শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৪

পহেলা বৈশাখ

 আপনি কি চান পহেলা বৈশাখ পালন করে আপনার হাশর-নশর হিন্দু-মজুশীদের সাথে হোক ?

‘সূরা আলে ইমরান’-এর ৮৫ নম্বর আয়াত শরীফ মহান আল্লাহ পাক বলেন, “যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম (বিধর্মী ও বিজাতীয়দের নিয়ম-নীতি ও তর্জ-তরীক্বা) তলব বা অনুসরণ ও অনুকরণ করে, তার থেকে তা কখনই গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে (অবশ্যই) ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” (সুনানে আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ)
এবার চিন্তা করে দেখুন ইহা পালন করলে কি পরিনতি হবে ?







 পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কথিত মঙ্গলশোভাযাত্রার ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ:-

এখানে মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি দিয়ে এক হিংস্র দানব প্রতিকৃতি তৈরী করা হয়েছে। আয়োজকদের দাবি, এটার মাধ্যমে রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলাই উদ্দেশ্য।

তবে তারা যাই দাবি করুক, দাড়ি-টুপি হচ্ছে ইসলাম ও মুসলমানের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন, তাই তার অবজ্ঞা ইসলামকে অবজ্ঞা করারই সামিল।
যারা এ ধরনের মূর্তি বানায় তাদের উদ্দেশ্য বলতে হয়, অনেক জামাত-শিবিরের লোক আছে, যারা শার্ট-প্যান্ট-দাড়িবিহীন। তাহলে ঐ আকৃতিতে মূর্তি বানানো হলো না কেন??
অনরুপ, অনেকে সন্ত্রাসীদের প্রতিকৃতি হিসেবে দাড়ি-টুপি বুঝায়। তাদের উদ্দেশ্যেও বলতে হয়, বড় বড় খুনি-সন্ত্রাসীদেরই তো দাড়ি নেই, তাহলে তারা কেন শার্ট-প্যান্ট-দাড়িবিহীনকে সন্ত্রাসীদের পোষাক বলে না?

আসলে রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী-সন্ত্রাসী কিছু না, রমনায় পহেলা বৈশাখ আয়োজক ছায়নট+চারুকলা আসলে ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দুবাদী। এরা ইসলামের প্রতি বিদ্বেষটাই রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের নামে চালায়। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ইসলাম বিদ্বেষীদের এ অনুষ্ঠান বর্জন করা এবং তার সকল আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং পাড়াপ্রতিবেশীকে এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে সচেতন করা এবং বলা, “যদি মুসলমান থাকতে চাও, ঈমানদার থাকতে চাও, জাহান্নামের আগুন থেকে বাচতে চাও তবে অবশ্যই এ পহেলা বৈশাখকে না বলো”।





 জেনে নিন: কেন পহেলা বৈশাখ পালন করলে আপনি কাফির-মুরতাদ হয়ে যাবেন?

কোন বছরের পহেলা দিবস পালন করা মজুসী বা অগ্নি উপাসকদের একটি একান্ত উৎসবের দিন। পরবর্তীতে অবশ্য অন্যান্য মুশরিক ধর্ম যেমন: বৌদ্ধ, হিন্দু ও উপজাতিরাও এ দিবসটিকে উৎসব ও পূজার দিন হিসেবে গ্রহণ করে। তাই পহেলা বৈশাখ দুটি কারণে হারাম ও কুফরী:

১) এটি মজুসীদের অনুকরণ
২) এটি হিন্দু, বৌদ্ধ ও উপজাতিদের পূজা ও উৎসবের সাথে সদৃশ্য

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইসলাম কি কাফিরদের সাদৃশ্যপূর্ণ আমল করার অনুমতি দেয়?? পবিত্র কুরআন হাদীস এ সম্পর্কে কি বলে???

১) পবিত্র কুরআন পাকে আছে:
“যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (নিয়মনীতি, অন্য ধর্ম) তালাশ করে, তা কখনোই তার থেকে গ্রহণ করা হবেনা এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” (সূরা আলে ইমরান-৮৫)

2) পবিত্র হাদীস পাকে আছে:
عن جابر رضى الله تعالى عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم حين اتاه عمر فقال انا نسمع احاديث من يهود تعجبنا افترا ان نكتب بعضها فقال امتهوكون انتم كما تهوكت اليهود والنصرى لقد جئتكم بها بيضاء نقية ولو كان موسى حيا ماوسعه الا اتباعى.
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, একদিন হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নবী পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা ইহুদীদের থেকে তাদের কিছু ধর্মীয় কথা শুনে থাকি, যাতে আমরা আশ্চর্যবোধ করি, ওটার কিছু আমরা লিখে রাখবো কি? নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরাও কি দ্বিধাদন্দ্বে রয়েছো? যে রকম ইহুদী নাছারারা দ্বিধাদন্দ্বে রয়েছে? অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট পরিপূর্ণ, উজ্জ্বল ও পরিষ্কার দ্বীন নিয়ে এসেছি। হযরত মুসা আলাইহিস্ সালামও যদি দুনিয়ায় থাকতেন, তাহলে তাঁকেও আমার অনুসরণ করতে হতো।” (মুসনদে আহমদ, বায়হাক্বী, মিশকাত)

3) হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে,
عن عمرو بن شعب عن ابيه عن جده ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليس منا من تشبه بغيرنا.
অর্থ: “হযরত আমর বিন শুয়াইব তাঁর পিতা থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বিজাতীয়দের সাথে সাদৃশ্য রাখে।” (মিশকাত)

৪) ইহুদীরা আশুরা উপলক্ষে একটি রোজা রাখত। নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়টি অবহিত হয়ে মুসলমানদের রোজা রাখার অনুমতি দিলেন, যেহেতু রোজা মুসলমানরাও রাখে। কিন্তু ইহুদীদের সাদৃশ্য না রাখার জন্য দুইটি রোজা রাখতে বলবেন। তাই আশুরা উপলক্ষে ১টি রোজা রাখা মাকরুহ।

৫) “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” (আবু দাউদ, মিশকাত শরীফ)

এরকম পবিত্র কুরআন হাদীসের বহু জায়গায় কাফির-মুশরিকদের অনুরসরণ-অনুকরণ করতে সরাসরি নিষেধ করা হয়েছে। এবং যে এরুপ করবে সে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ’র আদেশ অমান্য করে ইসলামচ্যূত মুরতাদ হয়ে যাবে।

কিন্তু এখানে অনেকে বলতে পারে: “আমরা যে কম্পিউটার, গাড়ি, প্লেন ইত্যাদি কাফিরদের তৈরী জিনিস ব্যবহার করছি সেগুলো কি হালাল?? ঐগুলো কেন বর্জন করি না”।

কাফিরদের তৈরী জিনিস ব্যবহার করা কি হারাম??

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিশরের সূতি কাপড় পরিধাণ করতেন, ইয়েমেনী চাদর ব্যবহার করতেন এবং রোম-পারস্যের যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করতেন, যেসব দেশে ঐ সময় মুসলমানরা থাকত না, সবাই কাফির ছিলো। অর্থ্যাৎ তিনিই নিজেই কাফিরের তৈরী জিনিস ব্যবহার করেছেন। তাহলে বিষয়টি আসলে কি??
মূলত এখানে দু্ইটি বিষয় আছে: ১) কাফিরের তৈরী জিনিসপত্র, ২) কাফিরদের নিয়মনীতি বা সংস্কৃতি
যারা এ দুটি বিষয়ের পার্থক্য ধরতে পারে না তারাই এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। এখানে মনে রাখতে হবে হাদীস শরীফে আছে:
“নিশ্চয়ই দুনিয়ার সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে তোমাদের জন্য, আর তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে আখেরাতে মহান আল্লাহ’র সন্তুষ্টির হাসিলের জন্য।”
অর্থ্যাৎ সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে মুসলমানদের জন্য, এমনকি কাফিরাও মুসলমানদের খাদিম। সেজন্য খাদিম মনিবকে অনেককিছু বানিয়ে দিতে পারে। মুসলমান সবকিছু গ্রহণ করবে এমন কোন কারণ নাই। যেগুলো শরীয়ত সম্মত সেগুলোই গ্রহণ করবে, যে জিনিস শরীয়ত সম্মত নয় (যেমন মদ) সেগুলো গ্রহণ করবে না।
অপরদিকে মাল-সামানা ব্যবহার করতে পারলেও সংস্কৃতি বা নিয়মের ব্যাপারে কাফিরদের থেকে কোন কিছুই গ্রহণ করা যাবে না। এবং কেউ যদি গ্রহণ করে তবে উপরক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীস শরীফ অনুসারে সে মুরতাদ ও কাফির বলে গণ্য হবে।

তাই ইসলামী শরীয়ত অনুসারে পহেলা বৈশাখ পালনকারী মুরতাদ বা ইসলামচ্যূত হয়ে যাবে আর মুরতাদের শাস্তি হচ্ছে:
১) তার জীবনের সমস্ত নেক আমল বাতিল হয়ে যাবে
২) হজ্জ করলে তা বাতিল হয়ে যাবে
৩) স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে, এরপর সন্তান হলে জারজ সন্তান হবে।
৪) ওয়ারিস সত্ত্ব বাতিল হয়ে যাবে
৫) মারা গেলে জানাজা পরা যাবে না, কেউ ঐ ব্যক্তির জানাজা পরলে সেও মুরতাদ হয়ে যাবে।
৬) তাকে মুসলিম উপায়ে কবর দেয়া যাবে না, কুকুর বিড়ালের মত মাটির নিচে পুতে রাখতে হবে।

এখানে স্মরণীয় মহান আল্লাহ বলেন, “তোমরা যা জানো না, তা আহলে যিকির (ওলী আল্লাহগণ) দের থেকে যেনে নাও।” তাই বিভিন্ন বিষয় শরীয়ত সম্মতভাবে জানতে হলে কোন ওলী আ্ল্লাহদের থেকে জেনে নিতে হবে। কিন্তু যারা ধর্মব্যবসায়ী, দলের জন্য ফতওয়া ঘুরিয়ে ফেলে, নিজেরাই ঠিক মত আমল করে না, বেপর্দা চলে, রাজনীতি করে তাদের থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হবে না।

অন্যদিকে, যেহেতু পহেলা বৈশাখ পালন করে কোটি কোটি মুসলমান মুরতাদ হয়ে যাবে, তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে এ কুফরী কাজ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা।
কারণ পবিত্র কুরআন পাকে আছে:
“তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজেরআদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।" (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)

তাই আসুন একজন মুসলমান হিসেবে আমরা এই হারাম ও কুফরী কাজ থেকে নিজে দূরে থাকি এবং নিজ পরিবার পরিজন, পাড়াপ্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধবকে দূরে রাখি।


একবার মহান মহান আল্লাহ তায়ালা ফিরিশতা হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালামকে বললেনে: “বনী ইসরাইলের অমুক গোত্রটা হারাম কাজে মশগুল হয়ে গেছে, তাদের এলাকাটি গজবস্বরূপ উল্টে দিয়ে আসুন”। তখন হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম বললেন, “হে আল্লাহ তায়ালা, ঐ এলাকায় আপনার এমন এক পেয়ারা বান্দা বাস করেন, যে চোখের পলকের তরেও গুনাহ করে না, সারা দিন ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকেন। তাকেসহ কি উল্টে দিয়ে আসব?” তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন: “ঐ ব্যক্তি অনেক ইবাদত বন্দেগী করে এটা ঠিক, কিন্তু ঐ এলাকার মানুষ যে এত হারাম-কুফরী-শিরকী কাজে লিপ্ত হয়েছে, সে তাদের প্রতিবাদ করে না। এমনকি তার মুখটা এর জন্য দুঃখে একটু বাকাও করে না। আপনি ঐ ব্যক্তিসহ এলাকাটিকে গজবে নিক্ষিপ্ত করুন।”
অর্থ্যাৎ কোন এলাকা বা দেশে হারাম কাজ হলে প্রতিবাদ করতে হয়, নয়ত পুরো এলাকার জন্য গজব নেমে আসে। মূলত: প্রকৃত ঈমানদারের লক্ষণ হচ্ছে সে হারাম কাজের প্রতিবাদ করবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
১) “তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজেরআদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।" (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)
২) “তোমাদের মধ্যে এমন একটি সম্প্রদায় হওয়া জরুরী, যারা (মানুষকে) কল্যাণ-এর (কুরআন-সুন্নাহ তথা ইসলামের) দিকে ডাকবে এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করবে, আর তারাই মূলতঃ কামিয়াব।” (সূরা আল ইমরান ১০৪)

মূলতঃ কথিত পহেলা বৈশাখ নামক নামক হারাম কাজের লিপ্ত হয়ে ঐ দিন কোটি কোটি মানুষ কুফরী-শিরকী করে মুরতাদ হয়ে যাবে। ফলে এদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত হবে। তাহলে একজন মুসলমান হিসেবে এদেরকে নিষেধ করা কি আমাদের ঈমানী দায়িত্ব নয়?? অবশ্যই, এটা আমাদের জন্য ফরজ।







তাই যেটা করতে পারেন:
১) নিজের আত্মীয় স্বজন, এলাকাবাসী, বন্ধু-বান্ধবকে পহেলা বৈশাখের হারাম থেকে সচেতন করুন।
২) লিঙ্কের লেখাগুলো প্রিন্ট দিয়ে ফটোকপি করে সবার মাঝে, যেমন: মসজিদ, বাজার, স্কুল, প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়াতে পারেন।
ক) https://www.facebook.com/photo.php?fbid=483454711783974&set=a.242951882500926.58017.100003583482736&type=1&stream_ref=10)
খ) https://www.facebook.com/photo.php?fbid=485050934957685&set=a.242951882500926.58017.100003583482736&type=1&stream_ref=10

 
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=485050934957685&set=a.242951882500926.58017.100003583482736&type=1&stream_ref=10
৩) মসজিদের ঈমাম সাহেবের সাথে কথা বলে পুরো এলাকাবাসীকে হারাম পহেলা বৈশাখ থেকে বিরত থাকতে ঘোষণা দিতে পারেন।
৪) সবাইকে বলুন, আমরা আগে মুসলমান, এরপর বাঙালী। আমাদের ধর্মের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন সংস্কৃতি আমরা পালন করতে পানি না।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বলেছিলেন: “আপনার দ্বারা যদি একজন মানুষও হিদায়েত পায়, তবে আসমান-জমিন যদি পূর্ণ করা হয় তার থেকেও অধিক ফজিলত আপনি পাবেন। (সুবহানাল্লাহ)
তাই আপনার দ্বারা যদি একজন মানুষও পহেলা বৈশাখ নামক কুফরী কাজ থেকে বিরত থাকে তবে আসমান ও জমিনে পূর্ণকৃত ফজিলত থেকেও অধিক ফজিলত আপনি লাভ করবেন। ইনশাআল্লাহ।





১) পহেলা বৈশাখের কথিত মঙ্গলশোভাযাত্রা উপলক্ষে চারুকলায় বিক্রি শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মুখোশ। মুখোশের মধ্যে রয়েছে রাজারানির জোড়ামুখোশ, দৈত্য, প্রতিমা, সর্দার, চোখসহ নানান আইটেম। এসব মুখোশ নিয়ে শোভাযাত্রায় হাঁটতে চাইলে খরচ করতে হবে ১৫শ’ থেকে ২০ হাজার টাকা। তাছাড়া ছোট আকারের বেশকিছু মুখোশ রয়েছে যেগুলোর দাম ৬শ’ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে।
২) আজও মিরপুর ভাষানটেক বস্তিতে আগুন ধরেছে, আগুনে পুড়ে গেছে শত শত বস্তিঘর। নিঃস হয়েছে হাজার হাজার পরিবার।
আসলে নিজেকে বাঙালী বা দেশপ্রেমিক পরিচয় দেয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা অপচয় করে রাক্ষস-দানবের মূর্তি নিয়ে ঘুরতে হয় না, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ঐ বাঙালী পরিবারকে সাহায্য করেই আসল বাঙালী দেশপ্রেমিক হওয়া যায়।








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন