মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

'বোতল হুজুর' কারা?



'বোতল হুজুর' কারা?
 
আমার মতে, যেসব ব্যাক্তি সুন্নাতি দাড়ি টুপি পরে রিজিকের ধান্দায় দ্বীনকে ব্যাবহার করে, স্বার্থের বিনিময়ে অত্যাচারী জালেম শাসকের দালালি করে এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা করে তাদের বোতল হুজুর বলা হয়।
সৌদি বাদশাহ্‌এর পালিত হুজুর(s) 'মাদখালি/আহ্‌লে সৌদ' আতারি মার্কা হুজুরদের থেকে শুরু করে জালিম হাসিনা সরকারের পালিত আলেম(?) 'ওলামালীগ' সকলেই এই বোতল হুজুরদের অন্তর্ভুক্ত।

বোতল হুরু নামকরণের সার্থকতা ও যৌক্তিকতাঃ
ছবিতে দেখা যাচ্ছে বোতলের সাথে এদের ভীষণ মিল। শারীরিকগত মিল ও স্বভাবগত মিল।
ক. বোতলের মুখ ছোট কিন্তু পেট মোটা। বোতল হুজুরদেরও মুখ ছোট কিন্তু পেট মোটা। কারণ এরা এতো খায় যে অলস হয়ে গেছে।
খ. বোতল কেবল মাত্র নিজের ভেতরে কিছু আত্মসাৎ ছাড়া কিছুই পারেনা, বোতল হুজুররাও সবসময় নিজেদের পেটে কিছু ঢোকানোর ধান্দায় থাকে। নিজদের কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা।
গ. সৌদি আরবের উত্তোলিত তেলের ভাগ পায় বলে ওই তেল রাখার জন্য বোতল দরকার। আর সেই বোতল ওরা আমাদের কাছ থেকে কৌশলে আদায় করে। তেলের বোতলের সংগ্রহকারী। তেলের টাকা নিজের পেটে ঢুকায় এজন্য এরাই হলো প্রকৃত বোতল। এজন্য এদের নাম বোতল হুজুর।
বোতল হুজুর আমার দেওয়া নাম, এদের মুল নাম 'দরবারী আলেম', বা মাদখালি, বা আহ্‌লে সৌদ।

বোতল হুজুর চেনার ৮টি প্রধান উপায়ঃ
১। স্বার্থের কারণে দ্বীনকে ব্যবহার করবে। ইসলাম হবে তাদের রোজগারের পথ ও খ্যাতি অর্জনের মাধ্যম।
২। জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে আয়াত ও হাদিসের অপব্যখ্যা করবে। তাগুত/কাফির/জালিম/ফাসেক শাসকের কথামত চলবে, এক আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে শাসকদের অথবা তাদের শাস্তির ভয় করবে। চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে ইসলামের সঠিক কথা বলবেনা।
৩। নিজের রাষ্ট্রের তাগুত/ফাসেক/জালিম অথবা কাফির শাসক যেভাবে চায় সেভাবেই ইসলামের কথা শোনাবে। শাসকদের পক্ষে ও সরকারবিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলবে।
৪। প্রকাশ্য অথবা গোপন দালালি করবে, বিরোধিতাকারীকে তাকফির করবে অথবা খাওয়ারেজী বলবে। বিভ্রান্তি ও বিভেদ সৃষ্টি করবে।
৫। শাসকের চরম অপরাধটিকে দেখেও না দেখার ভান করবে এবং তার প্রশংসা করবে। অত্যাচারী শাসকের জন্য দোয়া করবে।
৬। যারা আল্লাহ্‌র রাস্তায় যুদ্ধ করে এবং সঠিক আকিদাহ পোষণ করে তাদের 'খাওয়ারেজি' এবং চরমভাবে গালাগালি করবে। ছোট খাটো বিষয় নিয় মুসলিমদের মাখে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে।
৭। বাহির থেকে দেখে এদের আকিদাহ বেশ শুদ্ধ মনে হবে কিন্তু ভেতরে ভেতরে জালিম শাসকদের দাসত্ব করবে। শাসকের অন্যায়ে বিরোধিতা করবেনা। শাসকের দেশে বিপ্লব ঠেকাতে এরে সব ধরনের চেষ্টা করবে। শাসকরাও এদের প্রচারনায় বাধা দিবেনা বরং সাহায্য করবে।
৮। এরা প্রথমেই সুন্নাহ্‌ ও বিদআত নিয়ে আলোচনা করে মানুষকে আকৃষ্ট করে এরপর ইসলামের সাথে ধোঁকাবাজি করে। এদের চেহারা অনেক নূরানি হয়ে থাকে এবং সুন্দর দাড়ি থাকে কিন্তু ভেতরে চরম দালালি।

বোতল হুজুরদের নিজস্ব মিডিয়া থাকতে পারে। লক্ষ্য করুন, সামান্য হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের সত্য খবর প্রকাশ করার জন্য আমাদের দেশে দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি বন্ধ হয়ে যায়ে অথচ কাফিররা এসব বোতল হুজুরদের আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো বন্ধ করে দেয়না কারণ কাফিররা জানে বোতল হুজুরেরা যে ইসলামের কথা বলে তা কুরআন হাদিসের ইসলাম নয়। এগুলো হচ্ছে ইউএসএ এর ইসলাম বিরোধী সংস্থা ইউএনও এর ল্যাবরেটরিতে তৈরি ইসলাম। যার কারণে আমেরিকাও এসব বোতল হুজুরদের বিখ্যাত করার জন্য সাহায্য করে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল তাদের সাক্ষাৎকার এবং অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেয় যাতে তারা মানুষকে "ইউএনও এর ল্যাবরেটরিতে তৈরি ইসলাম" প্রচার করতে পারে।
তারা বিভিন্নভাবে মানুষকে সারাদিন "কোথায় হাত বাধতে হবে, মাহযাব মানা যাবে কিনা, সুরা ফাতিহার পর আমীন বলতে হবে কিনা, রফুলে ইয়াদিন পালন করা যাবে কিনা" এসব অতি ছোটখাট এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে মাসলা মাসায়েল দিয়ে এমন বিভ্রান্তির মাঝে ফেলে যাতে মানুষকে জ্বিহাদ বিমুখ হয়। এটা সরাসরি আমেরিকার চক্রান্ত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বেশ কিছু বোতল হুজুর এমনভাবে বিখ্যাত হয়ে গেছে যে এদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই "বেনামাজি মুসলিমরাও" গালি দিবে। কারণ অধিকাংশ মানুসই এখন বোতল হুজুরদের তাকলিদ (অন্ধ অনুসরণ) করা শুরু করে দিয়েছে। বোতল হুজুরেরা কিছু বললে তা যাচাই ছাড়াই মানুষ বিশ্বাস করে নেয়। অর্থাৎ এখানেও পীর তন্ত্র চলে এসেছে। প্রতিটি বোতল হুজুরই ছুপা পীর।

কিছু বোতল হুজুর চরমভাবে হাদিস ও কুরআন এর ব্যখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার ও অপব্যখা করে। বিশিষ্ট একজন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় বোতল হুজুর ইতিমধ্যেই প্রমান করেছে "খিলাফাতের কোন প্রয়োজন নাই, সৌদির রাজতন্ত্রই হালাল ও সহিহ"!
পীরেরা যেমন বলে "জিসকা দো পীর হে উসকো দোন পীর দো ডানা পাকাড়কে বেহেশতমে লেজায়েগা"। আর এইসব বোতল হুজুরেরা বলে "বুকের ওপর হাত বাঁধো, রফুলে ইয়াদিন পালন করো, জোরে আমীন বলো, মাহযাবের ইমামদের মা বাপ তুলে গালি দাও আর মুজাহিদদের খারেজী বলো" তাহলেই বেহেশতো।

এই বোতল হুজুরদের শীর্ষনেতা হলো কাদিয়ানী (আল্লাহ্‌ তার ওপর লানত বর্ষণ করুন), যে কিনা নিজেকে নবী দাবী করেছিল। এই কাদিয়ানীই ইংরেজদের খুশি করার জন্য সর্বপ্রথম বলেছিল "নফসের জ্বিহাদ বওড় জ্বিহাদ"। আফছস আজ আমরা না জেনেই এই কাফিরের ফতোয়ায় হাদিস বলে চালিয়ে দিই।
যারা বলে নফসের জ্বিহাদ বড় জ্বিহাদ, তারা আসলে কেউ মুসলিমই নয়। তারা হলো কাদিয়ানীর এজেন্ট।

সারাবিশ্বের মত আমাদের দেশেও বোতল হুজুর রয়েছে। এরা এদের রব শেখ হাসিনাকে বাঁচানোর জন্য হাদিস ও আয়াতের অপব্যখা করে। আমি নিজে একটি সংসদ অধিবেশনের সরাসরি সম্প্রচারে দেখেছি একজন মুনাফিক দাড়ি টুপি পরে কিভাবে হাদিস ও আয়াতকে বিকৃত করে প্রমান করে দিল "নারী নেতৃত্ব হারাম নয় বরং জায়েজ আছে" নাউজুবিল্লাহ। এদেরকে সবাই আমাদের দেশে "ওলামালীগ বলে চেনে"।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বোতল হুজুরেরা তাদের নিজ নিজ দেশের তাগুত সরকারকে খুশি করার জন্য, মোটা অংকের টাকা পাওয়ার জন্য, টিভিতে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ লাভের আশায়, জনপ্রিয়তার উদ্দেশে কুরআন হাদিসের অপব্যখা করে চলেছে। নূরানি চেহারা আর সুন্নাতি পোশাক নিয়ে এরা মানুষকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। তার মদ্ধে উল্ল্যেখ্যযোগ্য হলো সৌদি বাদশাহ্‌-এর দালালগণ যাদের অধিকাংশই মদিনা বিশ্ববিদ্যাল্য হয়ে পাশ করেছে অথবা ওখানেই শিক্ষকতা করছে।

বাংলাদেশে বোতল হুজুরদের এজেন্ট (মুরিদান) হলো আহ্‌লে হাদীছ নামক একটি ফিরকা। এদের অধিকাংশই সৌদি বাদশাহ্‌এর গোলামী করে আর মুজাহিদদের খারেজী বলে। হয়তবা ওইসব দরবারী আলেম বা বোতল হুজুদের ভণ্ডামি না বুঝেই তারা তাদের অনুসরণ করে চলেছে।
উল্ল্যেখঃ সকল আহ্‌লে হাদীছ একরকম নয়। আমি কুমিল্লার একটি আহ্‌লে হাদীছ আওতাধীন একটি এলাকা চিনি যারা নিজেদের আহ্‌লে হাদীছ পরিচয় দেয় ঠিকই কিন্তু সৌদির পা চাটেনা, রাজতন্ত্র চায়না বরং খিলাফাত চায়, তারা মাহযাব নিয়েও বাড়াবাড়ি করেনা এবং এরা জ্বিহাদপন্থী। এদের মাঝে থেকেই জেএমবি-এর মত শক্তিশালী মুজাহিদ গ্রুপ উঠে এসেছিল। আহ্‌লে হাদীছ পরিচয় দিলেও এরা মুলত সালাফি। সৌদি সালাফি এবং তথাকথিত আহ্‌লে হাদিস এক নয়। সুতরাং আহ্‌লে হাদীছ বলতেই সবাইকে আবার বোতল হুজুর বলে গালি দিবেন না।

বোতল হুজুরদের ব্যাপারে আমাদের করনীয়ঃ
বোতল হুজুরদের মুখোশ খুলে দেওয়া আমাদের জন্য কর্তব্য কারন বোতল হুজুরেরা হলো মুনাফিক। এসব মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সবচেয়ে নিম্নস্তরে। মুনাফিকদের ব্যাপারে সাবধান, কারণ কাফিরদের দ্বারা এতটা ক্ষতি ইসলামের হয়নি যতটা হয়েছে এইসব বোতল হুজুর/ আহ্‌লে সৌদ/ মাদখালি মুনাফিদকের দ্বারা হয়েছে।
এজন্য এদের থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ নাস্তিক ও কাফিরদের বোঝানো যায় কিন্তু এদের বোঝানো যায়না। তবে তারা যদি তাউবা করে চলে আসে তবে তাদের ক্ষমা করুন। এদের বিরুদ্ধে বেশি বেশি লিখতে হবে যাতে মানুষ এদের চিন্তা পারে, এদের ভণ্ডামি ধরতে পারে। এবং জ্বিহাদ শুরু হলে এইসব মুনাফিকদের আগে কল্লা ফালানো হবে ইনশাআল্লাহ্‌।

বিঃদ্রঃ বোতল হুজুর চেনার ৮টি উপায়ের সাথে আপনার প্রিয় হুজুর(!) মিলে গেলে আমি দায়ী নই। তেলের বোতল দায়ী।
শেয়ার করে বোতল উন্মোচনের সাহায্য করুন

Jafran Hasan Shurjo হযরত আবু বাকরা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-যখন কিসরা পদানত হল তখন তাকে বলতে শুনেছি-কে তার পরবর্তী খলীফা? বলা হল-তার মেয়ে। তখন রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন-সে জাতি সফলকাম হয় না, যাদের প্রধান হল নারী।
{সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২২৬২, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৬৮৬, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৫৯৩৭, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৯০৭}

ভাই এখানে দুর্বল হাদিস কোথায় পেলেন? এখানে বেশ কয়েকটা সহিহ হাদিসে একসাথে বলা হয়েছে। আর এই ব্যাপারে মুহাদ্দিস ইমামদের ফতয়াও রয়েছে।




বাবা ইরাকে তুমি ৫ বছরে ১০ লাখ মারছ। এই নাও তোমার মেডেল




হাতটা অনেক গরম




বেস্ট ফ্রেন্ড বুশের সাথে মদের আসরে আমিরুল মুমেনিন ও আহলে কিতাব অর্ধোলঙ্গ গার্লফ্রেন্ডের সাথে ভবিষ্যৎ আমিরুল মুমেনিন ও উম্মুল মুমেনিনরা



যারা জিহাদ করে তারা খারেজী। মার্কিন রশদদাতা সৌদি বাদশাহ আবুল্লাহ মুসলিমের বন্ধু, তার বিরুদ্ধে কথা বলা হারাম। (এটা হাদিসে আছে, যে হাদিস এর বিরুদ্ধে যায় তা সব জাল।) ইখওয়ানুল মুসলেমিন কাফির, হানফিরা বেদাতি, তাবলীগ কাফির, জিহাদিরা কাফির। শুধু আমি ভাল তার প্রমান আমিরুল মুমেনিন আবদুল্লাহ আমাকে পয়সাপাতি দেয়, আর কাউকে দেয়?- বাংলাদেশের আহলে সৌদের গুরু ১০০% সহিহ আকিদাধারী মতি ভাই





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন