সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩

চতুর্থ নোট: দেওবন্দীরা হলো হিন্দু মার্কা


আমার চতুর্থ নোট: দেওবন্দীরা হলো হিন্দু মার্কা মুসলমান

27 October 2013 at 12:30

যোগ (সংস্কৃত, পালি: योग yóga) ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভুত একপ্রকার ঐতিহ্যবাহী শারীরবৃত্তীয় ও মানসিক সাধনপ্রণালী। "যোগ" শব্দটির দ্বারা হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের ধ্যানপ্রণালীকেও বোঝায়হিন্দুধর্মে এটি হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রাচীনতম (আস্তিক) শাখার অন্যতমজৈনধর্মে যোগ মানসিক, বাচিক ও শারীরবৃত্তীয়কিছু প্রক্রিয়ার সমষ্টি
হিন্দু দর্শনে যোগের প্রধান শাখাগুলিহল রাজযোগ,কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ ও হঠযোগভারতীয় দার্শনিকসর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের মতে, পতঞ্জলির যোগসূত্রে যে যোগের উল্লেখআছে, তা হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রধান শাখার অন্যতম (অন্যান্য শাখাগুলি হলো কপিলের সাংখ্য, গৌতমের ন্যায়,কণাদের বৈশেষিক, জৈমিনীর পূর্ব মীমাংসা ও বদরায়ানেরউত্তর মীমাংসা বা বেদান্ত)অন্যান্যযেসব হিন্দু শাস্ত্রগ্রন্থে যোগের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলি হলো উপনিষদ্‌, ভগবদ্গীতা,হঠযোগ প্রদীপিকা, শিব সংহিতা ও বিভিন্ন তন্ত্রগ্রন্থ
সংস্কৃত "যোগ" শব্দটির একাধিকঅর্থ রয়েছেএটি সংস্কৃত"যুজ" ধাতু থেকে ব্যুৎপন্ন, যার অর্থ "নিয়ন্ত্রণ করা", "যুক্ত করা" বা "ঐক্যবদ্ধ করা"। "যোগ" শব্দটির আক্ষরিক অর্থ তাই "যুক্ত করা", "ঐক্যবদ্ধ করা", "সংযোগ" বা "পদ্ধতি"সম্ভবত "যুজির্সমাধৌ" শব্দটি থেকে "যোগ"শব্দটি এসেছে,যার অর্থ "চিন্তন" বা "সম্মিলন"দ্বৈতবাদী রাজযোগের ক্ষেত্রে এই অনুবাদটি যথাযথকারণ উক্ত যোগে বলা হয়েছে চিন্তনের মাধ্যমে প্রকৃতি ও পুরুষেরমধ্যে ভেদজ্ঞান জন্মেযে যোগ অনুশীলন করে বা দক্ষতারসহিত উচ্চমার্গের যোগ দর্শন অনুসরণ করে, তাঁকে যোগীবা যোগিনী বলা হয়

ইতিহাস

বৈদিক সংহিতায় তপস্বীদের উল্লেখ থাকলেও, তপস্যার (তপঃ) উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থে (৯০০ থেকে ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)সিন্ধু সভ্যতার (৩৩০০১৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) বিভিন্ন প্রত্নস্থলে পাওয়া সিলমোহরেধ্যানাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির ছবি পাওয়া গেছেপুরাতত্ত্ববিদ গ্রেগরি পোসেলের মতে, এই ভঙ্গিমাটি "যোগের পূর্বসূরিএক ধর্মীয় আচারের রূপ"কোনো কোনোবিশেষজ্ঞ সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলমোহর এবং পরবর্তীকালের যোগ অনুশীলনের মধ্যে একটিসংযোগ সূত্রের কথা অনুমান করেছেকিন্তু এর কোনো স্পষ্ট প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি
ধ্যানের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরেউন্নীত হওয়ার পদ্ধতি হিন্দুধর্মের শ্রামণিক ও ঔপনিষদ ধারায় বর্ণিত হয়েছে
প্রাক-বৌদ্ধ ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থগুলিতেধ্যানের উল্লেখ পাওয়া যায় নাতা সত্ত্বেওওয়েইনি নিরাকার ধ্যানপদ্ধতিকে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম থেকেও উৎসারিত বলে মনে করেছেএর প্রমাণস্বরূপ সে ঔপনিষদ বিশ্ববর্ণনা ও আদিযুগীয় বৌদ্ধগ্রন্থগুলিতে বর্ণিত বুদ্ধের দুই গুরুর ধ্যানকেন্দ্রিক লক্ষ্যের শক্তিশালী সমান্তরালধারাটির উল্লেখ করেছেতবে সে কম সম্ভাবনাময় বিষয়গুলিরও উল্লেখ করতে ভোলেনিতাঁর মতে,উপনিষদের বিশ্ববর্ণনায় ধ্যানপদ্ধতির একটি আভাস পাওয়া যায়। সে আরও বলেছে, নাসদীয় সূক্ত এবং পরবর্তী ঋগ্বৈদিকযুগেও ধ্যানপ্রণালীর অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিই সম্ভবত প্রথমগ্রন্থ যেগুলিতে ধ্যানের পদ্ধতি বর্ণিত হয়এই সকল গ্রন্থে বুদ্ধের আবির্ভাবের পূর্বে বিদ্যমান এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে উদ্ভুত এই উভয় প্রকারধ্যানপ্রণালীরই বর্ণনা পাওয়া যায়হিন্দু সাহিত্যে "যোগ" শব্দটি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে কঠোপনিষদেউক্ত গ্রন্থে "যোগ" শব্দটির অর্থ ইন্দ্রিয় সংযোগও মানসিক প্রবৃত্তিগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের মাধ্যমে চেতনার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীতহওয়াযোগ ধারণার বিবর্তন যে সকল গ্রন্থেবিধৃত হয়েছে,সেগুলি হল মধ্যকালীন উপনিষদসমূহ (৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ), মহাভারত (ভগবদ্গীতা সহ, ২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ও পতঞ্জলিরযোগসূত্র (১৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)
হিন্দু দর্শনে যোগ ছয়টি মূল দার্শনিকশাখার একটিযোগ শাখাটি সাংখ্য শাখাটির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবেজড়িত

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন:  https://bn.wikipedia.org/wiki/যোগ_(হিন্দুধর্ম)


ইয়োগা যে হিন্দুদের খাটি ধর্মীয় অনুসঙ্গ তা বুঝতে আশাকরি কারো কোন সমস্যা নেই। তবে সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যা অন্যখানে, তা হলো ইসলাম ধর্মে ইয়োগা জায়েজ রয়েছে এই ফতওয়া দেয়া। (নাউযুবিল্লাহ) এবং একই সাথে হিন্দুদের কথিত ইয়োগা বাবার থেকে কয়েক হাজার দেওবন্দীর ইয়োগা তালিম নেয়া।


ইয়োগা সম্পর্কে দেওবন্দের ফতওয়ার ইউটিউব লিঙ্ক: http://www.youtube.com/watch?v=rCjhoCN3bRA


ইয়োগা সম্পর্কে দেওবন্দের ফতওয়ার ইউটিউব লিঙ্ক:  http://www.youtube.com/watch?v=3-TpPPFDJQY



দেওবন্দীদের ইয়োগা ট্রেনিং দিচ্ছে রামদেব-ইউটিউব লিঙ্ক: http://www.youtube.com/watch?v=BREgDyKgW2M


দেখুন আরেক মদন দেওবন্দী ইয়োগার প্রশংসা করতে গিয়ে তাকে নামাজের সাথে তুলনা করে বসেছে: http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2009-01-29/delhi/28043824_1_national-fatwa-council-yoga-offering-namaz


------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবুল কালামের নাম সবারই জানা। অনেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে একজন মুসলমানকে দেখে গর্বও বোধ করতে পারেন। কিন্তু প্রকৃতসত্য হচ্ছে, নামে মুসলমান হলেও এপিজে আবুল কালামের জীবনকর্মকাণ্ড বেশিরভাগই মজুসীদের (অগ্নি উপাসক) মত। যেমন: ইসলামে গোশত খাওয়া জায়িজ এবং সুন্নত, কিন্তু আবুল কালাম হচ্ছে নিরামিশভোজী। সে নিয়মিত হিন্দুধর্মীয় গীতা পাঠ করে। সে হিন্দুদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে সর্বদা হিন্দু ধর্মের প্রশংসাসূচক বক্তব্য দেয়। যার কারণে দেখবেন, মুসলমানদের থেকে হিন্দুরা এপিজে আবুল কালামকে বেশি সাপোর্ট দেয়, এমনকি কট্টরপন্থী আরএসএস পর্যন্ত দাবি করে এপিজে হচ্ছে হিন্দু। একইভাবে আবুল কালাম মত জীবন নির্বাহ করতো নামে মুসলমান হচ্ছে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক জাহাঙ্গীর এবং মনসুর আলী খান পাতৌদী (নায়ক সাঈফ আলী খানের বাবা)।
যার কারণে অনেকেই এদের প্রকৃত মুসলমান বলতে নারাজ, তাদের বলা হয় ‘মজুসী মুসলমান’।

ফারুক জাহাঙ্গীর
মনসুর আলী পাতৌদী
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

অনুরূপ দেওবন্দে সার্বিক কার্যক্রম থেকে তাদের প্রকৃত মুসলমান দাবি করার কোনই যৌক্তিকতা নেই। আসলে দেওবন্দীরা হচ্ছে ‘হিন্দু মার্কা মুসলমান’।


[বি: দ্র: যৌক্তিক আলোচনা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু অন্ধ তালগাছবাদী কমেন্ট এবং ব্যক্তিআক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়।]

১) ভারতের দেওবন্দ নিয়ে দস্তার রাজদরবারের ঐতিহাসিক স্ট্যাটাস এবং আমার প্রথম নোট: http://goo.gl/qz1KRj


২) আমার দ্বিতীয় নোট: নরখাদক নরেন্দ্র মোদির ইতিহাস কি মুসলমান ভুলে যাবে??: http://goo.gl/LgUZBc

৩) আমার তৃতীয় নোট: মোদি ইস্যুতে দেওবন্দে ভাঙ্গন, প্রতারিত সাধারণ মুসলমান: http://goo.gl/NKBMBt


######
যে যোগবিদ্যা হিন্দুশাস্ত্রের একটি শাখা, সেই যোগবিদ্যাকেও বৈধতা দিয়ে ফতোয়া দিয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ যোগগুরু রামদেবের অনুরোধে। তারা এটি বলতেও দ্বিধা করেনি, “নামায হলো যোগসাধনার একটি বিশেষ রূপ”।(নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)

একটু চিন্তা করুন পাঠকরা, উগ্র হিন্দুরা যে দাবি করে তাদের মিথ্যা ধর্ম থেকে আমাদের ধর্মটা এসেছে, তা কি দেওবন্দীরা সমর্থন করছে না?


1 টি মন্তব্য: