাবিক। আলতামাশের লেখা, ‘ঈমান দীপ্ত দাস্তান’ নামক বইয়ে হযরত সালাউদ্দিন আইয়ুবি রহমতুল্লাহি আলাইহির জীবন কাহিনীতে দেখা গেছে:  কাফেরদের এজেন্টরা মসজিদে মসজিদে ইমাম মুয়াজ্জিন সেজে কাফেরদের পক্ষে বলত, উদ্দেশ্য মুসলমানরা যেন জুলুমবাজ কাফেরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারে। যেটা এখন হেফাজত-দেওবন্দীরা করছে। প্রকৃতপক্ষে যারা কাফেরদের পক্ষে বলছে, তারা কখনই মুসলমান হতে পারে না।