আমার দ্বাদশ নোট: এবার তিন মুসলিম শিশুকে জবাই করলো হিন্দু সন্ত্রাসীরা, আমরা কি বাংলাদেশে আছি না ভারতে?
19 November 2013 at 03:04


গত বৃহস্পতিবার বরিশাল সদরে এই কিশোর ছেলেটিকে জবাই করে হত্যা করে হিন্দু সন্ত্রাসীরা। ছেলেটির নাম পারভেজ গাজী। একই সাথে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় আরো তিন মুসলিম যুবককে। এ ঘটনায় পুলিশ হিন্দু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা প্রকাশ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ জনগণ খুনি হিন্দুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয় বাংলাদেশের হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো। হিন্দুদের পক্ষ নিয়েই মুসলমানদের বিরুদ্ধে একের পর এক নিউজ করতে থাকে প্রথম আলো, ইত্তেফাক, একাত্তর টিভি’র মত মালাউনপন্থী মিডিয়াগুলো (যদিও হিন্দুদের কেউ হতাহত হয়নি)। আর এতে হিন্দুপ্রেমী প্রশাসন হিন্দুদের ত্রাণ দিতে নেমে যায়। আর ধরপাকড় করা হয় নিহত গাজীর পরিবারের সদস্যদের।
হিন্দুদের আক্রমনে শহীদ পারভেজ গাজীর মা পারভীন বেগম বুকফাটা আর্তনাদ নিয়েবলেছেন, “পত্রিকা ও টিভিতে অপনারা শুধু একতরফাভাবে আগুনে পোড়া বাড়িঘরের ছবি দেখাচ্ছেন; কিন্তু আমার পারভেজকে যে মন্দিরের সামনে গাছের সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে এবং রাস্তার ওপর ফেলে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, সেই রক্তের ছবি কি আপনাদের চোখে পড়ে না? আমি আমার জায়গা-জমি সব বিক্রি করে হিন্দুদের বাড়িঘর পোড়ানোর ক্ষতিপূরণ দেবো, তবে আপনারা আমার পারভেজকে এনে দেন!”
এ ঘটনা নিয়ে পরষ্পর বিরোধী দুটি মামলা হয়েছে। হিন্দুরা যে প্রশাসনকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে হিন্দুদের মামলার আসামী সংখ্যা দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায়। মুসলমানরা এক হত্যা মামলার জন্য আসামী করেছে ১৩ সন্ত্রাসী হিন্দুকে। সেখানে হিন্দুরা মামলা করেছে দেশ হাজার জনকে আসামী করে (http://www.amaderbarisal.com/news/55709.aspx) আর এতে হিন্দুদের জন্য ঘরছাড়া হয় এলাকার সমস্ত মুসলমান পুরুষ।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই খুলনায় এক হিন্দু যুবক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় তার গলায় রড ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে হিন্দু সন্ত্রাসীরা।

এর আগে খুলনার মহেশপুরে দিপু কুমার নামক এক ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম প্রহার করে হিন্দুরা

বলাবাহুল্য ভারতে গরু জবাই নিষিদ্ধ, কিন্তু মুসলমান জবাই সিদ্ধ। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশেও এই আইন বলবৎ করতে চাচ্ছে হিন্দুরা। অবিলম্বে যদি মুসলমানরা এর প্রতিবাদ না করে, তবে অতি শিঘ্র হিন্দুরা এ দেশেও তাদের রামরাজত্ব কায়েম করবে, পিষে মারবে মুসলমানদের।
এক্ষেত্রে মুসলমানদের যা করা উচিত:
১) ভয় না পেয়ে সব মুসলমানকে ঈমানী জজবায় একত্র হয়ে এর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা উচিত।
২) যে সকল মিডিয়া হিন্দুদের পক্ষ নিচ্ছে তাদের অফিস ঘেরাও করা উচিত এবং তাদের সাংবাদিকদের ঐ এলাকা হতে বিতাড়িত করা উচিত।
৩) যে প্রশাসন হিন্দুদের পক্ষ নিচ্ছে তাদের অফিসও ঘেরাও করা উচিত, কানসাটে যেভাবে মুসলমান এক হয়েছিল ঠিক সেভাবে।
৪) যে সমস্ত হিন্দুরা মুসলমানের দেশে থেকে মুসলমানদের জবাই করছে তাদের চৌদ্ধ গুষ্টিসহ এলাকা থেকে বিতাড়িত করা উচিত, যেহেতু প্রশাসন এ কাজ করছে না তাই জনগণকে একত্র হয়েই এ কাজ করতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তির সাহস পাবে না তারা।
৫) জনগণকে এক হয়ে থাকতে হবে, লক্ষ লক্ষ মুসলমান এক হলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন একশন নিতে কখনই সাহস পাবে না।
যারা এ নোটটি পড়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ এর তথ্যগুলো বেশি করে শেয়ার করুন। যদি বরিশাল কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ থাকে তবে তাদের করনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিন। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে আপনাকে মুশরিকদের এ সকল জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার তৌফিক দান করুন। (আমিন)

ছবি: কি দোষ ছিল ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু তানিয়ার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন