বাংলার স্বাধীন সুলতানদের যুগটিই বাংলার সর্বাপেক্ষা গৌরবময় যুগ। তখন বাংলা ভারতের বুকে স্বাধীন ও সর্বাপেক্ষা ধনী রাজ্য হিসেবে পরিচিত হয়। ইতিহাসের কথা যদি বলা হয়, সেক্ষেত্রে ইবনে বতুতার বই পড়লেই এসব জানা যাবে।
বাঙালী হিন্দুরা দাবি করতে চায়, তারা ব্রিটিশদের গোলামি করে বাংলার জাগরণ(!) ঘটিয়েছিল। এরকম অদ্ভূত সম্প্রদায় দুনিয়ার বুকে একটিও নেই, যারা মনিবের পা চেটে, মনিবের বিছানায় নিজেদের মা বোনদের পাঠিয়ে, দেশকে বিক্রি করে দিয়ে রেনেসার দাবি করে। বাঙালি হিন্দু যে কতটা নীচ, তা তাদের মূল্যয়ন দেখলেই বোঝা যায়। এদের পরাধীনতাপ্রিয় পা চাটা স্বভাবের জন্যই এরা ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি জাতির পায়ের তলায় আছে এবং থাকবে। এদের দ্বারা কখনো স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠিত হবেনা, যা বাঙ্গালী মুসলমানদের দ্বারা হয়েছে। কারণ বাঙ্গালী মুসলমান স্বাধীন সুলতানি আমলের ঐতিহ্য বহন করে, তারা ঈশা খাঁ, মজনু শাহ উনাদের উত্তরসূরী। আর কলকাতার হিন্দুরা বহন করে তাদের পিতামহীদের ব্রিটিশ উপপতিদের অবৈধ রক্ত, তারা তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পরাধীনতার বীজ বহন করে চলেছে।
আমার চতুর্দশ নোট: দস্তার রাজদরবারের হিন্দু বিদ্বেষী পোস্ট নিয়ে হেফাজতিদের অপপ্রচার, ‘ফল কি? বৃক্ষেই পরিচয়’
December 2, 2013 at 3:31pm
সম্প্রতি দস্তার রাজদরবারের পোস্ট নিয়ে ফতওয়া দিতে শুরু করেছে একদল হেফাজতি। তাদের দাবি, “দস্তার রাজদরবার যে কাজ করছে তা ইসলাম সম্মত নয়, ইসলাম এভাবে হিন্দু বিদ্বেষ ছড়াতে অনুমতি দেয় না” ইত্যাদি ইত্যাদি, এর জন্য তারা চুটকা দলিলও উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে যা মূলত বিভ্রান্তিকর এবং ধোকাবাজির নামান্তর।
বলাবাহুল্য, বুয়েটের সাবেক ছাত্র প্রকৌশলী দস্তার রাজদরবার ব্লগ-ফেসবুকে এক নতুন ইতিহাস রচয়িতার নাম, এতে কোন সন্দেহ নাই। সে যে বিষয়বস্তু দলিল-প্রমাণ সহকারে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে, সেটা কওমী মাদ্রাসা পড়ুয়ারা কখনো কল্পনায় আনতে পারবে কিনা তা সন্দেহ (কথা তিতা হলেও ১০০ ভাগ সত্যি)।
এবার আসুন দেখি, ইসলাম কি কাফেরদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অনুমতি দেয় কিনা।
যিনি সবার সৃষ্টিকর্তা, এমনকি কাফেরদেরও সৃষ্টিকর্তা সেই আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের সম্পর্কে কি বলেছেন:
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা সর্ব নিকৃষ্ট ও নাপাক:
১) “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে আল্লাহ তায়ালার নিকট কাফিরেরাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।” (সূরা আনফাল- ৫৫)
২) নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক বা অপবিত্র। (সূরা-তাওবাহ, আয়াত : ২৮)
আমার প্রশ্ন: এখন এই আয়াত শরীফের স্বপক্ষে কেউ যদি হিন্দুদের নিকৃষ্ট বা নাপাক বলে তবে কি ভুল হবে??
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা মুসলমানদের শত্রু, মুসলমানরা তাদের শত্রু:
১) নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদের শত্রু (সূরা বাকারার : ৯৮)
২) ‘তোমরা (মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।’ (সূরা মায়িদা: ৮২)
আমার প্রশ্ন: এখন কেউ যদি তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে তার ফায়সালা কি??
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধদের সাথে কোন বন্ধুত্ব স্থাপন ও সম্পর্ক রাখা যাবে না:
১) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করোনা। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা মায়িদা-৫১)
৩) “মু’মিনগণ যেন মু’মিনগণ ব্যতীত কাফেরদিগকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যে কেউ এরূপ করবে তার সাথে আল্লাহ’র কোন সম্পর্ক থাকবে না ”(সূরা আল ইমরান: ২৮)
আমার প্রশ্ন: এখন যাদেরকে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা শত্রু বলেছেন, আমি বান্দা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করলে কি তা গুনাহ হবে না সওয়াব হবে? উদাহরণস্বরূপ: কারো বাবার শত্রুর সাথে কেউ কি কখন বন্ধুত্ব স্থাপন করে??
ইহুদী-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধদের ভক্ত হওয়া যাবে না, তাদের শ্রদ্ধা কিংবা প্রশংসা করা যাবে না
১) হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে ভক্তি বা শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে গ্রহণ করোনা।” (সূরা মুমতাহিনা-১)
২) মেশকাত শরীফে আছে, “কোন ফাসেক ব্যক্তির প্রশংসা করেলে, আল্লাহ তায়ালা এতটা অসন্তুষ্ট হন যে উনার অসন্তুষ্টির কারণে আরশ পর্যন্ত প্রকম্পিত হয়।”
তাহলে কাফেরের প্রশংসা করলে কি ভয়ঙ্কর অবস্থা হতে পারে?
আমার প্রশ্ন: যারা মুসলমান নাম দিয়ে পাপাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে মানছে তাদের কি অবস্থা হবে?
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা আমাদের ঈমান নষ্ট করতে চায় এবং এর জন্য সর্বদা চক্রান্ত করে:
১) মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “তারা এটাই কামনা করে যে, তারা যেরূপ কুফরী করেছে তোমরাও সেইরূপ কুফরী কর, যাতে তোমরা তাদের সমান হয়ে যাও। (সূরা নিসা: ৮৯)
২) “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।” (সূরা বাক্বারা-১০৯)
৩) মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ইহুদী-নাছারারা কখনো তোমাদের (মুসলমানদের) প্রতি সন্তুষ্ট হবে না যতোক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদের ধর্ম গ্রহণ না করবে বা অনুগত না হবে।” (সূরা বাক্বারা-১২০)
আমার প্রশ্ন: এখন আল্লাহ কথার স্বপক্ষে কেউ যদি হিন্দুদের ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত তুলে ধরে তবে কি ভুল হবে??
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা সর্বদা অন্তরে মুসলিম বিদ্বেষী চিন্তা করে:
১) হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও। [সূরা আল ইমরান: ১১৮]
২) দেখ! তোমরাই তাদের ভালবাস, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না। আর তোমরা সমস্ত কিতাবেই বিশ্বাস কর। অথচ তারা যখন তোমাদের সাথে এসে মিশে, বলে, আমরা ঈমান এনেছি। পক্ষান্তরে তারা যখন পৃথক হয়ে যায়, তখন তোমাদের উপর রোষবশতঃ আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। বলুন, তোমরা আক্রোশে মরতে থাক। আর আল্লাহ মনের কথা ভালই জানেন। [সূরা আল ইমরান: ১১৯]
৩) তোমাদের যদি কোন মঙ্গল হয়; তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে আনন্দিত হয় আর তাতে যদি তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের কোনই ক্ষতি হবে না। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে সে সমস্তই আল্লাহর আয়ত্তে রয়েছে। [সূরা আল ইমরান: ১২০]
আমার প্রশ্ন: হিন্দুদের অন্তরগত বিদ্বেষ কেউ যদি প্রমাণ সহকারে দেখিয়ে দেয় তবে কি গুনাহ হবে??
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধদের বিরুদ্ধেই জিহাদ ফরজ করেছেন আল্লাহ:
১) “আর তাদের হত্যা করো যেখানেই তোমারা তাদের দেখা পাও, আর তাদের তাড়িয়ে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদের তাড়িয়ে দিয়েছিল, আর উৎপীড়ন যুদ্ধের চেয়ে নিকৃষ্টতর। কিন্তু তাদের হত্যা করো না পবিত্র-মসজিদের আশেপাশে যে পর্যন্ত না তারা সেখানে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, কাজেই তারা যদি তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তবে তোমরাও তাদের সাথে লড়বে। এই হচ্ছে অবিশ্বাসীদের প্রাপ্য।”-সূরা আল বাক্বারাহ (১৯১)
২) নবীজির সময় কাফেরদের সাথে মুসলমানদের ২৭টি যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল, যার ৯টিতে নবীজি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন।
নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকারীর শাস্তি কি হবে?
১) স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা সূরা লাহাবে আবু লাহাবের ধ্বংস হবে বলে ঘোষণা দিলেন এবং তার ধ্বংস নিশ্চিত হলো।
২) বুখারী শরীফে স্পষ্ট করে কাফ বিন আশরাফ ও আবু র’ফের দুটি ঘটনা উল্লেখ আছে। কাফ বিন আশরাফ ছিল ইহুদী কবি, সে কবিতার মাধ্যমে নবীজির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতো আর আবু র’ফে ছিল ইহুদী ব্যবসায়ী। সে বিভিন্ন এলাকায় কনসার্টের মত আয়োজন করে নবীজির বিরুদ্ধে গান-নাচ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতো। (নাউজুবিল্লাহ) নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই সাহাবীগণকে বললেন: কে আছে ঐ ইহুদীকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে। তখন দুইজন সাহাবী ঐ দুই ইহুদীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করলেন।
৩) ১৯২৪ সাল পাকিস্তানের লাহোরে রাজপাল নামক এক কাফের নবীজির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে এক ‘রঙ্গীলা রাসূল’ নামক এক ব্যাঙ্গাত্বক বই লিখেছিল। এই রাজপালের মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল আলীমুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি নামক এক নবী প্রেমিক। আলীমুদ্দিনকে যখন ফাসিকাষ্ঠে নেয়ার পর সে হেসে বলেছিল:
“আমাকে তাড়াতাড়ি ফাসি দাও, ফেরেশতারা আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে আসছে। আমি তাদের দেখতে পাচ্ছি।”
এখন আমার প্রশ্ন: নবীজির বিরুদ্ধে যে হিন্দুরা অপপ্রচার করছে, তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে বলা হলে কি নাজায়িজ হবে?
হিন্দুদের তথা কাফিরদের দেশ থেকে বের করে দেয়া:
১) নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “হেজাজ থেকে সমস্ত মুশরিকদের বের করে দাও।” তাই করা হয়েছিল।
২) খাইবারে ইহুদিদেরকে রাখা হয়েছিল এই শর্তে যে, তাদেরকে যেকোন সময় বের করে দেয়া হতে পারে। সে মুতাবিক হযরত উমর রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহু তাদেরকে পরবর্তীতে বের করে দিয়েছিলেন। নাজরানের খ্রিস্টানদেরকেও তিনি রাখেননি। (সূত্র: শিবলী নোমানীর লেখা ‘আল ফারুক’)
আমার প্রশ্ন: হিন্দুদেরকে কেউ যদি দেশ থেকে বের করে দিতে চায় তবে কি অনৈসলামিক হবে??
মূলত: পবিত্র কুরআন শরীফে কাফেরদের সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলার জন্য কাফেররা তা সহ্য করতে পারে না। কিছুদিন পূর্বে কাফেরদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল: পবিত্র কোরআন শরীফের যে ৭০০ আয়াত (তাদের ভাষায়) এ কাফেরদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে সেগুলো বাদ দিলে তারা মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে। (নাউজুবিল্লাহ)
কিন্তু কারা প্রকৃত সন্ত্রাসী:
১) ইহুদী-খ্রিস্টানারা প্রতিদিন ফিলিস্তিনি আফগানিস্তান ইরাকে লক্ষ লক্ষ মুসলমান মারছে তারাই প্রকৃত সন্ত্রাসী।
২) হিন্দুদের ভোটে জেতার উপায় হচ্ছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করা, যেটা নরেন্দ্র মোদির ক্ষেত্রে প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তু তাদেরকে কেউ সন্ত্রাসী বলে না। মূলত: তারাই প্রকৃত সন্ত্রাসী।
৩) খোদ আমেরিকায় প্রতিদিন গড়ে ১০০ লোক নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে মারা যায়, কিন্তু তাদের টেরোরিস্ট বলা হয় না। মূলত: তারাই প্রকৃত সন্ত্রাসী।
৪) বৌদ্ধরা প্রতিদিন থাইল্যান্ড, মায়ানমার, চীনে মুসলমান মারে কিন্তু এতে তাদের টেরোরিস্ট বলা হয় না। মূলত: তারাই প্রকৃত সন্ত্রাসী।
এবার আসুন দস্তার রাজদরবারের এই কাজের বিরুদ্ধে কেন লেগেছে হেফাজত??
১) দেখবেন হেফাজত অনলাইনে ইসলাম বিদ্বেষী লেখালেখির জন্য সবসময় নাস্তিকদের দায়ি করে। তাদের এই বক্তব্য যতটুকু ইসলামের জন্য, তার থেকে ঢের রাজনীতির জন্য। কারণ সবাই জানে, অনলাইনের ইসলাম বিদ্বেষী লেখালিখি মূল হোতা হচ্ছে হিন্দুরা এবং এভরি (ইসলাম বিদ্বেষী) নাস্তিক ইজ এ চুপা হিন্দু। কিনতু তাদের কখনই এই কাজের জন্য হিন্দুদের দায়ি করতে দেখা যায় না। তারা আওমীলীগকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে এ জন্য তাদের সকল আন্দোলনের টার্গেট আওয়ামীলীগ। কিন্তু হিন্দু বা খ্রিস্টানরা ইসলাম বা দেশের বিরুদ্ধে কিছু করলে তারা তার বিরুদ্ধে কিছু বলে না। যেমন সম্প্রতি আওয়ামী সরকার টিকফা চুক্তির নামে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে, কিন্তু যেহেতু এর সাথে কাফের আমেরিকা জড়িত তাই তারা এর বিরুদ্ধে কিছুই বলেনি।
২) হিন্দুরা অনলাইনে নবীজির বিরুদ্ধে বললেও উল্টো হেফাজতকে হিন্দুপক্ষ নিতেই দেখা গেছে। যেমন সম্প্রতি সাথিয়ায় রাজীব সাহা নামক এক হিন্দু ফেসবুকে নবীজির বিরুদ্ধে বললে সাধারণ মানুষরা এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বাড়িঘর পুরিয়ে দেয়। কিন্তু দেখা যায় সেই হেফাজতির উল্টো হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে।(http://bangla.irib.ir/2010-04-21-08-29-09/2010-04-21-08-29-54/item/55244-পাবনায়-সাম্প্রদায়িক-হামলা-টিআইবির-উদ্বেগ,-অনেকের-ক্ষোভ)
৩) হেফজাতের গোড়া ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা। সেই দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে সরাসরি হিন্দুদের পক্ষে দালালি করা হয়। নিচের লেখাগুলোতে এর বহু দলিল প্রমাণ সহকারে পাবেন:
ক) www.facebook.com/notes/des-wa/ভারতের-দেওবন্দ-নিয়ে-দস্তার-রাজদরবারের-ঐতিহাসিক-স্ট্যাটাস-এবং-আমার-প্রথম-নোট/406460449483401
খ) www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-তৃতীয়-নোট-মোদি-ইস্যুতে-দেওবন্দে-ভাঙ্গন-প্রতারিত-সাধারণ-মুসলমান/407867649342681
গ) www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-চতুর্থ-নোট-দেওবন্দীরা-হলো-হিন্দু-মার্কা-মুসলমান/408272595968853
ঘ) www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-পঞ্চম-নোট-কাশ্মীরের-পরাধীনতার-কষ্ট-এবং-দেওবন্দী-রাজাকারদের-মুখোশ-উন্মোচন/409008552561924
ঙ) www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-৬ষ্ঠ-নোট-অখণ্ড-ভারত-নীতি-ভুল-প্রমাণিত-ইতিহাসের-কাঠগড়ায়-দেওবন্দী-মওলানারা/409344262528353
চ) www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-সপ্তম-নোট-তেঁতুল-হুজুরদের-তেঁতুল-দর্শন/410949602367819www.facebook.com/notes/des-wa/আমার-দ্বিতীয়-নোট-নরখাদক-নরেন্দ্র-মোদির-ইতিহাস-কি-মুসলমান-ভুলে-যাবে/406909432771836
ভারতে দেওবন্দ নামক যে বৃক্ষ হিন্দুদের দালাল হয়ে কাজ করছে, তার ফল হেফাজতিরা বাংলাদেশে যে হিন্দুদের হয়ে দালালি করবে এটাই স্বাভাবিক। আলতামাশের লেখা, ‘ঈমান দীপ্ত দাস্তান’ নামক বইয়ে হযরত সালাউদ্দিন আইয়ুবি রহমতুল্লাহি আলাইহির জীবন কাহিনীতে দেখা গেছে: কাফেরদের এজেন্টরা মসজিদে মসজিদে ইমাম মুয়াজ্জিন সেজে কাফেরদের পক্ষে বলত, উদ্দেশ্য মুসলমানরা যেন জুলুমবাজ কাফেরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারে। যেটা এখন হেফাজত-দেওবন্দীরা করছে। প্রকৃতপক্ষে যারা কাফেরদের পক্ষে বলছে, তারা কখনই মুসলমান হতে পারে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন