আমার দ্বিতীয় নোট: নরখাদক নরেন্দ্র মোদির ইতিহাস কি মুসলমান ভুলে যাবে??
24 October 2013 at 18:59
আমার
এ নোটখানা আপনাদের কাছে এখন অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও কিছুদিন পরে তা খুবই
প্রয়োজনীয় বলে মনে হবে। মুসলমানদের একটা বিশেষ স্বভাব হচ্ছে, তারা ইতিহাস
থেকে শিক্ষা নেয় না। যার ফলাফলও তারা পায় নিয়মিত ।আগামী ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে দাড়াতে যাচ্ছে নরখাদক নরেন্দ্র মোদি। অনেকের ধারণা মোদি সম্ভবত নেক্সট ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
যেহেতু ভারতে একটি বড় অংশ মুসলমান (সরকার দাবি করে ১৮ কোটি, প্রকৃত সংখ্যা এর দ্বিগুনও হতে পারে) এবং মোদি যেহেতু ‘এন্টি মুসলিম’ তাই মোদিও চাইবে নির্বাচনে জয় পেতে মুসলমানদের তার দলে ভিড়াতে। তাই কিছুদিন পর হয়ত আপনারা দেখতে পারবেন কিছু মুসলমান নামধারী মুনাফিক মোদির পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেছে। হয়ত দেখতে পাবেন, তারা ইসলামের নাম দিয়ে বলছে “মোদির থেকে ইসলাম প্রিয় আর কেউ নাই, কিংবা মোদির সময় মুসলমানরা সবচেয়ে ভাল থাকে” ইত্যাদি ইত্যাদি।
(আমাকে আবার কংগ্রেসের সাপোর্টার ভাববেন না, ওটাও সেক্যুালার লেভেল আটা খাঁটি হিন্দুত্ববাদী)
বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় সভাপতি রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স
আসুন, উগ্রহিন্দুত্ববাদী বিজেপি সম্পর্কে জানি
আমার মনে হয় নতুন করে বিজেপি বা ভারতীয় জনতা পার্টিকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মত কোন কারণ নেই। তবু বলছি, উগ্রহিন্দুত্ববাদী সংঘ পরিবার বা আরএসএস’র রাজনৈতিক উইং হচ্ছে বিজেপি (আরেকটি হচ্ছে শিবসেনা)। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ দলটি বর্তমানে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল (কংগ্রেসের পরে)। এ দলটি ভারতে সব সময়ই মুসলিম নিধনে অগ্রগামী। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভাঙ্গন ও তার পরবর্তী দাঙ্গা কিংবা গুজরাট দাঙ্গার মত বড় দাঙ্গাগুলো তাদের ক্ষমতার আমলেই ঘটনো হয়েছিল।
দলটির প্রত্যেক সভাপতি চাক্ষুষ হিন্দু রাক্ষস। বিজেপি’র তিনবারের সভাপতি লাল কৃষ্ণ আদভানি কিছুদিন পূর্বে বলেছিল: “বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে দেয়া হবে”।
আর এবার সেই বিজেপির আরেক কুখ্যাত সদস্য নরেন্দ্র মোদিকে দেয়া হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে দাড়াতে।
মোদির সংক্ষিপ্ত জীবনী
গুজরাটের মেহসানা জেলার এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নরেন্দ্র মোদি’র। চা-বিক্রেতা বাবার চার সন্তানের মধ্যে মোদি ছিলো তৃতীয়। শৈশবে বাবাকে সাহায্য করতো বেদনগর রেলস্টেশনে; যাত্রীদের কাছে হেঁটে হেঁটে চা বেচতো মোদি।
পরিচিতজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকেই মোদি ছিল একজন গোড়া হিন্দু। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, টানা চার দশক ধরে ‘নবরাত্রি’র (উত্তর ভারতে পালিত হিন্দুদের একটি উৎসব) সময় উপবাস করছে মোদি।
জীবনীগ্রন্থ রচয়িতা নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের মতে, কম বয়সে বিয়ে করে মোদি। তবে বিয়ে করার বিষয়টি প্রকাশও করেনি সে। এর পেছনে একটি বড় কারণ ছিল হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠনগুলো স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ‘প্রচারক’ পদ। আর এ পদ পেতে গেলে চিরকুমার থাকতে হয়। গোপনীয়তা বজায় না রাখলে হয়তো ওই পদে আসীন হতে পারতো না সে। ১৯৭১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আরএসএসে যোগ দিয়েছিল মোদি।
রাজনীতিতে জড়ানোর পরও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করে মোদি। পরে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে সে।
১৯৮৭-৮৮ সময়ে মোদি বিজেপির গুজরাট ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়। মূলত, এর মধ্য দিয়েই মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করে সে।
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে ধীরে ধীরে বিজেপিতে নিজের অবস্থান পোক্ত করেন মোদি। ১৯৯০ সালে তিনি আদভানির নেতৃত্বে সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রায় বড় ভূমিকায় ছিলো।
১৯৯১ সালে তৎকালীন দলীয় প্রধান মুরলি মনোহর যোশির নেতৃত্বে কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রারও অন্যতম সংগঠক ছিলো মোদি।
মুসলমানদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা:
২০০১ সালে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেলকে সরিয়ে দিল্লি অফিসের এক নাম জানা পদাধিকারী নরেন্দ্র মোদিকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপি। তাকে সাপোর্ট দিয়েছিল লালকৃষ্ণ আদভানি। সাময়িক ক্ষমতা পাওয়ার পর তা পাকাপোক্ত করতে মুসলমানদের রক্তকে বেছে নিয়েছিল মোদি। মুসলমানদের রক্ত দেখলে হিন্দুরা খুশি হবে, আর তাতেই ক্ষমতা আসবে তার হাতে। হয়েছিলও তাই, গোধরার ট্রেনে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে তার দোষ দিয়েছিল মুসলমানদের ঘাড়ে। মেরে কেটে একাকার করেছিল মুসলমানদের, ধর্ষণ করে আগুনে পুড়িয়েছিল মুসলিম মা-বোনদের, তাড়িয়ে দিয়েছিল মুসলমানদের বাড়ি থেকে। আর এই মুসলিম নিধনেই হিন্দুদের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠল এ হিন্দুউগ্রবাদী নেতা। ২০০২ থেকে বর্তমান পর্যন্ত টানা তিন বার (প্রথমবার সহ চারবার) বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলো এ সন্ত্রাসী ।
গুজরাট দাঙ্গার খলনায়ক মোদি:
২০০২ সালে মোদীর জনতা পার্টি যে মুসলিম নিধনে প্রত্যক্ষ জড়িত ছিল তার বহু দলিল রয়েছে। দাঙ্গার সময় মোদীর সহযোগী ভিএইচপি’র নেতারা উগ্র বক্তব্য দিয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে তুলছিল। এই ভিএইচপি নেতাদের মোদীর সরকার বাধাতো দেয়ই নাই বরং সহযোগিতা করেছে।
সেই সময় দায়িত্বরত পুলিম কর্মকর্তা সঞ্জিব ভাট ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের কাছে তার হলফনামায় বলেছিল, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরা কা-ের পর নরেন্দ্রমোদি পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়, হিন্দুরা মুসলমানদের প্রতি যেন তাদের ক্ষোভ মেটাতে পারে, পুলিশকে সে ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ভাট এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ সরাসরি তুলে ধরে যাতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদি বলেছিলো, “মুসলমানরা যাতে পুনরায় এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে না পারে, সেজন্য তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেয়ার এটি মোক্ষম সময়।”
এ বক্তব্যের পর ২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০০২ তারিখে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মাত্র ৬ কিলোমিটারের মধ্যে ১৫০ জন মুসলমানকের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে উগ্র হিন্দুরা। আর দাঙ্গায় মূল প্রাণহানী প্রথম কয়েকদিনে হলেও, প্রায় তিন মাস ধরে চলে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে হত্যা, ধর্ষণ ও বাস্তুচ্যুত করা হয়।
গুজরাটের গোধরা দাঙ্গার প্রথম দিনেই (২৮ ফেব্রুয়ারী ২০০২) যখন শহরের বিভিন্ন স্থান আগুনে পুড়ছিল, মারা যাচ্ছিল শত শত মুসলিমকে, তখন রাজ্যের
CMO পি কে মিশ্র দাবী করে “শহর একেবারে স্বাভাবিক!” তাকে যখন বলা হয় প্রাক্তন কংগ্রেস এমপি এহসান জাফরি এই দাঙ্গায় নিহত হয়েছেন তখনও তার উত্তর ছিল যে এরকম কিছুই ঘটেনি।
মোদী যদিও সবসময় বলে আসছিল যে গুজরাটের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গাটা ছিল তাৎক্ষণিক, কিন্তু দেখা গেছে এতে তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এর মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী কোদনানীকে আদালত ২৮ বছর জেল দেয় দাঙ্গা উস্কে দেয়ার জন্য, যাকে মোদী পুরুষ্কার স্বরূপ ক্যাবিনেট মিনিস্টার হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল
গুজরাটে মুসলিম নিধন সম্পর্কে মোদির বক্তব্য: কুুকুর মরলে দু:খ পাবো
ভারতের গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০০২ সালের মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার জন্য অনুতপ্ত নয় বলে ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে মোদি বলেছে, তাকে বহনকারী মোটরগাড়ি কোনো কুকুর ছানাকে চাপা দিলে সে জন্য দুঃখ অনুভব করবে সে। রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মোদি আরো দাবি করে, আমি যদি অপরাধ করে থাকতাম তবে অনুশোচনায় ভুগতাম।
মোদির এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে সমাজবাদী পার্টি। এ বক্তব্যের জন্য মোদিকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে এ দলের মুখপাত্র কামাল ফারুকি বলেছে, “মোদি কি মনে করে ভারতের মুসলমানরা কুকর ছানার চেয়েও অধম?”
মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেয়ার শর্ত ‘উগ্রহিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা তথা মুসলিম নিধন”
সঙ্ঘ পরিবার বা আরএসএসকে মোদী জানিয়েছে, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হলে হিন্দুত্বের কর্মসূচিকে সে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেবে। আরএসএস চাইছে, রামমন্দির নির্মাণ, সংবিধানের ৩৭০ ধারা (জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা) বিলোপ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এই তিনটি সাবেক বিষয়কে বিজেপি ফের সামনে নিয়ে আসুক। সেই সঙ্গে গরু কুরবানী বন্ধের বিষয়টিকেও কর্মসূচিতে আনা হোক। মোদি স্পষ্ট করে বলেছে, মতাদর্শগত এই সব বিষয়কে সে প্রচারে অগ্রাধিকার দেবে।
আমি আবারো বলছি, এই ইতিহাসটা আপনার সংগ্রহে রাখুন। কিছুদিন পরেই এটা আপনাদের বিশেষ কাজে লাগবে। কারণ ক্ষমতা আর টাকার লোভে একদল দাড়ি-টুপি ওয়ালা লোক মোদির এই অপকীর্তিসমূহ অস্বীকার করতে চাইবে। বিভিন্ন যুক্তিতর্ক দিয়ে সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদিকে ভাল বানাতে চাইবে। তখন আমার এ নোটের কথা মনে করবেন। (গরীবের কথা বাসি হলে ফলে)
দস্তার রাজদরবার shared a note via Des Wa.
যেহেতু
ভারতে একটি বড় অংশ মুসলমান (সরকার দাবি করে ১৮ কোটি, প্রকৃত সংখ্যা এর
দ্বিগুনও হতে পারে) এবং মোদি যেহেতু ‘এন্টি মুসলিম’ তাই মোদিও চাইবে
নির্বাচনে জয় পেতে মুসলমানদের তার দলে ভিড়াতে। তাই কিছুদিন পর হয়ত আপনারা
দেখতে পারবেন কিছু মুসলমান নামধারী
মুনাফিক মোদির পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেছে। হয়ত দেখতে পাবেন, তারা
ইসলামের নাম দিয়ে বলছে “মোদির থেকে ইসলাম প্রিয় আর কেউ নাই, কিংবা মোদির
সময় মুসলমানরা সবচেয়ে ভাল থাকে” ইত্যাদি ইত্যাদি।
(আমাকে আবার কংগ্রেসের সাপোর্টার ভাববেন না, ওটাও সেক্যুালার লেভেল আটা খাঁটি হিন্দুত্ববাদী)
আমি আবারো বলছি, এই ইতিহাসটা আপনার সংগ্রহে রাখুন। কিছুদিন পরেই এটা আপনাদের বিশেষ কাজে লাগবে। কারণ ক্ষমতা আর টাকার লোভে একদল দাড়ি-টুপি ওয়ালা লোক মোদির এই অপকীর্তিসমূহ অস্বীকার করতে চাইবে। বিভিন্ন যুক্তিতর্ক দিয়ে সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদিকে ভাল বানাতে চাইবে। তখন আমার এ নোটের কথা মনে করবেন। (গরীবের কথা বাসি হলে ফলে)
(আমাকে আবার কংগ্রেসের সাপোর্টার ভাববেন না, ওটাও সেক্যুালার লেভেল আটা খাঁটি হিন্দুত্ববাদী)
আমি আবারো বলছি, এই ইতিহাসটা আপনার সংগ্রহে রাখুন। কিছুদিন পরেই এটা আপনাদের বিশেষ কাজে লাগবে। কারণ ক্ষমতা আর টাকার লোভে একদল দাড়ি-টুপি ওয়ালা লোক মোদির এই অপকীর্তিসমূহ অস্বীকার করতে চাইবে। বিভিন্ন যুক্তিতর্ক দিয়ে সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদিকে ভাল বানাতে চাইবে। তখন আমার এ নোটের কথা মনে করবেন। (গরীবের কথা বাসি হলে ফলে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন