মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৩

৬ষ্ঠ নোট:অখণ্ড ভারত নীতি ও দেওবন্দী




আমার ৬ষ্ঠ নোট: অখণ্ড ভারত নীতি ভুল প্রমাণিত, ইতিহাসের কাঠগড়ায় দেওবন্দী মওলানারা

29 October 2013 at 21:58
(সোনিয়া গান্ধীকে ভৃত্যের ন্যায় অনুসরণ করছে তামাম বিশ্বের দেওবন্দীদের প্রধান আরশাদ মদনী) আমার এ লেখার উদ্দেশ্য ইতিহাস সৃষ্টি করা নয়, ইতিহাস পুনঃসত্যায়িত করা। যারা বাপ দাদারের ভুলগুলোকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চায়, তাদেরকে বাস্তবতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা, বোধ উদয় করা “হ্যাঁ আমার বাপ-দাদারাও ভুল করতে পারে।”
মুসলমানদের ঐতিহাসিক ভুলগুলো চিহ্নিত করাও এই লেখার উদ্দেশ্য, যেন মুসলমান পুনরায় সে ভুল না করে। কারণ ন্যাড়া একবার বেল তলায় গেলেও, মুসলমান ঠিকই বার বার বেল তলায় যায়।

১) নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি  হেজাজ থেকে সমস্ত কাফেরদের বের করে দিতে বলেছিলেন। এটার মূল কারণ ছিল কাফেরদের বদ-তাছির বা খারাপ প্রভাব। অর্থাৎ একজন কাফেরের সাথে থাকলে তার বদ প্রভাব পড়তে পারে। হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পুরো আরব থেকে সমস্ত কাফেরদের বের করে দিয়েছিলেন। শুধু আবু লুলু নামক এক কাফের ছিল, যে ভালো তরবারি বানাতে পারত। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো সেই আবু লুলুই উনাকে শহীদ করলো। অর্থ্যাৎ কাফের মাত্রই মুসলমানদের জন্য ক্ষতিকর। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিলে দেখা যায়, কোন মুসলমান কখনই কাফেরের সাথে থাকার মনোবাসনা পোষণ করতে পারে না, কিন্তু সেই কাজটাই ১৯৪৭ সালে করেছিল দেওবন্দীরা, তারা চেয়েছিল মুসলমানদের সাথে নয়, হিন্দুদের সাথে থাকতে।

২) দেওবন্দীগোষ্ঠীকে প্রায়ই ফখর করতে দেখা যায়, হুসাইন মদনী অখণ্ড ভারতের পক্ষে ছিল বলে। তাদের দাবি, হুসাইন মদনীর সেই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল এবং অখণ্ড ভারত থাকলেই নাকি ভালো হতো।
আজকেও যারা দাড়ি-টুপি পড়ে মূর্খের মত অখণ্ঢ ভারতের পক্ষে কথা বলে তাদের মুখে চপেটাঘাত করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। কারণ এই নীতি ভুল প্রমাণিত হতে বেশি দিন লাগেনি। ১৯৪৭ এ গণহারে মুসলমানদের গলাকাটা আর নারী ধর্ষণ দ্বারা এটাই প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল, ‘দেওবন্দী হুসাইন মদনী’র হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই তত্ত্ব’ সত্য নয় বরং পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদার ৮২ নং আয়াত সত্য ‘নিশ্চয় মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী, অত:পর মুশরিক (হিন্দু)’। আর তাই শত্রুর সাথে একঘরে থাকা কখনই সম্ভব হতে পারে না।



(ছবি: ২০১১ সালে হিন্দু কূটনীতিক ও ইউনিভার্সাল সোসাইটি অব হিন্দুইজম-এর সভাপতি শ্রী রাজন জেড দেওবন্দ মাদ্রাসায় আসলে তাকে সাদরে গ্রহণ করেছে মাদ্রাসার ভাইস চ্যান্সেলর আবুল কাসেম নোমানি)

৩) সাধারণ মানুষের কাছে এই ‘অখণ্ড ভারত’ টার্মটা একটু কঠিন হওয়ায় আমি তা সহজ করে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
‘অখণ্ড ভারত’ ‘অখণ্ড পাকিস্তান’র সাথে তুলনা করা যেতে পারে। যারা পাকিস্তান ভাগ বা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি তারা ‘অখণ্ড পাকিস্তান’ নীতিতে বিশ্বাসী। তবে সমস্যা একটাই, ‘অখন্ড পাকিস্তান’ এ বিশ্বাসীরা চেয়েছিল পাকিস্তান ভাগ না হোক মুসলমান এক থাকুক, আর ‘অখণ্ড ভারত’ গোষ্ঠীরা চেয়েছে ভারত ভাগ না হোক আমরা হিন্দুদের সাথে মিলে মিশে থাকি।
ভারতের মুসলমানরা কেন সেই সময় পৃথক রাষ্ট্রের দাবী করে বসেছিল তা এই সময়কার দেওবন্দীদের অনুধাবন করা সম্ভব নয়। তখন এমন অবস্থা বিরাজমান ছিল যে, সেই অবস্থায় তাদের কোন সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সত্ত্বা বজায় থাকা সম্ভব ছিলনা। তাদের ধর্মীয় অনুশাসন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য চিরতরে বিলুপ্ত হবে, স্বাধীন ভারতে মুসলিমদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে বসবাস করতে হবে। ভারতের মুসলিমরা তখন বিরাজমান বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অসহায় হয়েই মুসলিম লীগের পতাকা তলে একত্রিত হয়েছিলেন। নতুবা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জীবন মরণের সম্মুখীন হবার প্রয়োজন ছিলনা। তাই তো ১৯৪০ সালে এ,কে, ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর অধিবেশনে সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম জনপদ নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র কায়েমের প্রস্তাব করেছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯৪৬ সালে পৃথক রাষ্ট্রের উপর যে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল তাঁর ফলাফলে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশে শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলিমগণ পৃথক রাষ্ট্রের পক্ষেই গণরায় দিয়েছিলেন।



(হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে হিন্দু ঠাকুর ও বিজেপি নেতাদের সাথে দেওবন্দী মওলানা মুফতী আব্দুর রাজ্জাক খান। সূত্র: http://www.thehindu.com/todays-paper/tp-national/sankaracharya-muslim-leaders-emphasise-communal-harmony/article476370.ece)

৪) দেওবন্দীদের এটা মানতেই হবে পাকিস্তান-বাংলাদেশ আছে বলে এই উপমহাদেশে মুসলমানদের আলাদা সত্ত্বা রয়েছে, না হলে ভারতে সেক্যুলারিটির নাম দিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা গরু কুরবানী আইনই শুধু বন্ধ হয়নি, উল্টো দেওবন্দী মওলানাদের দিয়ে গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ফতওয়া পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।

৫) অনেক দেওবন্দীদের বলতে শোনা যায়, সে সময় হিন্দুদের আধিক্য ছিল। এটা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ সেই সময় হিন্দুদের আাধিক্য নয়, হিন্দু মুসলিম সমতা ছিল এবং পাওয়ার ছিল ইংরেজদের হাতে। সুতরাং মুসলমানরা যদি জোর খাটাতো তবে বিষয়টা সহজ হতো না।
অনেক দেওবন্দীরা আবার দাবি, সে সময় এত মুসলমানদের পক্ষে ভারত যাওয়া সম্ভব ছিল না। এটা সম্পূর্ণ ভুল তত্ত্ব। কারণ সেই সময় দেওবন্দীরা হিন্দুদের ‘অখণ্ড ভারত মাতা’ নীতি প্রচার না করে যদি স্বাধীনতার বিষয়টা প্রচার করত তবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যেভাবে ৬টি মুসলমান দেশ হয়েছে তেমনি ভারতের ভেতর থেকেও বেশ কয়েকটি মুসলমান রাষ্ট্র বের হতো। যেমন পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশে একচেটিয়া মুসলমানদের আধিক্য ছিল। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন মুসলমান স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারতো। যা সম্ভব হয়নি দেওবন্দীদের ইসলামের নাম দিয়ে বিরোধীতার কারণে।




(দেওবন্দ বার্ষিক অনুষ্ঠানের অবস্থা দেখুন)

৬) এখন অনেক দেওবন্দীকে ফখর করে বলতে শোনা যায়, ধর্মের ভিত্তিকে রাষ্ট্র হয়েছে পাকিস্তান আর ধর্মনিরপেক্ষ ভারত। এখনো দেওবন্দীরা সেই পুরোনো ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছে যে, তারা ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে বাস করছে এবং এখনও কথিত ধর্ম নিরপেক্ষ কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছে।
কিন্তু ভারত যে ধর্ম নিরপেক্ষ নয় বরং হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র তার জন্য আলাদা লেখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
আর কংগ্রেস যে ধর্মনিরপেক্ষ নয় এটা বুঝতে কেন তাদের ৬৬ বছর সময় লাগলো। এতদিনে কেন হুসাইন মদনীর নাতি মেহমুদ মদনী বলছে কংগ্রেস গুজরাট দাঙ্গার সাথে জড়িত ছিল। যারা মুসলমানদের হর্তা-কর্তা দাবি করে তাদের সত্য বুঝার জন্য ৬৬ বছর প্রয়োজন হয়ে পারে না। (মেহমুদ মদনী  এটা ফাঁস করেছে মুসলমানদের স্বার্থে নয়, মোদির জন্য মুসলমানদের ভোট সংগ্রহের স্বার্থে।  সে যদি মুসলমানদের স্বার্থেই করত তবে ১১ বছর পর নয়, গুজরাট দাঙ্গার বিচারকার্য চলার সময় করত।)



(এরাই বাংলদেশের কওমীদের আদর্শ)

৭) অনেক দেওবন্দী বলেছে অখণ্ড ভারত থাকলে হিন্দুদের মুসলমান বানিয়ে ফেলা যেতো। কিন্তু তাদের এই তত্ত্বতে ভুল প্রমাণ করে উল্টো হিন্দুরা যে খোদ দেওবন্দীদের হিন্দু বানিয়ে ফেলেছে তার দলিল আমার আগের নোটগুলো থেকে পাবেন বলেই আশা করি।

৮) দেওবন্দীরা এখনো মূর্খের মত বলে থাকে ‘পাকিস্তান ও বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের মুসলমানরা  ঈমানি দিক থেকে ভালো আছে”।
কিন্তু নিজেরাই এও বলে, হিন্দুত্ববাদীদের চাপের মুখে গরু কুরবানী বন্ধের ফতওয়া, কিংবা নরেন্দ্র মোদির পক্ষে সাফাই গেতে হয়েছে দেওবন্দী মওলানাদের।  তাহলে তাদের বিচারেই দেখা যাচ্ছে, ভারতে হিন্দুদের কাছে মুসলমানদের ঈমানি অনুভূতির কোন দাম নেই। এমনকি দেওবন্দের মত এক শ্রেণীর মওলানারা পর্যন্ত জীবনের ভয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে ফতওয়া দিতে শুরু করেছে।


দেওবন্দীগুরু আসাদ মদনীকে নির্দেশনা দিচ্ছে সোনিয়া গান্ধী


৯) সর্বশেষ পয়েন্টে বলব: দেওবন্দের অখণ্ড ভারত নীতির ভুল ফতওয়ার কারণে ভারতে যে কোটি কোটি মুসলমান শহীদ হলো, যে কোটি কোটি মুসলিম মা-বোন সম্ভ্রমহরণের শিকার হলো, যে কোটি কোটি মুসলমান ঘর-বাড়ি ছাড়া হলো, যে কোটি কোটি মুসলমান যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকুরী থেকে বঞ্চিত হলো এর জন্য কে দায়ী হবে?? দেওবন্দীরা কি এই দায় এড়াতে পারবে? কখনই তারা তা পারবে না তারা। ইতিহাস তাদের কখনই ক্ষমা করবে না।

অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠায় একরোখা মনোভাবের জন্য দেওবন্দীদেরকে অবশ্যই দাঁড়াতে হবে কাঠগড়ায়, হোক একালে অথবা পরকালে..................





মাজার শরীফগুলোতে যেসব বেশরা কর্মকাণ্ড হয় সেগুলোর দোহাই দিয়ে এরা ওলীআল্লাহগণ উনাদের মাযার শরীফসমূহই ভেঙে দিতে চায়। কিন্তু ভারতে দেওবন্দিদের মূল গুরুরা তাদের বার্ষিক সম্মেলনের অনুষ্ঠানে রামদেবকে ডেকে এনে মাদ্রাসাছাত্রদের সাথে নিয়ে গীতাপাঠ আর যোগসাধনার আসর বসালে তা নিয়ে তাদের শেরেক-বেদাতের উচ্চবাচ্য শোনা যায় না।

এখন যারা অন্ধবিশ্বাসী নয় তাদের জন্যই আমার ফেসবুকে লেখা। দেওবন্দি-জামাতিদের মন যুগিয়ে লিখলে আমিও একপাল নির্বোধবেষ্টিত সেলিব্রেটি হতে পারতাম, কিন্তু সেটা হওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার উদ্দেশ্য মুসলমানদের সত্যটা জানানো, যেন তারা মুনাফিকদের ধোঁকা থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে চলতে পারে।





  লেখা রয়েছে, “দেওবন্দো কি তাবলিগি সরগরমিয়াঁ আপনে উরুজ পার”। অর্থাৎ ”দেওবন্দিদের তাবলিগী আস্ফালন তার আপন উচ্চতায়।“
  তারা বেগানা মেয়েলোকের সাথে গণতন্ত্র করে কিংবা ক্রিকেট খেলে সময় নষ্ট করে।




পঞ্চম নোট: কাশ্মীরের কষ্ট এবং দেওবন্দী মুখোশ উন্মোচন



আমার পঞ্চম নোট: কাশ্মীরের পরাধীনতার কষ্ট এবং দেওবন্দী রাজাকারদের মুখোশ উন্মোচন

29 October 2013 at 03:00
কাশ্মীর নিয়ে আমি ইতিহাস লিখতে বসিনি, ইতিহাস বললে বহু বলা যাবে। এ যাবত এ নিয়ে অনেক ইতিহাস গ্রন্থও রচনা হয়েছে গেছে। আমরা অনেক চোখের পানিও ফেলেছি এই কাশ্মীরকে নিয়ে। কিন্তু আমরা যারা এই কাশ্মীর নিয়ে চোখের পানি ফেলি তারা কি কখন অনুধাবন করেছি, কাশ্মীরিদের পরাধীনতার পেছনে কারণটা কি???
আমরা নিজেরাই কি চেয়েছি, কাশ্মীরের মুসলমানরা স্বাধীন হোক? নাকি নিজ স্বার্থের জন্য মুসলিম ভাইদের ঠেলে দিয়েছি হিন্দু হায়েনাদের মুখে?
তাই কাশ্মীরি মুসলমানদের স্বাধীনতা ও সেই কুখ্যাত রাজাকারদের নিয়ে আমার এই পঞ্চম নোট।


গণভোট ও স্বায়ত্ত্বশাসনের মিথ্যা আশ্বাস হিন্দুত্ববাদী ভারতের, অতঃপর ওয়াদা ভঙ্গ


১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর রাজা হরি সিং এর থেকে কাশ্মীরের ক্ষমতা নিয়েছিল ধোকাবাজ ভারত। হরি সিংকে দেখিয়েছিল স্বায়ত্বশাসনের মুলো আর পাকিস্তানকে দেখিয়েছিল গণভোটের মুলো। কিন্তু কোনটাই বাস্তবায়ন করেনি ভারত।

১৯৪৭ সালে ৩১শে অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কাছে পাঠানো এক বার্তায় মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বলেছিল, “আমরা আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি কাশ্মীরে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসা মাত্র আমার সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করব এবং কাশ্মীরের ভবিষ্যত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার আমারা কাশ্মীরীদের উপর দেব। আমারা এ প্রতিশ্রুতি শুধু আপনার সরকারকেই নয়, কাশ্মীরী জনগণ ও বিশ্বের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”

১৯৪৮ সালের ১৩ই আগস্ট এবং ১৯৪৯ সালের ৫ই জানুয়ারি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ভারতের অনুরোধে কাশ্মীর নিয়ে দুটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। এই প্রস্তাবের একটিতে বলা হয় “কাশ্মীরের জনগণের মতামত যাচাইয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ  গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গণভোটের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে তারা ভারতে থাকবে, না পাকিস্তানে যাবে।”

কিন্তু এই গণভোটের প্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত রাজী হয়নি বিশ্বাসঘাতক ভারত। ১৯৫২ সালে ভারত এই গণভোটকে নাকচ করে দেয়। কারণ তারা জানত যে কাশ্মীরের ৯৩ শতাংশ জনগণ মুসলমান (১৯৪৭ সালের আদমশুমারি অনুযায়ি) সেখানে গণভোটে জনগণের রায় অবশ্যই ভারতের বিপক্ষেই যাবে।

কাশ্মীরীরা স্বাধীনতা চায়, স্বায়ত্বশাসন চায় না। কিন্তু স্বায়ত্বশাসন নামক সেই দু’টাকার ভাগও মুসলমানদের  দিতে নারাজ ছিল হিন্দুত্ববাদী ভারত।
গণভোট বাতিলের পর স্বায়ত্বশাসনের ওয়াদা করেছিল তারা। এজন্য ১৯৫২ সালের সংবিধানে ৩৭০ অনুচ্ছেদ সংযোজন করে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয় তারা।  তখন কাশ্মীরের একটি সংবিধান এবং একটি স্বতন্ত্র পতাকা ছিল। ছিল একজন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু তাতেও সহ্য হলো না হিন্দুদের। মাত্র ১ বছরের মাথায় বিলুপ্ত করা হয় এই বিশেষ মর্যাদার, সংশোধন করা সেই ৩৭০ ধারার। এরপর থেকে জম্মু কাশ্মীর পরিণত হয় খাচায় বন্দী ভারতীয় অঙ্গরাজ্যে। (উল্লেখ্য মোদির নির্বাচনী ওয়াদা হচ্ছে সংবিধানের উক্ত ৩৭০ ধারা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা)

মুসলমান দমন করতে হিন্দুত্ববাদী ভারত কত সেনা নিয়োগ করেছে:


(জম্মু ও ) কাশ্মীরের মুসলমানদের দমন করতে সামরিক-আধা সামরিক সব হিন্দুদের হাতেই অস্ত্র তুলে দিয়েছিল ভারত।
উল্লেখ্য, কাশ্মিরের জনসংখ্যা মাত্র এক কোটি। সেখানে ভারত নিয়োজিত করেছে প্রায় ৫ লক্ষ সেনা। অর্থাৎ প্রতি একলাখ মানুষের জন্য ইরাকে যেখানে ৫৪৫ জন এবং আফগানিস্তানে যেখানে ৩১২ জন দখলদার সেনা রয়েছে, সেখানে কাশ্মিরে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার সেনা!!! 

যুলুম-নির্যাতনের সংক্ষিপ্ত হিসেব:


জম্মু ও কাশ্মীরে মুসলমানদের উপর ভারতীয় দখলদার বাহিনীর যুলুম নিপীড়নের একটি হিসাব (জানুয়ারি ১৯৮৯ থেকে জুলাই ২০১৩ পর্যন্ত)
১) সর্বমোট হত্যা : ৯৩, ৯১০ জন
২) কারাগারে হত্যা : ৭,০০৩ জন
৩) সাধারণ মানুষ গ্রেফতার : ১,২১,৭৩৯ জন
৪) বাড়িঘর ও স্থাপনা ধ্বংস : ১,০৫,৯৮২টি
৫) মুসলিম নারী বিধবা হন : ২২,৭৭০ জন
৬) মুসলিম শিশু এতিম হয় : ১,০৭,৪৫৭ জন
৭) মুসলিম নারী গণসম্ভ্রমহানীর শিকার হন : ১০,০৬২ জন
২৪ বছরে এই হিসেব হলে, ৬৬ বছরের হিসেব কত আপনারাই বলুন???

হিন্দু সন্ত্রাসীদের খাচায় বন্দি পাখি ‘কাশ্মীর’

কাশ্মিরীদের স্বাধীনতা আন্দোলন কতটা তীব্র আকার ধারণ করেছে সেটা বুঝানোর জন্য ভারতীয় সাহিত্যিক অরুণদ্ধুতি রায় লন্ডনের দৈনিক গার্ডিয়ানে কয়েক বছর আগে একটা নিবন্ধ লিখেছিল।
অরুণদ্ধুতি রায় লিখেছে: গত ১৫ই আগষ্ট ছিল ভারতের স্বাধীনতা দিবস। সেদিন শ্রীনগরের কেন্দ্রস্থল লালা চক দখলে নিয়েছিল বিশাল জনসমুদ্র। তারা  আওয়াজ তুলছিল ‘জিয়ে জিয়ে পাকিস্তান’। অর্থাৎ পাকিস্তান জিন্দাবাদ। স্লোগান তুলছিল, ‘হাম কিয়া চাহতে হেঁ?’  (আমরা কি চাই?) জনতার মুখে জবাব ছিল ‘আযাদী’ (স্বাধীনতা)। জিজ্ঞাসার সুরে স্লোগান উঠছিল, ‘‘আযাদী কা মতলিব কিয়া (অর্থঃ স্বাধীনতার লক্ষ্য কি?) জনতা সমস্বরে জবার দিচ্ছিল- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। আওয়াজ উঠছিল, পাকিস্তান সে রিশতা কিয়া? (অর্থঃ পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক কি?) জনতা জবাব দিচ্ছিল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। তারা বলেছে, ‘এ্যায় জাবেরো, এ্যায় জালেমো! কাশ্মির হামারা ছোড় দো’’ অর্থঃ ‘‘হে অত্যাচারি, হে জালেম! আমাদের কাশ্মির ছেড়ে দাও।’’ অরুন্ধতি রায় আরো লিখেছে, তারা আরো বলেছে, ‘‘নাঙ্গাভূখা হিন্দুস্তান, জান সে পেয়ারা পাকিস্তান।’’
১৫ই আগষ্টে সবুজ পতাকা ছেয়ে ফেলেছিল শ্রীনগর শহর। অথচ ভারতের স্বাধীনতার এ দিনটিতে ভারতের পতাকা শোভা পাওয়াই স্বাভাবিক ছিল। ঐ দিনকে ‘গোলামীর দিন’ রূপে ধ্বণিত করছিল। জনতার ঢল নেমেছিল শুধু শ্রীনগরে নয়, শহরতলীর গ্রামগুলোতেও।
http://www.theguardian.com/world/2008/aug/22/kashmir.india


কাশ্মীরী মুসলমানদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকের ভূমিকায় দেওবন্দীরা
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় হিন্দুদের সাথেই থাকতে চেয়েছিল এই দেওবন্দরা। কথিত অখণ্ড ভারত নীতির নামে হিন্দুদের পক্ষালম্বন করে হিন্দুদের সীমনাবৃদ্ধিতে তারা রেখেছিল কার্যকর ভূমিকা । (দেখবেন বাংলাদেশের দেওবন্দী-কওমীরাও বলে অখণ্ড ভারত থাকলে খুব ভালো হতো এবং সে সিদ্ধান্ত খুবই সঠিক ছিল)
বহু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা দেওবন্দীদের বেঈমানির কারণে চলে যায় হিন্দুদের ক্ষমতায়। সেই ধারাবাহিকতায় ওয়াদা ভঙ্গকারী ভারতের পক্ষ নিয়ে কাশ্মীরের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে যায় এই দেওবন্দীরা।
গত ৬৬ বছর ধরে নির্যাতিত কাশ্মীরীরা যে স্বাধীনতা চেয়েছে তা কখনই মেনে নিতে পারেনি তারা। হিন্দুত্ববাদী কংগ্রেস আর বিজেপির মত তারাও কাশ্মীরের মুসলমানদের পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এমনকি ভারতে মুসলমানরা যেন জিহাদ না করতে পারে সে জন্যও ইসলামের নাম দিয়ে ফতওয়া বুক কাপেনি এই দেওবন্দীদের।




http://www.ndtv.com/article/india/future-of-j-k-is-with-india-says-deoband-59063
এনডিটিভি এই ভিডিওটা দেখুন (পেইজে গিয়ে ভিডিও দেখতে ক্লিক টু এক্সপান্ড এন্ড প্লে করতে হবে)। সেখানে মুসলমানদের জন্য বুক ভাসিয়ে দিচ্ছে দেওবন্দে হুসেন মদনীর নাতি আর আসাদ মদনীর ছেলে মেহমুদ মদনী। কিন্তু তার মূল কথার সার কথা হচ্ছে, কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবেই থাকতে হবে, ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংবিধান মেনে চলতে হবে, তাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম কিছুতেই মেনে নেয়া নেয়া যাবে না।



হিন্দুত্ববাদীদের এত জুলুম নির্যাতনের পর ভারতে জিহাদ করার কোন দরকার নেই বলে বক্তব্য দিয়েছে দেওবন্দ। তারা বলেছে ভারত হচ্ছে মুসলিম বান্ধব এলাকা বা ‘দারুল আল আমান’, তাই এখানে জিহাদ অপ্রয়োজনীয়। আবার লক্ষ্য করুন এই বক্তব্য তারা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘ধর্ম রক্ষা মঞ্চ’র অনুরোধের, যারা চায় ভারতের মুসলমানদের স্বাধীনতা সংগ্রাম বন্ধ হোক।
সূত্র: http://www.hindustantimes.com/India-news/No-jihad-in-India-says-Darul-Uloom-Deoband/Article1-382288.aspx

আসলে দেওবন্দীরা কথিত ‘অখণ্ড ভারতে বিশ্বাসী’ এই অতিভদ্র শব্দ দ্বারা তাদের আখ্যায়িত করা কখনই উচিত নয়। যারা বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরোধী ছিলো তাদেরকে যদি ‘রাজাকার’ নামে ডাকা হয়, তবে ’৪৭ এ যারা মুসলমান দেশ সৃষ্টির বিরুদ্ধে ছিল এবং এখনো মুসলমানদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধতা করে যাচ্ছে তাদেরকেও রাজাকার নামে ডাকা উচিত।
সময় এসেছে এই ঘৃণ্য রাজাকারদের চিহ্নিত করার এবং বর্জন করার। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। (আমিন)




সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩

চতুর্থ নোট: দেওবন্দীরা হলো হিন্দু মার্কা


আমার চতুর্থ নোট: দেওবন্দীরা হলো হিন্দু মার্কা মুসলমান

27 October 2013 at 12:30

যোগ (সংস্কৃত, পালি: योग yóga) ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভুত একপ্রকার ঐতিহ্যবাহী শারীরবৃত্তীয় ও মানসিক সাধনপ্রণালী। "যোগ" শব্দটির দ্বারা হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের ধ্যানপ্রণালীকেও বোঝায়হিন্দুধর্মে এটি হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রাচীনতম (আস্তিক) শাখার অন্যতমজৈনধর্মে যোগ মানসিক, বাচিক ও শারীরবৃত্তীয়কিছু প্রক্রিয়ার সমষ্টি
হিন্দু দর্শনে যোগের প্রধান শাখাগুলিহল রাজযোগ,কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ ও হঠযোগভারতীয় দার্শনিকসর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের মতে, পতঞ্জলির যোগসূত্রে যে যোগের উল্লেখআছে, তা হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রধান শাখার অন্যতম (অন্যান্য শাখাগুলি হলো কপিলের সাংখ্য, গৌতমের ন্যায়,কণাদের বৈশেষিক, জৈমিনীর পূর্ব মীমাংসা ও বদরায়ানেরউত্তর মীমাংসা বা বেদান্ত)অন্যান্যযেসব হিন্দু শাস্ত্রগ্রন্থে যোগের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলি হলো উপনিষদ্‌, ভগবদ্গীতা,হঠযোগ প্রদীপিকা, শিব সংহিতা ও বিভিন্ন তন্ত্রগ্রন্থ
সংস্কৃত "যোগ" শব্দটির একাধিকঅর্থ রয়েছেএটি সংস্কৃত"যুজ" ধাতু থেকে ব্যুৎপন্ন, যার অর্থ "নিয়ন্ত্রণ করা", "যুক্ত করা" বা "ঐক্যবদ্ধ করা"। "যোগ" শব্দটির আক্ষরিক অর্থ তাই "যুক্ত করা", "ঐক্যবদ্ধ করা", "সংযোগ" বা "পদ্ধতি"সম্ভবত "যুজির্সমাধৌ" শব্দটি থেকে "যোগ"শব্দটি এসেছে,যার অর্থ "চিন্তন" বা "সম্মিলন"দ্বৈতবাদী রাজযোগের ক্ষেত্রে এই অনুবাদটি যথাযথকারণ উক্ত যোগে বলা হয়েছে চিন্তনের মাধ্যমে প্রকৃতি ও পুরুষেরমধ্যে ভেদজ্ঞান জন্মেযে যোগ অনুশীলন করে বা দক্ষতারসহিত উচ্চমার্গের যোগ দর্শন অনুসরণ করে, তাঁকে যোগীবা যোগিনী বলা হয়

ইতিহাস

বৈদিক সংহিতায় তপস্বীদের উল্লেখ থাকলেও, তপস্যার (তপঃ) উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থে (৯০০ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)সিন্ধু সভ্যতার (৩৩০০১৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) বিভিন্ন প্রত্নস্থলে পাওয়া সিলমোহরেধ্যানাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির ছবি পাওয়া গেছেপুরাতত্ত্ববিদ গ্রেগরি পোসেলের মতে, এই ভঙ্গিমাটি "যোগের পূর্বসূরিএক ধর্মীয় আচারের রূপ"কোনো কোনোবিশেষজ্ঞ সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলমোহর এবং পরবর্তীকালের যোগ অনুশীলনের মধ্যে একটিসংযোগ সূত্রের কথা অনুমান করেছেকিন্তু এর কোনো স্পষ্ট প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি
ধ্যানের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরেউন্নীত হওয়ার পদ্ধতি হিন্দুধর্মের শ্রামণিক ও ঔপনিষদ ধারায় বর্ণিত হয়েছে
প্রাক-বৌদ্ধ ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থগুলিতেধ্যানের উল্লেখ পাওয়া যায় নাতা সত্ত্বেওওয়েইনি নিরাকার ধ্যানপদ্ধতিকে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম থেকেও উৎসারিত বলে মনে করেছেএর প্রমাণস্বরূপ সে ঔপনিষদ বিশ্ববর্ণনা ও আদিযুগীয় বৌদ্ধগ্রন্থগুলিতে বর্ণিত বুদ্ধের দুই গুরুর ধ্যানকেন্দ্রিক লক্ষ্যের শক্তিশালী সমান্তরালধারাটির উল্লেখ করেছেতবে সে কম সম্ভাবনাময় বিষয়গুলিরও উল্লেখ করতে ভোলেনিতাঁর মতে,উপনিষদের বিশ্ববর্ণনায় ধ্যানপদ্ধতির একটি আভাস পাওয়া যায়। সে আরও বলেছে, নাসদীয় সূক্ত এবং পরবর্তী ঋগ্বৈদিকযুগেও ধ্যানপ্রণালীর অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিই সম্ভবত প্রথমগ্রন্থ যেগুলিতে ধ্যানের পদ্ধতি বর্ণিত হয়এই সকল গ্রন্থে বুদ্ধের আবির্ভাবের পূর্বে বিদ্যমান এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে উদ্ভুত এই উভয় প্রকারধ্যানপ্রণালীরই বর্ণনা পাওয়া যায়হিন্দু সাহিত্যে "যোগ" শব্দটি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে কঠোপনিষদেউক্ত গ্রন্থে "যোগ" শব্দটির অর্থ ইন্দ্রিয় সংযোগও মানসিক প্রবৃত্তিগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীতহওয়াযোগ ধারণার বিবর্তন যে সকল গ্রন্থেবিধৃত হয়েছে,সেগুলি হল মধ্যকালীন উপনিষদসমূহ (৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), মহাভারত (ভগবদ্গীতা সহ, ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ও পতঞ্জলিরযোগসূত্র (১৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
হিন্দু দর্শনে যোগ ছয়টি মূল দার্শনিকশাখার একটিযোগ শাখাটি সাংখ্য শাখাটির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবেজড়িত

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন:  https://bn.wikipedia.org/wiki/যোগ_(হিন্দুধর্ম)


ইয়োগা যে হিন্দুদের খাটি ধর্মীয় অনুসঙ্গ তা বুঝতে আশাকরি কারো কোন সমস্যা নেই। তবে সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যা অন্যখানে, তা হলো ইসলাম ধর্মে ইয়োগা জায়েজ রয়েছে এই ফতওয়া দেয়া। (নাউযুবিল্লাহ) এবং একই সাথে হিন্দুদের কথিত ইয়োগা বাবার থেকে কয়েক হাজার দেওবন্দীর ইয়োগা তালিম নেয়া।


ইয়োগা সম্পর্কে দেওবন্দের ফতওয়ার ইউটিউব লিঙ্ক: http://www.youtube.com/watch?v=rCjhoCN3bRA


ইয়োগা সম্পর্কে দেওবন্দের ফতওয়ার ইউটিউব লিঙ্ক:  http://www.youtube.com/watch?v=3-TpPPFDJQY



দেওবন্দীদের ইয়োগা ট্রেনিং দিচ্ছে রামদেব-ইউটিউব লিঙ্ক: http://www.youtube.com/watch?v=BREgDyKgW2M


দেখুন আরেক মদন দেওবন্দী ইয়োগার প্রশংসা করতে গিয়ে তাকে নামাজের সাথে তুলনা করে বসেছে: http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2009-01-29/delhi/28043824_1_national-fatwa-council-yoga-offering-namaz


------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবুল কালামের নাম সবারই জানা। অনেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে একজন মুসলমানকে দেখে গর্বও বোধ করতে পারেন। কিন্তু প্রকৃতসত্য হচ্ছে, নামে মুসলমান হলেও এপিজে আবুল কালামের জীবনকর্মকাণ্ড বেশিরভাগই মজুসীদের (অগ্নি উপাসক) মত। যেমন: ইসলামে গোশত খাওয়া জায়িজ এবং সুন্নত, কিন্তু আবুল কালাম হচ্ছে নিরামিশভোজী। সে নিয়মিত হিন্দুধর্মীয় গীতা পাঠ করে। সে হিন্দুদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে সর্বদা হিন্দু ধর্মের প্রশংসাসূচক বক্তব্য দেয়। যার কারণে দেখবেন, মুসলমানদের থেকে হিন্দুরা এপিজে আবুল কালামকে বেশি সাপোর্ট দেয়, এমনকি কট্টরপন্থী আরএসএস পর্যন্ত দাবি করে এপিজে হচ্ছে হিন্দু। একইভাবে আবুল কালাম মত জীবন নির্বাহ করতো নামে মুসলমান হচ্ছে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক জাহাঙ্গীর এবং মনসুর আলী খান পাতৌদী (নায়ক সাঈফ আলী খানের বাবা)।
যার কারণে অনেকেই এদের প্রকৃত মুসলমান বলতে নারাজ, তাদের বলা হয় ‘মজুসী মুসলমান’।

ফারুক জাহাঙ্গীর
মনসুর আলী পাতৌদী
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

অনুরূপ দেওবন্দে সার্বিক কার্যক্রম থেকে তাদের প্রকৃত মুসলমান দাবি করার কোনই যৌক্তিকতা নেই। আসলে দেওবন্দীরা হচ্ছে ‘হিন্দু মার্কা মুসলমান’।


[বি: দ্র: যৌক্তিক আলোচনা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু অন্ধ তালগাছবাদী কমেন্ট এবং ব্যক্তিআক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়।]

১) ভারতের দেওবন্দ নিয়ে দস্তার রাজদরবারের ঐতিহাসিক স্ট্যাটাস এবং আমার প্রথম নোট: http://goo.gl/qz1KRj


২) আমার দ্বিতীয় নোট: নরখাদক নরেন্দ্র মোদির ইতিহাস কি মুসলমান ভুলে যাবে??: http://goo.gl/LgUZBc

৩) আমার তৃতীয় নোট: মোদি ইস্যুতে দেওবন্দে ভাঙ্গন, প্রতারিত সাধারণ মুসলমান: http://goo.gl/NKBMBt


######
যে যোগবিদ্যা হিন্দুশাস্ত্রের একটি শাখা, সেই যোগবিদ্যাকেও বৈধতা দিয়ে ফতোয়া দিয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ যোগগুরু রামদেবের অনুরোধে। তারা এটি বলতেও দ্বিধা করেনি, “নামায হলো যোগসাধনার একটি বিশেষ রূপ”।(নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)

একটু চিন্তা করুন পাঠকরা, উগ্র হিন্দুরা যে দাবি করে তাদের মিথ্যা ধর্ম থেকে আমাদের ধর্মটা এসেছে, তা কি দেওবন্দীরা সমর্থন করছে না?


তৃতীয় নোট: মোদি ইস্যুতে দেওবন্দে ভাঙ্গন

আমার তৃতীয় নোট: মোদি ইস্যুতে দেওবন্দে ভাঙ্গন, প্রতারিত সাধারণ মুসলমান

26 October 2013 at 18:53
ভারতীয় বিষয় নিয়ে এমন একটা সময় লিখতে বসেছি, যখন নিজ দেশই সঙ্কটময় পরিস্থিতি। কিন্তু তারপরও এ নোটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি, কারণ আমার দেশের উপর সর্বদাই একটা প্রভাব বিস্তার করে রাখে হিন্দুত্ববাদী ভারত। আর সেই হিন্দুত্ববাদী ভারতের বিরুদ্ধে লিখতে গেলে আগে মুসলমানদের মধ্য থেকে যারা তাদের সহযোগী তাদের বিরুদ্ধে লিখতে হবে। কারণ মুসলিম নামধারী মুনাফিকরাই মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে এবং সারা ভারতে মুসলমান নিপীড়নের সুযোগ করে দিচ্ছে। তাই আমার তৃতীয় নোটেও থাকবে নরখাদক মোদি এবং তার সাথে দেওবন্দের একাংশের আঁতাতের বিষয়টি।

গত ১৫ই অক্টোবর মোদির পক্ষে দেওবন্দ হর্তাকর্তা, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সেক্রেটারি মেহমুদ মাদানীর (আসাদ মাদানির ছেলে এবং হুসাইন আহমদ মাদানির নাতি) সাফাই গাওয়া নিয়ে অনেকেই অবাক হয়েছেন। কিন্তু এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই। গত ৮ মাস ধরেই ইনিয়ে বিনিয়ে মোদির পক্ষে সাফাই গেছে চলেছে এই মেহমুদ। তার উদ্দেশ্য, মোদি সম্পর্কে মুসলমানদের ভয় কাটানো। কিন্তু একবারে মোদির পক্ষে বলছে না সুচতুর মেহমুদ। কারণ সরাসরি বললে দেওবন্দের ভিসি ভাস্তানভির মত তার অবস্থা হওয়াটাও স্বাভাবিক (মোদির পক্ষে বলায় পদত্যাগ করতে হয় ভাস্তানভিকে)। তাই ধীরে ধীরে তরকারিতে তেল ঢেলে চলেছে মেহমুদ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে মোদির পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে মেহমুদ বলেছিল, মোদি সম্পর্কে মুসমানদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে। কৌশলে গুজরাটের মুসলমানরা ভাল আছে এ কথাও বলেছে সে। মেহমুদের এই বক্তব্যরে লিঙ্ক দিলাম আনন্দবাজার থেকে (http://www.anandabazar.com/archive/1130218/18desh3.html)

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গোটা কয়েক অন্ধ দেওবন্দী ভক্তদের নিয়ে। তারা বলবে এগুলো হিন্দুরা দেওবন্দের সম্পর্কে বানিয়ে বলছে। তাই এবার সরাসরি মাদানির বক্তব্যের ইউটিউব লিঙ্কও দিয়ে দিলাম। (http://www.youtube.com/watch?v=bUcsp1gAatw)

এবার আসুন দেখি, মেহমুদ মোদির পক্ষ নেয়ায় জমিয়তের প্রেসিডেন্ট এবং হুসাইন মাদানির ছেলে (মেহমুদের চাচা) আরশাদ মাদানি গত ৮ মাস ধরে কি বলছে। মোদি ইস্যুতে দেওবন্দের মাওলানারা দুই ভাগে ভাগ বিভক্ত হয়ে গেছে। আরশাদ মাদানি বলছে মোদি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা বাপ। মোদি মন্ত্রীসভা ও প্রশাসন দিয়ে মুসলমান মেরেছে, কিন্তু কংগ্রেস তা করেনি  ব্লা ব্লাৃ.। অর্থাৎ ভারতের দেওবন্দীদের যে কংগ্রেসী মাওলানা বলা হয়, সে তার নামের স্বার্থকতা বজায় রেখেছে আরশাদ (যা একটু পড়ে প্রমাণ করব)। ইউটিউবে সাক্ষাৎকারের ভিডিও:

http://www.youtube.com/watch?v=uFPLIZDHTWw,

খবর সূত্র:

http://eisamay.indiatimes.com/nation/mehmood-madani-supports-modi/articleshow/24234120.cms

তবে আরশাদ আর মেহমুদ এ সকল বক্তব্যে নিয়ে কোন সমস্যা নাই। সমস্যা হয়েছে আরেক যায়গায়।  গত কয়েকদিন আগেও সবাইকে অবাক করে দিয়ে বোমা ফাটিয়েছে সুচতুর মেহমুদ। সে বলেছে, “২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় কয়েকজন কংগ্রেস নেতা জড়িত ছিল”


(http://www.sunday-guardian.com/news/several-gujarat-congress-leaders-were-involved-in-2002-riots-madani)


কি বুঝলেন?????????

হিসেব খুব সোজা:

১) কংগ্রেসরা গুজরাটে মুসলিম নিধনে জড়িত তা ১১ বছর পর প্রকাশ করলো মেহমুদ মাদানি (যখন গুজরাট দাঙ্গার বিচারকার্য শেষ)। মুসলমানদের স্বার্থে নয়, সে যখন দল পরিবর্তন করছে সেই স্বার্থে।  এখন এক হিন্দু জালেমকে ত্যাগ করে অন্য হিন্দু জালেমের সাথে হাত মিলাচ্ছে। যদিও মোদির নির্বাচনী ওয়াদা হচ্ছে, বাবরী মসজিদ এর স্থানে রামমন্দির প্রতিষ্ঠা, কিন্তু তারপরও সে বলছে, মুসলমানদের মোদিকে ভয় পাওয়ার কোনই কারণ নেই!!!

২) কংগ্রেস যে মুসলিম নিধনে জড়িত তা কি আরশাদ জানে না?? অবশ্যই জানে। কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য তা মুসলমানদের কাছে গোপন রেখেছে এবং মোদির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের হয়ে রাজনৈতিক ফাইট দিয়ে যাচ্ছে ।

বিষয়টি তাহলে পরিষ্কার, দেওবন্দীরা তাদের গোপন স্বার্থ (টাকা হওয়াটাই স্বাভাবিক) এর জন্য কংগ্রেস আর বিজেপিকে মুসলমানদের ভোট পেয়ে দিতে সাহায্য করে। তারা সকলেই জানে হিন্দুদের মুসলিম বিরোধী অপকীর্তি, তারপরও তা গোপন রাখে, জানতে দেয় না মুসলমানদের। হিন্দু খুনিদের ভালো করে সাজিয়ে সহজ সরল মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, ছিনিমিনি খেলে মুসলমানদের জান-মাল-ইজ্জত নিয়ে।

এখন হয়ত বলবেন:
তারা মুসলমানদের অনেক স্বার্থ রক্ষা করে তাইনা???

এর উত্তর হচ্ছে:
১) দেওবন্দ যে রাজ্যে অবস্থিত অর্থ্যাৎ উত্তর প্রদেশেই কি মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা করতে পেরেছে এই দেওবন্দীরা? গত কিছুদিন আগে মুজাফফর নগরে যে ভয়াবহ মুসলিম নিধনে দাঙ্গা হলো তা তো এই উত্তর প্রদেশেই অবস্থিত। তারা কি পেরেছিল হাজার হাজার মুসলিম নারী সম্ভ্রমলৃুন্ঠন থেকে বিরত রাখতে, তারা পেরেছিল মুসলিম গণহত্যা বন্ধ করতে, তারা কি পেরেছিল দাঙ্গায় সোয়ালক্ষ গৃহহীনকে তাদের বাড়িঘর ফিরিয়ে দিতে? পারেনি।


উল্লেখ্য, সারা ভারতে যত দাঙ্গা হয় তার বেশিরভাগ হয় এই উত্তর প্রদেশে এবং মুসলমানরা বেশি মারা যায় এই উত্তর প্রদেশে। কিছুদিন পূর্বে প্রকাশিত ভারত সরকারের এক হিসেবে দেখা যায়, চলতি বছর প্রথম ৯ মাসে দেশটিতে ৪৭৯টি দাঙ্গা সংগঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ৯৩টি ঘটেছে এই উত্তর প্রদেশেই। এবং শতকরা হিসেবে মোট হতাহতের প্রায় ৬০ শতাংশের ঘটনাও ঘটেছে এই উত্তর প্রদেশেই।
(সূত্র:http://zeenews.india.com/news/nation/government-releases-data-of-riot-victims-identifying-religion-for-first-time_878904.html)

২) সমগ্র ভারতের ২৮টি প্রদেশের মধ্যে যে ১৫টি প্রদেশে গরু কুরবানী/জবাই নিষিদ্ধ তার মধ্যে এ উত্তর প্রদেশেও অন্যতম। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে উত্তর প্রদেশে গরু কুরবানী/জবাই’র বিরুদ্ধে আইন হয় ১৯৫৫ সালে। প্রথমে ২ বছরের কারাদণ্ড থাকলেও পরে তা বৃদ্ধি করে ৭ বছর করা হয়।

৩) ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি বড় অংশ (প্রায় ৪০ শতাংশ) মুসলমান।  দেখুন যে দেওবন্দ কংগ্রেসকে ধর্মনিরপেক্ষ ধর্মনিরপেক্ষ বলে বার বার সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে, সেই কংগ্রেস সরকারই কিছুদিন পূর্বে তাদের উত্তর প্রদেশেই ৭০ জন নতুন জজ নিয়োগ দিয়েছে, যার একজনও মুসলমান নয়। (সূত্র:http://muslimmirror.com/eng/no-muslim-among-70-newly-appointed-judges-in-up-justice-itself-wants-justice/)



আসলে এই দেওবন্দ কিভাবে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা করবে??? যারা সামান্য হিন্দুর অনুরোধে পবিত্র কুরআন হাদীস ঘুরিয়ে ফেলতে পারে। তারা কি কখন মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে????

১) কুরবানী করা ওয়াজিব, গরু কুবরানী করা সুন্নাত। কিন্তু সেই সুন্নতকে নাজায়িজ বলার ক্ষমতা তো তারা রাখে না। দেখুন তারা ফতওয়া ঘুরিয়ে সরকারকে খুশি করার জন্য ফতওয়া দিচ্ছে ‘গরু কুরবানী করা নাজায়িজ। (http://timesofindia.indiatimes.com/india/Eating-beef-is-un-Islamic-if-there-is-ban/articleshow/2986846.cms?intenttarget=no)
এবং তারা সেটা করেছে গান্ধী নামক এক গোড়া হিন্দুর অনুরোধে !!!! (http://khabar.ibnlive.in.com/news/109892/13)

২) ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ি হিন্দুদের কাফির বলা গেলেও এই ফতওয়া হিন্দুদের অনুরোধে ঘুরিয়ে দেয় দেওবন্দ। ‘হিন্দুদের কাফির বলা যাবে না’ এই জঘণ্য ফতওয়া তারা দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সন্ত্রাসী নেতা অশোক সিংঘলের অনুরোধে।

আশোক সিংঘল
(http://timesofindia.indiatimes.com/india/Hindus-cant-be-dubbed-kafir-says-Jamiat/articleshow/4179187.cms?intenttarget=no)

৩) ‘বন্দে মাতরম’ হিন্দুদের দেবতাদের প্রশংসা বানী। এবং এর বিরুদ্ধে দেওবন্দ ২০০৬ সালে ফতওয়া দিয়েছিল তাও সঠিক। এই ফতওয়ার পক্ষে ২০০৯ সালের ৩রা নভেম্বর জমিয়ত থেকে পুনরায় বলা হয়, এতে ইসলাম বিরোধী বক্তব্য আছে তাই তা পাঠ করা যাবে না। কিন্তু এর মাত্র ৬ দিনের মাথায় দেওবন্দ মাদ্রাসায় যায় হিন্দু ঠাকুর রবি শঙ্কর। সে গিয়ে মাওলানা মারগুব, প্রধান মুফতি হাবীবুর রহমান, মুফতি ইহসান কাশেমীর সাথে ১ ঘন্টা মিটিং করে। এই মিটিং এর পর দেওবন্দ তার অবস্থান থেকে সরে আসে, এবং বলে, “বন্দে মাতরমের উপর তাদের আর কোন বিধি নিষেধ নেই”।


সূত্র: (http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2009-11-10/india/28110421_1_fatwa-department-darul-uloom-maulana-abdul-khalik-madrasi)

সুতরাং দেওবন্দ ভারতের মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করছে, কিংবা স্বার্থরক্ষা করছে, কিংবা মুসলমানদের হয়ে কাজ করছে এ কথা সম্পূর্ণ ভুল ও বিভ্রান্তিকর। বরং তারা নিজ গোপন স্বার্থে মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে যাচ্ছে বহুদিন ধরে। কিন্তু এরপরও এ দেশের তাদের অন্ধ ভক্তরা তাদের বিশাল ইসলামি ব্যক্তিত্ব বলে প্রচার করে চলেছে।
তাই সময় এসেছে এই সকল হিন্দুত্ববাদীদের চিহ্নিত করে, সচেতন হওয়ার। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। (আমিন)

[বি: দ্র: এই নোটের গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু অন্ধ দেওবন্দ কওমী ভক্তদের মধ্যে সেই যোগ্যতাসম্পন্ন কেউ নেই। এর প্রমাণ গত কয়েকদিনে আমার ও রাজদরবারের উপর তাদের বিভিন্ন কাপুরুষচিত কার্যক্রম দ্বারা পেয়েছি। এরা কোন দলিল না পেয়ে কেউ ব্যক্তিগত আক্রমণ করে, কেউ গালাগালি করে। শুধু তাই নয়, এমনও ব্যক্তি রয়েছে যে আমার আইডি হ্যাক করার জন্য ফিশিং সাইটও আমার ইনবক্সে পাঠিয়েছে।]

####
১) কংগ্রেসরা গুজরাটে মুসলিম নিধনে জড়িত তা ১১ বছর পর প্রকাশ করলো মেহমুদ মাদানি (যখন গুজরাট দাঙ্গার বিচারকার্য শেষ)। মুসলমানদের স্বার্থে নয়, সে যখন দল পরিবর্তন করছে সেই স্বার্থে। এখন এক হিন্দু জালেমকে ত্যাগ করে অন্য হিন্দু জালেমের সাথে হাত মিলাচ্ছে। যদিও মোদির নির্বাচনী ওয়াদা হচ্ছে, বাবরী মসজিদ এর স্থানে রামমন্দির প্রতিষ্ঠা, কিন্তু তারপরও সে বলছে, মুসলমানদের মোদিকে ভয় পাওয়ার কোনই কারণ নেই!!!

২) কংগ্রেস যে মুসলিম নিধনে জড়িত তা কি আরশাদ জানে না?? অবশ্যই জানে। কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য তা মুসলমানদের কাছে গোপন রেখেছে এবং মোদির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের হয়ে রাজনৈতিক ফাইট দিয়ে যাচ্ছে ।

বিষয়টি তাহলে পরিষ্কার, দেওবন্দীরা তাদের গোপন স্বার্থ (টাকা হওয়াটাই স্বাভাবিক) এর জন্য কংগ্রেস আর বিজেপিকে মুসলমানদের ভোট পেয়ে দিতে সাহায্য করে। তারা সকলেই জানে হিন্দুদের মুসলিম বিরোধী অপকীর্তি, তারপরও তা গোপন রাখে, জানতে দেয় না মুসলমানদের। হিন্দু খুনিদের ভালো করে সাজিয়ে সহজ সরল মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, ছিনিমিনি খেলে মুসলমানদের জান-মাল-ইজ্জত নিয়ে।



আমার দ্বিতীয় নোট তিহাস কি মুসলমান ভুলে যাবে



আমার দ্বিতীয় নোট: নরখাদক নরেন্দ্র মোদির ইতিহাস কি মুসলমান ভুলে যাবে??

24 October 2013 at 18:59
আমার এ নোটখানা আপনাদের কাছে এখন অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও কিছুদিন পরে তা খুবই প্রয়োজনীয় বলে মনে হবে। মুসলমানদের একটা বিশেষ স্বভাব হচ্ছে, তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। যার ফলাফলও তারা পায় নিয়মিত ।
আগামী ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে দাড়াতে যাচ্ছে নরখাদক নরেন্দ্র মোদি। অনেকের ধারণা মোদি সম্ভবত নেক্সট ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
যেহেতু ভারতে একটি বড় অংশ মুসলমান (সরকার দাবি করে ১৮ কোটি, প্রকৃত সংখ্যা এর দ্বিগুনও হতে পারে) এবং মোদি যেহেতু ‘এন্টি মুসলিম’ তাই মোদিও চাইবে নির্বাচনে জয় পেতে মুসলমানদের তার দলে ভিড়াতে। তাই কিছুদিন পর হয়ত আপনারা দেখতে পারবেন কিছু মুসলমান নামধারী মুনাফিক মোদির পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেছে। হয়ত দেখতে পাবেন, তারা ইসলামের নাম দিয়ে বলছে “মোদির থেকে ইসলাম প্রিয় আর কেউ নাই, কিংবা মোদির সময় মুসলমানরা সবচেয়ে ভাল থাকে” ইত্যাদি ইত্যাদি।
(আমাকে আবার কংগ্রেসের সাপোর্টার ভাববেন না, ওটাও সেক্যুালার লেভেল আটা খাঁটি হিন্দুত্ববাদী)



বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় সভাপতি রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স

আসুন, উগ্রহিন্দুত্ববাদী বিজেপি সম্পর্কে জানি
আমার মনে হয় নতুন করে বিজেপি বা ভারতীয় জনতা পার্টিকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মত কোন কারণ নেই। তবু বলছি, উগ্রহিন্দুত্ববাদী সংঘ পরিবার বা আরএসএস’র রাজনৈতিক উইং হচ্ছে বিজেপি (আরেকটি হচ্ছে শিবসেনা)। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ দলটি বর্তমানে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল (কংগ্রেসের পরে)। এ দলটি ভারতে সব সময়ই মুসলিম নিধনে অগ্রগামী। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভাঙ্গন ও তার পরবর্তী দাঙ্গা কিংবা গুজরাট দাঙ্গার মত বড় দাঙ্গাগুলো তাদের ক্ষমতার আমলেই ঘটনো হয়েছিল।
দলটির প্রত্যেক সভাপতি চাক্ষুষ হিন্দু রাক্ষস। বিজেপি’র তিনবারের সভাপতি লাল কৃষ্ণ আদভানি কিছুদিন পূর্বে বলেছিল: “বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে দেয়া হবে”।
আর এবার সেই বিজেপির আরেক কুখ্যাত সদস্য নরেন্দ্র মোদিকে দেয়া হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে দাড়াতে।

মোদির সংক্ষিপ্ত জীবনী


গুজরাটের মেহসানা জেলার এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নরেন্দ্র মোদি’র। চা-বিক্রেতা বাবার চার সন্তানের মধ্যে মোদি ছিলো তৃতীয়। শৈশবে বাবাকে সাহায্য করতো বেদনগর রেলস্টেশনে; যাত্রীদের কাছে হেঁটে হেঁটে চা বেচতো মোদি।
পরিচিতজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকেই মোদি ছিল একজন গোড়া হিন্দু। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, টানা চার দশক ধরে ‘নবরাত্রি’র (উত্তর ভারতে পালিত হিন্দুদের একটি উৎসব) সময় উপবাস করছে মোদি।
জীবনীগ্রন্থ রচয়িতা নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের মতে, কম বয়সে বিয়ে করে মোদি। তবে বিয়ে করার বিষয়টি প্রকাশও করেনি সে। এর পেছনে একটি বড় কারণ ছিল হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠনগুলো স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ‘প্রচারক’ পদ। আর এ পদ পেতে গেলে চিরকুমার থাকতে হয়। গোপনীয়তা বজায় না রাখলে হয়তো ওই পদে আসীন হতে পারতো না সে। ১৯৭১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আরএসএসে যোগ দিয়েছিল মোদি।
রাজনীতিতে জড়ানোর পরও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করে মোদি। পরে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে সে।
১৯৮৭-৮৮ সময়ে মোদি বিজেপির গুজরাট ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়। মূলত, এর মধ্য দিয়েই মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করে সে।
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে ধীরে ধীরে বিজেপিতে নিজের অবস্থান পোক্ত করেন মোদি। ১৯৯০ সালে তিনি আদভানির নেতৃত্বে সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রায় বড় ভূমিকায় ছিলো।
১৯৯১ সালে তৎকালীন দলীয় প্রধান মুরলি মনোহর যোশির নেতৃত্বে কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রারও অন্যতম সংগঠক ছিলো মোদি।

মুসলমানদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা:


২০০১ সালে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেলকে সরিয়ে দিল্লি অফিসের এক নাম জানা পদাধিকারী নরেন্দ্র মোদিকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপি। তাকে সাপোর্ট দিয়েছিল লালকৃষ্ণ আদভানি। সাময়িক ক্ষমতা পাওয়ার পর তা পাকাপোক্ত করতে মুসলমানদের রক্তকে বেছে নিয়েছিল মোদি। মুসলমানদের রক্ত দেখলে হিন্দুরা খুশি হবে, আর তাতেই ক্ষমতা আসবে তার হাতে। হয়েছিলও তাই, গোধরার ট্রেনে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে তার দোষ দিয়েছিল মুসলমানদের ঘাড়ে। মেরে কেটে একাকার করেছিল মুসলমানদের, ধর্ষণ করে আগুনে পুড়িয়েছিল মুসলিম মা-বোনদের, তাড়িয়ে দিয়েছিল মুসলমানদের বাড়ি থেকে। আর এই মুসলিম নিধনেই হিন্দুদের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠল এ হিন্দুউগ্রবাদী নেতা। ২০০২ থেকে বর্তমান পর্যন্ত টানা তিন বার (প্রথমবার সহ চারবার) বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলো এ সন্ত্রাসী ।

গুজরাট দাঙ্গার খলনায়ক মোদি:


২০০২ সালে মোদীর জনতা পার্টি যে মুসলিম নিধনে প্রত্যক্ষ জড়িত ছিল তার বহু দলিল রয়েছে। দাঙ্গার সময় মোদীর সহযোগী ভিএইচপি’র নেতারা উগ্র বক্তব্য দিয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে তুলছিল। এই ভিএইচপি নেতাদের মোদীর সরকার বাধাতো দেয়ই নাই বরং সহযোগিতা করেছে।


সেই সময় দায়িত্বরত পুলিম কর্মকর্তা সঞ্জিব ভাট ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের কাছে তার হলফনামায় বলেছিল, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরা কা-ের পর নরেন্দ্রমোদি পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়, হিন্দুরা মুসলমানদের প্রতি যেন তাদের ক্ষোভ মেটাতে পারে, পুলিশকে সে ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ভাট এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ সরাসরি তুলে ধরে যাতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদি বলেছিলো, “মুসলমানরা যাতে পুনরায় এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে না পারে, সেজন্য তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেয়ার এটি মোক্ষম সময়।”

 
এ বক্তব্যের পর ২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০০২ তারিখে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মাত্র ৬ কিলোমিটারের মধ্যে ১৫০ জন মুসলমানকের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে উগ্র হিন্দুরা। আর দাঙ্গায় মূল প্রাণহানী প্রথম কয়েকদিনে হলেও, প্রায় তিন মাস ধরে চলে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে হত্যা, ধর্ষণ ও বাস্তুচ্যুত করা হয়।

গুজরাটের গোধরা দাঙ্গার প্রথম দিনেই (২৮ ফেব্রুয়ারী ২০০২) যখন শহরের বিভিন্ন স্থান আগুনে পুড়ছিল, মারা যাচ্ছিল শত শত মুসলিমকে, তখন রাজ্যের
CMO পি কে মিশ্র দাবী করে “শহর একেবারে স্বাভাবিক!” তাকে যখন বলা হয় প্রাক্তন কংগ্রেস এমপি এহসান জাফরি এই দাঙ্গায় নিহত হয়েছেন তখনও তার উত্তর ছিল যে এরকম কিছুই ঘটেনি।
মোদী যদিও সবসময় বলে আসছিল যে গুজরাটের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গাটা ছিল তাৎক্ষণিক, কিন্তু দেখা গেছে এতে তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এর মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী কোদনানীকে আদালত ২৮ বছর জেল দেয় দাঙ্গা উস্কে দেয়ার জন্য, যাকে মোদী পুরুষ্কার স্বরূপ ক্যাবিনেট মিনিস্টার হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল

গুজরাটে মুসলিম নিধন সম্পর্কে মোদির বক্তব্য: কুুকুর মরলে দু:খ পাবো
ভারতের গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০০২ সালের মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার জন্য অনুতপ্ত নয় বলে ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে মোদি বলেছে, তাকে বহনকারী মোটরগাড়ি কোনো কুকুর ছানাকে চাপা দিলে সে জন্য দুঃখ অনুভব করবে সে। রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মোদি আরো দাবি করে, আমি যদি অপরাধ করে থাকতাম তবে অনুশোচনায় ভুগতাম।
মোদির এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে সমাজবাদী পার্টি। এ বক্তব্যের জন্য মোদিকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে এ দলের মুখপাত্র কামাল ফারুকি বলেছে, “মোদি কি মনে করে ভারতের মুসলমানরা কুকর ছানার চেয়েও অধম?”

মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেয়ার শর্ত ‘উগ্রহিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা তথা মুসলিম নিধন”
সঙ্ঘ পরিবার বা আরএসএসকে মোদী জানিয়েছে, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হলে হিন্দুত্বের কর্মসূচিকে সে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেবে। আরএসএস চাইছে, রামমন্দির নির্মাণ, সংবিধানের ৩৭০ ধারা (জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা) বিলোপ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এই তিনটি সাবেক বিষয়কে বিজেপি ফের সামনে নিয়ে আসুক। সেই সঙ্গে গরু কুরবানী বন্ধের বিষয়টিকেও কর্মসূচিতে আনা হোক। মোদি স্পষ্ট করে বলেছে,  মতাদর্শগত এই সব বিষয়কে সে প্রচারে অগ্রাধিকার দেবে।

আমি আবারো বলছি, এই ইতিহাসটা আপনার সংগ্রহে রাখুন। কিছুদিন পরেই এটা আপনাদের বিশেষ কাজে লাগবে। কারণ ক্ষমতা আর টাকার লোভে একদল দাড়ি-টুপি ওয়ালা লোক মোদির এই অপকীর্তিসমূহ অস্বীকার করতে চাইবে। বিভিন্ন যুক্তিতর্ক দিয়ে সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদিকে ভাল বানাতে চাইবে। তখন আমার এ নোটের কথা মনে করবেন। (গরীবের কথা বাসি হলে ফলে)



আবারো মোদির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় দেওবন্দের মেহমুদ

আবারো ইনডাইরেক্টলি নরেন্দ্র মোদির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় হাওয়া দিয়েছে দেওবন্দের আসাদ মাদানির পুত্র এবং জমিয়তের সেক্রেটারি মেহমুদ। গতকাল (শনিবার) মেহমুদ নরেন্দ্র মোদির পক্ষে তার অবস্থান আরো পরিস্কার করেছে।
এক হিন্দি টিভি চ্যানেলের কাছে সাক্ষাৎকারে মেহমুদ বলেছে, “গত ১০ বছরে গুজরাটে যত দাঙ্গা হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি হয়েছে রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে। আপনারাই বলুন তবে কে ভাল এবং কে খারাপ।”
মেহমুদ আরো বলে , “আমি বলছি না আমি মোদিকে সাপোর্ট করি, কিন্তু যখন আমি মহারাষ্ট্র কিংবা রাজস্থানের সাথে গুজরাটের তুলনা করি তখন জনগণ বলবে আমি মোদিকে সাপোর্ট করি। কারণ গুজরাটের তুলনায় অনেক বেশি মুসলমান মহারাষ্ট্র আর রাজস্থানের জেলে রয়েছে।”
মেহমুদ আরো বলে, “গুজরাটের অধিকাংশ কংগ্রেস নেতা গুজরাট দাঙ্গায় জড়িত ছিল”
সে মোদির পক্ষ নিয়ে বলে, “মোদি ভাল বলছে, কিন্তু তাকে কাজ করে দেখাতে হবে।”

সূত্র: http://timesofindia.indiatimes.com/india/More-riots-in-UP-than-in-Gujarat-Madani/articleshow/24769398.cms
যেহেতু ভারতে একটি বড় অংশ মুসলমান (সরকার দাবি করে ১৮ কোটি, প্রকৃত সংখ্যা এর দ্বিগুনও হতে পারে) এবং মোদি যেহেতু ‘এন্টি মুসলিম’ তাই মোদিও চাইবে নির্বাচনে জয় পেতে মুসলমানদের তার দলে ভিড়াতে। তাই কিছুদিন পর হয়ত আপনারা দেখতে পারবেন কিছু মুসলমান নামধারী মুনাফিক মোদির পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেছে। হয়ত দেখতে পাবেন, তারা ইসলামের নাম দিয়ে বলছে “মোদির থেকে ইসলাম প্রিয় আর কেউ নাই, কিংবা মোদির সময় মুসলমানরা সবচেয়ে ভাল থাকে” ইত্যাদি ইত্যাদি।
(আমাকে আবার কংগ্রেসের সাপোর্টার ভাববেন না, ওটাও সেক্যুালার লেভেল আটা খাঁটি হিন্দুত্ববাদী)

আমি আবারো বলছি, এই ইতিহাসটা আপনার সংগ্রহে রাখুন। কিছুদিন পরেই এটা আপনাদের বিশেষ কাজে লাগবে। কারণ ক্ষমতা আর টাকার লোভে একদল দাড়ি-টুপি ওয়ালা লোক মোদির এই অপকীর্তিসমূহ অস্বীকার করতে চাইবে। বিভিন্ন যুক্তিতর্ক দিয়ে সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদিকে ভাল বানাতে চাইবে। তখন আমার এ নোটের কথা মনে করবেন। (গরীবের কথা বাসি হলে ফলে)

দেওবন্দ নিয়ে প্রথম নোট



ভারতের দেওবন্দ নিয়ে দস্তার রাজদরবারের ঐতিহাসিক স্ট্যাটাস এবং আমার প্রথম নোট

23 October 2013 at 19:40
দস্তার রাজদরবারের সাথে আমার প্রথম দেখা হয় আনুমানিক ৫ বছর আগে বুয়েটের সেন্ট্রাল মসজিদে, সেখানে তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়। বেশি জটিল কথা বলা দস্তারকে প্রথমে আঁতেল ভাবলেও পরে টের পেয়েছিলাম কি ধরনের ট্যালেন্ট সে। সে তার ছোট্ট বক্তব্য দিয়ে আমাকে খুব সহজেই বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল ভারতে মুসলমানরা কিভাবে হিন্দুদের দ্বারা নিপীড়িত হচ্ছে এবং হিন্দুরা কতটুকু জঘণ্য চরিত্রের অধিকারী।

গত পরশুদিন রাতে সেই দস্তার রাজদরবারের একটি স্ট্যাটাস (https://www.facebook.com/rajdarbaar/posts/648405118538220) আমার নজরে আসে। হিন্দুদের সর্বদা বাশদাতা দস্তার এ স্ট্যাটাসটিতে অতিপরিচিত একটি মুসলিম জনগোষ্টীকে তথা দেওবন্দীদেরকে হিন্দু বলে দাবি করেছে। দস্তার রাজদরবারের সেই ঐতিহাসিক স্ট্যাটাসটির বিষয় নিয়েই আমি আজ আমার প্রথম নোট লিখব। আর আমার লেখা প্রথম নোট হিসেবে এটা আমার কাছে অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ভারতের মুসলমানদের ইতিহাস বীরত্ব গাথা। শিহাবুদ্দিন ঘোরী কিংবা মুহম্মদ বিন ক্বাসিম রহমতুল্লাহির ইতিহাস তা সত্য বলে প্রমাণ করে। সামান্য সৈন্যবাহিনী নিয়ে কিভাবে উনারা এ উপমহাদেশে কর্তৃত্ব লাভ করেছেন তা আজও আমরা গর্বের সাথে স্মরণ করি। অনুরূপ দেখা যায় দস্যু ব্রিটিশদের আমলেও। সেই সময় প্রায় সবগুলো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল মুসলমানদের মাধ্যমে। সিপাহি বিপ্লব,  মহিশুরের শাসক হযরত টিপু সুলতান রহমতুল্লাহির যুদ্ধ, বালাকোটে ইংরেজসহযোগী শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, বাশেরকেল্লায় হযরত মীর শহীদ তীতুমীর রহমতুল্লাহির যুদ্ধ এরকম আরো বহু ইতিহাস পাওয়া যাবে সেই সময়কার বীর মুসলমানদের কীর্তি থেকে।

কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, দেশভাগ হওয়ার পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে গেছে। জনসংখ্যার দিক থেকে যদিও এখন মুসলমানরা এখানে হয়েছে সংখ্যাগুরু (ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তান ও আফগানিস্তান মিলে) হয়েছে কিন্তু তারপরও অবধারিতভাবে মার খেয়ে যাচ্ছে তারা।

দেখুন!! যেখানে স্পেনে একটা খ্রিস্টান মেয়ে ধর্ষিত হয়েছিল বলে তার প্রতিশোধ তুলতে তারিক বিন যিয়াদ রহমতুল্লাহির নেতৃত্বে  সেখানে গিয়েছিল মুসলমানরা। কিন্তু সেই মুসলমানরাই আজ ভারতে নিজের মেয়ে ধর্ষিত হলেও তা চোখ-মুখ মুজে সহ্য করে।
যেখানে শিবাজীর প্রার্থনায় তার পিতাকে উদ্ধার করতে গিয়েছিল বাদশাহ শাহজাহান সেখানে আজ গুজরাট, কাশ্মীর, অযোধ্যা, মুজাফফরনগর আর হায়দ্রাবাদে মুসলমানদের কচুকাটা করলেও মুসলমানরাই তার বিরুদ্ধে জিহাদ করতে একত্র হতে পারে না।

আমার ইতিহাসের বহর দেখে আপনার বিরক্ত হতে পারেন, কিন্ত আমি আজ আপনাদের সামনে সত্যি কথাটাই তুলে ধরব কি কারণে মুসলমানরা আজ এ উপমহাদেশে নির্যাতিত, নিপীড়ত এবং দুর্বল হয়ে রয়েছে। কেন ভারতে একটি বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠী  থাকার পরও তারা জেগে উঠতে পারছে না। (২০১০ সালে ভারতের ১১৫ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে সরকারি হিসেবে মুসলমান সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ কোটি, কিন্তু বেসরকারি হিসেবে শুধু উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং আসামে অর্থ্যাৎ মাত্র ৪ প্রদেশে মুসলমান সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি, তাহলে বাকি ২৪টি প্রদেশে কত মুসলমান রয়েছে? এ পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে কতবড় লুকোচুরি করছে)

সময়ে সময়ে মুসলমানদের বিপর্যয়ের মূল কারণ ছিল মুসলমান ভেকধারী মুনাফিকরা। উহুদ যুদ্ধে উবাই বিন সুলুল তার অধিনস্ত সেনাবাহিনী নিয়ে সটকে পড়েছিল, যার কারণে মুসলমানরা সাময়িক বিপর্যয়ে পড়ে যায়।
পলাশীর যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি মীর জাফর সটকে পড়ায় হেরে যায় নবাব সিরাজউদ্দৌলার। বাংলা চলে যায় ব্রিটিশ করায়ত্ত্বে।
ঠিক তেমনি বর্তমানেও ভারতের মুসলমানদের মধ্যে রয়ে গেছে সেই মুনাফিক গোষ্ঠী, যাদের কারণেই এ অঞ্চলে বিশাল জনগোষ্ঠীর মুসলমানরা শত নিপীড়ন সত্ত্বেও জাগতে পারে না, পারে না জিহাদ করে মুক্ত হতে।

হা আপনারা ঠিক ধরেছেন মুসলমানদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সেই মুনাফিক হচ্ছে দেওবন্দ গোষ্ঠী বা দারুল উলুম দেওবন্দ তথা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ নামক দলটি। জানি আপনারা এ বক্তব্য শুনে অনেকে আমার উপর ক্ষেপে যাবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, সত্য কথা তিতা হয়, এবং সত্য মেনে নেয়াই মুসলমানের ধর্ম।

১) দারুল উলুম দেওবন্দ গোষ্ঠী সর্বদাই অখণ্ড ভারতে বিশ্বাসী। তারা মন থেকে মেনে নেয়নি মুসলিম ভূমি পাকিস্তানের সৃষ্টি। হুসাইন আহমদ মাদানি দেশভাগের সময় ঘুড়ে ঘুড়ে বাসায় বাসায় গিয়ে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে মিথ্যা একাত্বতার কথা বলেছিল। এই দারুল উলুমের প্রচেষ্টার কারণে ভারত নামক হিন্দু রাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশাল মুসলিম জনগোষ্টী আটকা পড়ে যায়। সোভিযেত ইউনিয়ন যেমনি ভাগ হয়ে ৬টি আলাদা মুসলিম রাষ্ট্রের  জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তেমনি ভারত বিভক্তের সময় বেশি কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্রের (যেমন কাশ্মীর, আসাম, হায়দারাবাদ) জন্ম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ গোষ্ঠীটির বিরোধীতা এবং ইসলামের নামে ফতওয়ার কারণে তা হতে পারেনি। যার ফল এখন ভোগ করছে ভারতের মুসলমানরা। তাদের প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কষ্ট পেতে হচ্ছে হিন্দুদের কাছ থেকে।

২) কংগ্রেসের সাথে গাট বাধে তারা। ইসলামে তো নারী নেতৃত্ব জায়িজ নেই সেখানে তারা ইসলামের নাম দিয়ে নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করলো, তাও  আবার  এক হিন্দু মহিলার (ইন্দিরা গান্ধী)!!! এটা তারা জায়িজ পেলো কোথায়।
আর পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদার ৮২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা যেখানে নিজেই বলেছেন: “নিশ্চয়ই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী, অত:পর মুশরিক।” সেখানে যারা সারা বছর মাদ্রাসায় পড়ে এবং পড়ায় তারা কিভাবে ইসলামের নাম দিয়ে হিন্দুদের সাথে তারা বন্ধুত্ব করতে পারে??


৩) জোর করে কাশ্মীরকে আটকে রেখেছে হিন্দুত্ববাদী ভারত। মুসলমানদের মেরে কেটে একাকার করছে তারা। সারা বিশ্ব এই নিপীড়নের নিন্দা করলে, এর পক্ষে উল্টো সাফাই গেয়েছে বিবেকহীন দেওবন্দীরা। তারা বলেছে এই কাশ্মীর নাকি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।  (http://www.indianexpress.com/news/kashmir-an-integral-part-of-india-deoband-clerics/695747/)। শুধু তাই না ভারতে মুসলমানরা এত নির্যাতিত হওয়ার পরও তারও তারা বলেছে ভারতে মুসলমানদের জিহাদ করার কোন দরকার নেই। তারা উগ্রহিন্দুত্ববাদী বিশ্বহিন্দুপরিষদের অনুরোধে ভারতকে দারুল আমান বলে ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে জিহাদের কোন প্রয়োজন নেই। ((http://www.hindustantimes.com/India-news/No-jihad-in-India-says-Darul-Uloom-Deoband/Article1-382288.aspx)। তাদের এ ভুল ফতওয়ার কারণে কাশ্মীরসহ বিভিন্ন প্রদেশে মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে অনুৎসাহিত হয়ে পড়ে।

৪) মুসলমানদের মসজিদ বাবরী মসজিদ, এই মসজিদকে অন্যায়ভাবে ভাঙল হিন্দু সন্ত্রাসীরা। সাথে সারা ভারত জুড়ে মারলো লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে। হিন্দুদের দাবি: তাদের কল্পকাহিনী রামায়নের মতে বাবরী মসজিদ নাকি রামের জন্মস্থান। এলাহাবাদের সাম্প্রদায়িক হাইকোর্টও রায় দিলো: বাবরি মসজিদের যায়গার তিন ভাগের মাত্র একভাগ পাবে মুসলমানরা, দুই ভাগ পাবে অন্যরা। বলাবাহুল্য এ রায়ের পর মুসলমানদের প্রতিবাদ করা ফরজ হয়ে পড়ে। কিন্তু দেওবন্দরা তখন উল্টো বললো: “মুসলমানদের এই রায় শ্রদ্ধার সাথে মেনে নেয়া উচিত। ”

(http://www.indianexpress.com/news/respect-ayodhya-verdict-darul-uloom-deoband/682444)


৫) মহান আল্লাহ তায়ালা হিন্দুদের কাফিরা বললেও দেওবন্দরা তাদের কাফির বলতে নারাজ। এই ফতওয়া কিন্তু তারা কোন কুরআন হাদীস ঘেটে দেয়নি, দিয়েছে হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সন্ত্রাসী অশোক সিংহোলের অনুরোধে। (http://timesofindia.indiatimes.com/india/Hindus-cant-be-dubbed-kafir-says-Jamiat/articleshow/4179187.cms?intenttarget=no)

৬) ভারতে গরু কুরবানী আইন-২০০৪ অনুসারে একজন মুসলমান গরু কুরবানী করলে তার সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড হতে পারে, একই সাথে ১০ হাজার রুপি জরিমানা হবে। এটা অবশ্যই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং মুসলমাদের উপর ভারত হিন্দু সরকারের জুলুম। কিন্তু এখানে দেওবন্দরা এর প্রতিবাদ করতে পারত, কিংবা সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে তারা চুপ থাকত। কারণ হাদীস শরীফ অনুসারে ঈমানের স্তর তিনটি: ১) অন্যায় দেখলে হাতে বাধা দেয়া, দুই মুখে বাধা দেয়া, তিন খারাপ জেনে সরে আসা। এরপর ঈমানের আর কোন স্তর নেই। কিন্তু দেখা গেলো তারা হিন্দুদের সাথে একত্বতা প্রকাশ করে ফতওয়া দিলো: “গরু কুরবানী করা নাজায়িজ”।
(http://timesofindia.indiatimes.com/india/Eating-beef-is-un-Islamic-if-there-is-ban/articleshow/2986846.cms?intenttarget=no), তারা আরো বলল: হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতির কথা বিবেচনা করে আপনারা গরু কুরবানী করবেন না। (http://www.thehindu.com/news/national/article2603964.ece)
বলাবাহুল্য হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতি সংরক্ষণের দায়িত্ব হিন্দুদের এবং মুসলমানদেরটা সংরক্ষণের দায়িত্ব মুসলমানের।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই গান্ধীর আমল থেকে হিন্দু গান্ধীর অনুরোধে দেওবন্দরা গরু কুরবানী করতে নিষেধ করে আসছে। (http://khabar.ibnlive.in.com/news/109892/13) তাহলে তারা কি হিন্দুর অনুরোধে মুসলমানিত্ব বাদ দিয়ে হিন্দু হয়ে গেছে??
উল্লেখ্য ২০১১, ২০১০, ২০০৮, ২০০৭, ২০০৪ সালে তারা সরাসরি গরু কুরবানী করতে বিরোধীতা তার প্রমাণও মিডিয়াতে আছে। (https://www.facebook.com/rajdarbaar/posts/648405118538220)


৭) দারুল উলুম দেওবন্দের ২৯ তম বার্ষিক সভার প্রধান অতিধি হয় মুসলিম বিদ্বেষী রবি শঙ্কর (http://www.youtube.com/watch?v=cYm4sUmvmtw), ৩০ তম সভার প্রধান অতিধি হয় ঠাকুর রামদেব (http://www.youtube.com/watch?v=rCjhoCN3bRA)| )।
কুরআন পাকে আছে ‘মুশরিকরা নাপাক’। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যারা কুরআনের দোহায় দিয়ে চলে তারাই হিন্দুদের প্রধান অতিথি বানায়, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে।
মনে রাখবেন প্রত্যেকে সমগোত্রীয়দের সাথে চলে, কুকুর চলে কুকুরের সাথে, ছাগল চলে ছাগলের সাথে। কুকুরকে কখন ছাগলের সাথে আর ছাগলকে কখন কুকুরের সাথে ঘুরতে দেখবেন না। তেমননি দেওবন্দের এই খাসলতের কারণ হচ্ছে তারা মুশরিকদের সমগোত্রীয় হয়ে গেছে। বলাবাহুল্য এ্টা যদি কোন সাধারণ শার্ট-প্যান্ট-দাড়িচাছা মুসলমান করতো তবে তাও মেনে নেয়া যেত, কিন্তু দেওবন্দীরা তো মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে দাবি করছে, তাই তাদের এ অপকর্ম কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।                                                                                                    

৮) রাশিয়ায় গীতাকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিলে এর প্রতিবাদ করে উঠলো দেওবন্দীরা। (http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2011-12-22/india/30546086_1_darul-uloom-deoband-hindus-muslims) কিন্তু রাশিয়া যখন পবিত্র কুরআন নিষিদ্ধ করলো (http://www.theguardian.com/books/booksblog/2013/oct/08/russian-court-bans-quran-translation) তখন এর প্রতিবাদ স্বরূপ টু শব্দ পর্যন্ত করলো না তারা।

৯) নরখাদক নরেন্দ্র মোদির পক্ষ নিয়েছিল এ দেওবন্দীরা। তারা গুজরাটে মুসলমানদের উপর হিন্দুদের নৃশংস আচরণকে ভুলে যেতে বলে ভারতীয় মুসলমানদের। (http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2011-01-19/india/28371112_1_gujarat-riots-riot-victims-maulana-ghulam-mohammed-vastanvi)। এ বক্তব্যের পর মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে দেওবন্দে ভিসিকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।


১০) ২০০৭ সালের কথা, তসলিমার বিতর্কিত বই ‘দিখণ্ডিত’ নিয়ে যখন কলকাতার মুসলমানরা সরব, তাকে যেন কলকাতায় স্থান না দেওয়া হয় যে জন্য চলছে তুমুল আন্দোলন। ঠিক তখন এই দেওবন্দ মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। তসলিমার পক্ষে ফতওয়া দিল। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ নেতা মৌলানা মেহমুদ মাদানি বলেছিল, "পবিত্র ইসলামেই আছে, কোন ব্যক্তি ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়াই উচিত। তসলিমা যখন ক্ষমা চেয়েছেন, তখন তাকে ক্ষমা করে দেওয়াই ঠিক কাজ হবে। তিনি যেখানে থাকতে চান, সেখানেই তাকে থাকতে দেওয়া হোক।"
সত্যি অবাক বিষয় । তসলিমা ক্ষমা চাইল কবে!!!! সে তো এখন ইসলামের বিরুদ্ধে বলছে। আর নবীজি সম্পর্কে কটূক্তি করায় সে সময় মুরতাদ তসলিমাকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছিল এক আলেম (মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড)। কিন্তু সেই আলেম এর বিরুদ্ধে উল্টো ফতওয়া দিলেছিল দেওবন্দী জালেমরা। সে সময় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মুখপাত্র কাকি সফিউদ্দিন বলেছিল, “কারও মুন্ডু চাওয়া বা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া ইসলামবিরোধী। যদি কেউ এমন দাবি করে থাকেন, প্রমাণ পেলে তাদের বহিস্কার করা হবে।” মুরতাদ তসলিমার পক্ষে সাফাই গাওয়ার অধিকার দেওবন্দীদের কে দিল??? (http://ns.bdnews24.com/bangla/details.php?id=69508&cid=21)


মনে রাখবেন হাড়ির ভাত কিন্তু সব টিপতে হয় না , যদি আজমীরী শরীফের ১২০ মনের হাড়িও হয় তবেও। তাই উপরের আলোচনার পুরোটা দেখার দরকার নাই, সামান্য কিছু দেখলেই যথেষ্ট দেওবন্দীরা কিভাবে হিন্দুদের পক্ষে কাজ করছে।
প্রকৃতপক্ষে দেওবন্দীগোষ্ঠীর কাজ মুসলমানদের হিন্দুদের পক্ষে নিয়ে যাওয়া, মুসলমানদের চোখে হিন্দুদের দোষ ত্রুটি গোপন রাখা, মুসলমানদের হিন্দুভক্ত করে ঈমানীভাবে দুর্বল ও সংখ্যাগত বিভক্ত করা, যাতে তারা হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে না পারে।

আজ আমরা যারা মুজাফফরনগরে মুসলিম নারীদের নির্যাতন দেখে চোখের পানি ফেলি, যারা ভারতে হিন্দু যুলুমবাজদের নিপীড়ন দেখে প্রতিবাদ করি, যারা ভারতকে হিন্দু সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখি, তাদেরকে বলছি: যতদিন মুসলমান নামধারী মুনাফিকদের চিহ্নিত করে তাদের সমূলে উৎপাটন না করতে পারবেন, ততদিন ভারতের মুসলমানরা এক হবে না, স্বাধীনতাও পাবে না, সময়ের স্রোতে হিন্দুদের দ্বারা অত্যাচারিত হতেই থাকবে। তাই সময় এসেছে এ দেওবন্দ মুনাফিকদের চিহ্নিত করা এবং তাদের প্রতিহত করা। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। (আমীন)

(বি:দ্র: দয়া করে অন্ধ দেওবন্দ ভক্তরা আমার নোটে তালগাছবাদী কমেন্ট করবেন না, নূনতম জ্ঞান নিয়ে বা পড়ালেখা করে এখানে কমেন্ট করার আহ্বান জানাচ্ছি)