রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪

পহেলা বৈশাখ ও অলৌকিক ঘটনা



পহেলা বৈশাখ ও অলৌকিক ঘটনা
কুফরীপ্রথা পহেলা বৈশাখের পক্ষে বললে কি হয় জানেন??? দুনিয়াতে তার ঈমান চলে যায়, আখেরাতে যেতে হয় জাহান্নামে। কিন্তু দুনিয়াতে থাকতে ঐ জাহান্নামের কিছু কিছু লক্ষণ জাহির হওয়া শুরু করে। এরকমই একটা অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিলো এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে। ঐ ব্যক্তিটি ছিলো জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররম মসজিদের সাবেক খতিব ওবাইদুল হক। সে ঐ সময় সরকারকে খুশি করতে ভুল ফতওয়া দিয়েছিলো।
হারাম পহেলা বৈশাখের পক্ষে ওবাইদুল হক বলেছিলো: " আল্লাহর বহু বড় নিয়ামত হলো নববর্ষ। নববর্ষ পালন করতে গিয়ে দান-খয়রাত করতে হবে শুকরিয়া আদায় করতে হবে দোয়া করতে হবে।"( তথ্যসূত্র: দৈনিক মানবজমিন ১০/০৪/২০০৪ ইং শেষ পৃষ্ঠা)
কিন্তু এ ভুল ফতওয়ার কাফফারা সে মৃত্যুর পর আদায় করে। স্বাভাবিকভাবে একটা মানুষ মারা যাওয়ার পর তার লাশ পচন ধরতে সময় লাগে। আর আল্লাহ-ওয়ালা বা মসজিদের ঈমামদের লাশে এত তাড়াতাড়ি পচন ধরার তো প্রশ্নই আসে না। কিন্তু ওবাইদুল হকের মৃত্যুর পর তার বিপরীত দেখা গেলো। মৃত্যুর সাথে সাথে লাশে পচন ধরলো, পেট ধারণ করলো বিরাট আকৃতি। বরফের বিছানায় রেখেও তা থামানো যাচ্ছিলো না। ছবিতে আপনারা নিজেরাই এ অলৌকিক বিষয়টি দেখতে পাচ্ছেন, লাশ রাখা হয়েছে বরফের বিছানার উপর, দেওয়া হচ্ছে বাতাস। তারপরও মানুষ পচা গন্ধের নাকে আঙ্গুল দিয়ে রেখেছে।


বৈশাখের ১ তারিখে ইলিশ খাওয়া যাবে কি??
অনেকে প্রশ্ন করেছিলো, বছরের প্রথম দিন ইলিশ মাছ খাওয়া ঠিক হবে কি না?? মানে, কেউ পহেলা বৈশাখ পালন করলো না, কিন্তু ইলিশ রাধলো, সেটা ঠিক হবে কি না??
আমি এর সঠিক উত্তর খুজতে গিয়ে একটু চিন্তু করেছি। পবিত্র কুরআন-হাদীস থেকে ঘেটে যেটা দেখলাম:
১) ইসলাম ধর্মে হাস-মুরগী আল্লাহ’র নামে জবাই করা জায়িজ। কিন্তু কুরবানী ঈদের দিন সুবহে সাদিক থেকে ১২ই জিলহজ্জ সূর্যাস্ত পর্যস্ত (যে সময়টুকুতে কুরবানী করা যায়) হাস-মুরগী জবাই করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ ঐ সময় মজুসী (অগ্নি উপাসক)-দের একটা রসম হচ্ছে দুই পায়ের (হাস-মুরগী) যন্তুসমূহ জবাই করা। এখানে উল্লেখ্য, মজুসীরা তাদের দেব-দেবীর নামে জবাই করে, কিন্তু আমরা আল্লাহ নামে জবাই করি। কিন্তু তারপরও মজুসীদের সাথে মিল হওয়ার কারণে ঐ সময় জবাই করতে নিষেধ করা হয়েছে।
২) ইসলামে রোজা রাখা জায়িজ এবং ফজিলতের কারণ। কিন্তু হাদীস শরীফে আশুরা (১০ মুহররম) উপলক্ষে ১টি রোজা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, রাখতে বলা হয়েছে ২টি রোজা। এর কারণ, ঐদিন ইহুদীরা ১টা রোজা রাখে, তাই ইহুদীদের সাদৃশ্য না রেখে ঐদিনের আগে বা পরে মিলিয়ে দুইটা রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নবীজি।
এবার আপনারাই বলুন, বিজাতীয় অনুষ্ঠান ১লা বৈশাখে যে ইলিশ খাওয়ার রসম চালু হয়েছে, সেটার সাথে মিল রেখে ঐ দিন ইলিশ খাওয়াটা ঠিক হবে কি না??


সূরা ফাতেহা’র শিক্ষা ও পহেলা বৈশাখের বৈধতা
সূরা ফাতেহাকে বলা হয় উম্মুল কুরআন, মানে পবিত্র কুরআনের মা। পুরো কুরআন পাকে যা রয়েছে, তা সংক্ষেপে এ সূরায় বর্ণনা করা হয়েছে। যার কারণে পরে নাজিল হলেও তার অবস্থান হয়ে যায় প্রথমে। এ সূরার গুরুত্ব এতটাই বেশি যে, নামাজের প্রত্যেক রাকাতে তা পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং বাদ গেলে নামাজ হবে না।
এ পবিত্র সূরার ৭ নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ তায়ালা’র দরবারে আমাদের দু’য়া করতে বলা হয়েছে, “ (হে আল্লাহ) আমাদের তাদের তাদের পথ দিবেন না, যারা গজবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত (কাফির-মুশরিক)”।
অর্থ্যাৎ আমরা নামাজের প্রত্যেক রাকাতে বলে থাকি ‘হে আল্লাহ আমাদের কাফির-মুশরিকের পথ দিবেন না’। এখন আমরা যদি নামাজে দাড়িয়ে বলি, আমাদের কাফির মুশরিকের পথ দিবেন না এবং পরে যদি হিন্দুদের পহেলা বৈশাখ পালন করি এবং মজুসীদের নওরোজ উৎযাপন করি তবে কি আমরা সূরা ফাতেহা মানলাম?? মুখে বললাম কাফির-মুশরিকের পথ দিয়েনে না, কিন্তু বাস্তবে মানলাম না পহেলা বৈশাখ পালন করলাম তবে কি তা মুনাফেকি হলো না??? এজন্যই আগের বার পোস্ট দিয়েছিলাম, যারা পহেলা বৈশাখ পালন করবেন তাদের আর নামাজ পরার দরকার নাই। কারণ এ লোক দেখানোর জন্য নামাজ, যা উল্টো জাহান্নামে যাওয়ার কারণ।




যারা পহেলা বৈশাখ পালন করবেন তাদের আর নামাজ পরার প্রয়োজন নেই

যারা পহেলা বৈশাখ পালন করবেন তাদের আর নামাজ পরার দরকার নেই! কি চমকে উঠলেন??
আসলে কথা কিন্তু ১০০% সত্যি। যারা পহেলা বৈশাখ পালন করলেন তাদের আর নামাজ পরার প্রয়োজনীয়তা থাকে না। কারণ নামাজ পরার জন্য ঈমান শর্ত, বেঈমান বা কাফির ব্যক্তি সারা দিন নামাজ পরলেও তার নামাজ কবুল হবে না। যেহেতু পহেলা বৈশাখ পালন করলে মানুষ কুফরী করে মুরতাদ হয়ে যায় তাই যতক্ষণ পর্যন্ত সে খাস তওবা না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে ঈমানহীন বা কাফির হয়েই থাকবে। তাই সে সময় তার নামাজ পরা আর না পরা সমান কথা।

পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে:
১) https://www.facebook.com/photo.php?fbid=485050934957685&set=a.242951882500926.58017.100003583482736&type=1&stream_ref=10
২) https://www.facebook.com/photo.php?fbid=483454711783974&set=a.242951882500926.58017.100003583482736&type=1&stream_ref=10










দেখুন মেয়েরা পহেলা বৈশাখে গিয়ে কিভাবে ইজ্জত হারাচ্ছে.....
ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের সমাজ কল্যান বিভাগের এক ফেবু ফ্রেন্ডের স্ট্যাটাস............
আজ সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির সামনে এক অপ্রীতিকর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হলাম। আমরা পাঁচজন কার্জন হল থেকে টিএসসি হয়ে হলে ফিরছিলাম। হঠাৎ করে বাংলা একাডেমির সামনে হাজার মানুষের ভীর আর শরগোল শুনে ভীর ঠেলে ভিতরে গেলাম। দেখলাম একটি মেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে আছে আর একটা মেয়ে ঊদ্যানের ওয়াল ঘেষে একটা উচু যায়গায় দাড়িয়ে চিৎকার করছে। এদের একজনের গায়ে কাপড় নেই আরেকজনের কাপড় ছিন্ন-বিন্ন। দুজনই চিৎকার করছে আর এদেরকে চেপে ধরে রেখেছে দুজন পুরুষলোক। যথাসম্ভব তাদের ইজ্জৎ বাচানোর জন্য নিজেদের কাপড় খুলে তাদেরকে পরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে পুরুষ দু'জন। তাদেরকে ঘিরে হাজারো মানুষের নিষ্কৃয় ভীর। কেউই ঘটনার পুরুপুরি বলতে পারছে না।


আজকে যে সব মেয়েরা কুফরী প্রথা পহেলা বৈশাখ পালন করতে বাইরে বের হলো তাদের দুশ্চঃচরিত্র বলাই উত্তম, কারণ এসব যায়গায় লম্পট পুুরুষের হাতের খোরাক হতে হয় এটা সবারই জানা, তারপরও তারা গেলো। তাহলে তাদের ভালো বলি কোন যুক্তিতে?? আর পুলিশও তো ঐ কোয়ালিটির, তার দোষ কোথায়???
সব কুকুরে কুকরে মিলে গেলে....কামড়া কামড়ি তো হবেই......


আজকে একটা ঘটনা নিউজ মিডিয়ায় বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। সেটা হলো সেন্টমার্টিনে গিয়ে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের মৃত্যু। সাগরের স্রোতে ভেসে গেলে কমপক্ষে ৬ ছাত্রের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এখনও ৪ জনের লাশ পাওয়া যায়নি। নিখোজ চারজনের মধ্যে একজন নাম সাব্বির হাসান। এখন থেকে মাত্র ১৬ ঘণ্টা আগে মানে সকাল বেলা এই সাব্বিরের স্ট্যাটাস ছিলো: Not a bad way to celebrate pahela baishakh with with friends

আসলে প্রত্যেকটা মানুষকেই মরতে হবে, কেউ স্বাভাবিক ভাবে মারা যাবে, কেউবা দুর্ঘটনায় মারা যাবে এটা কোন সমস্যা নয়। কিন্তু সে কোন অবস্থায় মারা গেলো সেটা ফ্যাক্টর। সে কি নেক কাজ করতে গিয়ে মারা গেলো, না কুফরী কাজ যেমন পহেলা বৈশাখ পালন করতে গিয়ে মারা গেলো। বহু মানুষ আজ হুজুগে মেতে গা ভাসিয়ে দিয়েছিলো হারাম পহেলা বৈশাখে। অনেকেই জানত এগুলো কুফরী, কেউ না কেউ তাদের মানা করেছিলো, কিন্তু তারপরও লোভ সামলাতে না পেরে তাতে মজে গিয়েছিলো।
কিন্তু তারাও যদি এই সাব্বিরের মত মারা যেতো তাহলে কি হতো??? তাদের মরণ হতো কুফরী দিবস উদযাপন করতে গিয়ে, তওবা করার সুযোগ পেতো না। তখন তো জাহান্নাম ছাড়া উপায় থাকতো না। (নাউজুবিল্লাহ)

তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এখনই এ কুফরী কাজ থেকে খালিস তওবা করা এবং জীবনে আর না করার সংকল্প করা।


নাস্তিক সাহিত্যিক আহমদ রফিক আজ একটা লেখায় স্বীকার করেছে, পহেলা নববর্ষ হচ্ছে সেকুলার বাঙালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। কথাটা তার ভাষায় কিন্তু ভুল বলেনি, ১০০ ভাগ সত্য কথাটা প্রকাশ করে দিয়েছে।
আসলে তার ভাষায় বাঙালী মুসলমান হচ্ছে দুই প্রকার ১) সেকুল্যার বা অসাম্প্রদায়িক ২) সাম্প্রদায়িক (খাটি মুসলমান)।
আসলে, একজন মুসলমান শুধুই মুসলমান, সেক্যুালার মুসলমান/ইসলাম বলে কোন শব্দ ইসলামে নাই। কারণ কবরে নামানো হলে মুনকার-নাকির ফিরিশতা জিজ্ঞেস করবে, “তোমার দ্বীন কি” তখন উত্তরে কিন্তু বলতে হবে ‘ইসলাম’। বললে হবে না ‘সেক্যুলার ইসলাম’।
মুসলমান ঐ ব্যক্তি যে পবিত্র কুরআন-হাদীসের প্রতি আত্মসমর্পণ করেছে। সে তার জীবন যাপন সবকিছুই ইসলামের কাছে সপে দিয়েছে। ইসলাম ধর্মে যেগুলো নিষিদ্ধ সেগুলো সে পালন করেনি। ইসলাম ধর্মে কাফিরদের নিয়মনীতি গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে তাই সে বছরের প্রথম দিন বা নওরোজ পালন করেণি। ইসলাম ধর্মে ইসলাম ব্যতিত অন্য ধর্ম তালাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে, তাই তাই সে পহেলা বৈশাখের নামে হিন্দুদের পূজা-অর্জনায় যোগ দেয়নি। যদি সে এর বিপরীত করে তবে কিন্তু সে মুসলমান থাকতে পারবে না। মুরতাদ হয়ে যাবে। অর্থাৎ ইসলাম ধর্মে কথিত সেক্যুলারিটির কোন স্থান নেই।

তাই ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকে পহেলা বৈশাখ পালনের বিচারের দিক থেকে বাঙালী মুসলমানদের আজ দুইভাগে ভাগ করা যায়:
১) মুরতাদ (যারা নববর্ষ করে কাফির হয়ে গেছে)
২) মুসলমান (যারা নববর্ষ করেনি)।
মহান আল্লাহ আমাদের এ জঘন্য কুফরী আমল থেকে তওবা করে মুসলমান হওয়ার তৌফিক দান করুন।
(রফিকের লেখার সূত্র: http://www.natunbarta.com/arts/2014/04/14/76790/বাঙালীর+শ্রেষ্ঠ+সেক্যুলার+জাতীয়উৎসব+বাংলা+নববর্ষ)


এবার পহেলা বৈশাখের আয়োজকরা যে কথাটা সবচেয়ে বেশি প্রচার করেছে সেটা হলো ‘সম্প্রীতি’ বা ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’।
এবিষয়ে বিডিনিউজ, প্রথম আলো প্রচুর লেখালেখি করেছে। এছাড়া বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সৃষ্টিকর্তা ওয়াহিদুল হকের বউ রবীন্দ্রধর্মালম্বী সানজিদা খাতুন এব্যাপারে ফলাও করে প্রচার করেছে। তার বক্তব্য হচ্ছে, “এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে।”

কিন্তু কথা হচ্ছে, এ গোষ্ঠিরা কেন এত বার বার কেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলছে?? এর পেছনে উদ্দেশ্যটা কি?? যেখানে পার্শ্ববর্তী ভারতে চরম উগ্রবাদী মুসলিম নিধনকারী নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানোর চেষ্টা চলছে, বিরাট জনগোষ্ঠী মুসলিম থাকার পরও মুসলিমবিরোধী ব্যক্তিকে সব হিন্দুরা ভোট দিচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে তাদের দালালরা কেন হিন্দুদের সাথে সম্প্রতির আবহাওয়া তৈরীর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে?? কারণটা কি??

ঠাণ্ডা মাথায় একটু চিন্তা করুন। মোদি ক্ষমতায় আসার আগেই ঘোষণা দিয়েছে, ক্ষমতায় আসলে রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। স্বাভাবিকভাবে সেটা করতে গেলে ১৯৯২ এর মত আারেকটা বড় দাঙ্গা বাধবে। তখন সারা ভারত জুড়ে গণহারে হত্যা করা হবে মুসলমানদের। আর তাতে বাংলাদেশের হিন্দুরা পরতে পারে সঙ্কটে। সেই সময় মুসলমানরা যেন এই সম্প্রীতির কথা মনে রেখে হিন্দুদের কিছু না বলে সেই জন্যই এ মগজ ধোলায় করা হচ্ছে।
মাথায় সূক্ষভাবে প্রবেশ করানো হচ্ছে, আগে বাঙালী, পরে মুসলমান। হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই। সুতরাং তাকে হেফাজত করার দায়িত্ব কিন্তু মুসলমানের। অথচ এ গোষ্ঠীটি ভারতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শিকেয় তুলে মুসলমান মারতে দাত খিঁচিয়ে আছে।

হারয়ে!! মুসলমান যে কবে বুঝবে???????



বাংলাদেশে হিন্দুদের বড় দালাল হচ্ছে বিডিনিউজ২৪.কম। হিন্দুবাদী চারুকলা এসকল কুফরী মূর্তি বানায় আর বিডিনিউজ২৪ সেগুলো প্রচার করে। উদ্দেশ্য এগুলো মাধ্যমে মানুষের ঈমান ধ্বংষ করা।
“ কাফির-মুশরিকদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।” (সূরা বাক্বারা-১০৯)



বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে না গেলে পাকিস্তানী ট্যাগ খেতে হবে কেন?? এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠান কে চালু করছিলো??

১৯৬৭ সালে রমনা বটমূলে কথিত এ বর্ষবরণ চালু করছিলো ভারতীয় দালাল ছায়ানটের ওয়াহিদুল হক। যে ছিলো রবীন্দ্রধর্মের অনুসারি, যার মৃত্যুর পর লাশের সামনে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া হয়। তার লাশকে জানাজা বা কবর দেয়া হয়নি।
যার কারণে দেখবেন, বটমূল অনুষ্ঠানের মূলকেন্দ্র হচ্ছে ছায়ানটের স্টেজ, যেখানে একের একের পর রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া হয়। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ছিলো বঙ্গদেশ তথা বাংলাদেশ বিরোধী, যে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করে, এর মাধ্যমে বর্তমান বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি সাধিত হয়।

তাই যারা রবীন্দ্রধর্মের অনুসারি ওয়াহিদুল হকের চালু করা কথিত বর্ষবরণে যাবে তারাই হচ্ছে রাজাকার। আর যারা না যাবে তারাই প্রকৃতঅর্থে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী।



দেখেছেন শুওরের বাচ্চা প্রথম আলো কি বলে???

“হাজার হাজার মানুষ ঘর থেকে বেরোয়। উৎসব করে। দেশের জন্য কিছু একটা করার সংকল্প নেয়। এবং সারা দিন প্রাণের সঙ্গে প্রাণ মেলায়। এবার যাঁরা সারা দিনমান উৎসবের রংকে উজ্জ্বল রাখবেন, তাঁরা এ দেশের জেগে থাকা তরুণ।”

এরা দেশের জন্য কি করার সংকল্প নেয়??? সারা বছর লুইচ্চামি করার সংকল্প নেয়???
আর জেগে থাকা তরুণ মানে?? তার মানে ঐখানে যারা লুইচ্চামি করতে না যায় তারা সবাই ঘুমিয়ে??

প্রথম আলো নামক জারজরা সংস্কৃতির নাম দিয়ে এ দেশের তরুণ সমাজকে বিপদগামী করছে........।

(লিঙ্ক: https://www.facebook.com/DailyProthomAlo/posts/753674891332266?stream_ref=10)

বলুন তো এত বড় আল্পনা আকঁতে কতটাকা খরচ হয়েছে???? যে দেশে কোটি কোটি মানুষ না খেতে পেয়ে দিনাতিপাত করে, যে দেশে বহু মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যায়, যে দেশে বহু শিশু সামান্য কটা খাবারের জন্য ইট ভাঙ্গে। সেদেশে আর যাই হোক, কোটি টাকা অপচয় করে এ দেশপ্রেম মানায় না। (ছবি: প্রথম আলো)


রমনা বটমূলে ভীড়ের মধ্যে পুরুষের ‘ইসে’ খেয়ে কান্নাকাটি করছে তরুণীরা: “এরকম হলে বটমূলে আর আসা যাবে না.........”

অনেক নারীকে ভীড় সামলাতে না পেরে নিরাপদ স্থান খুঁজতে দেখা গেছে। মানুষের তীব্র স্রোতের মধ্যে নারীরা একশ্রেণীর বখাটেদের হাতে হয়রানির শিকার হন। এজন্য অনেক নারী ও তরুণীকে ফটকের ভিড়ে কান্নাকাটি করতেও দেখা গেছে।
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সারমিন আক্তার বাংলামেইলকে বলেন, ‘সব ক্ষেত্রেই নারীর অধিকার নিশ্চিতের কথা বললেও কেউ এ বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামায় না। নারীদের প্রবেশের জন্য এসব অনুষ্ঠানে আলাদা ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। এমন অবস্থা হলে সামনের আচার অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া যাবে না।’
হয়রানির শিকার অপর এক তরুণী বাংলামেইলকে বলেন, ‘লাইনে বখটে যুবকদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তাদের যেনো মা-বোন নেই। মেয়েদেরকে দেখলে তারা আর ঠিক থাকতে পারে না। তারা যে অবস্থা সৃষ্টি করে তাতে এসব অনুষ্ঠানে আর আসা যাবে না।

এখন কান্নাকাটি কর কেন বাপু....???? তোমাকে কে যেতে বলেছিলো ঐখানে..??? এখনতো ছেলেদের একটু ‘ইসে’ সহ্য করতেই হবে......

এখন খেকে পুরুষরা যেন বিয়ে করার আগে খবর নিয়ে নেয় মেয়ে বটমূলে কখন গিয়েছে কি না?? যদি যায় তবে ধরে নিতে হবে মাল নম্বর-২ .

(ছবির সূত্র: http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDE0XzA0XzE0LTEwNS04NjM0Ng%3D%3D)


হে! হে! একদিন হিন্দু ছিলাম রে...................

হিন্দুস্থানে একজন জবরদস্ত ওলীআল্লাহ ছিলেন। যিনি ইন্তিকালের পর আরেকজন বুযূর্গ ব্যক্তি উনাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করেন, “হে ওলীআল্লাহ! আপনি কেমন আছেন?” সেই ওলীআল্লাহ জবাবে বলেন, “আপাততঃ আমি ভালই আছি, কিন্তু আমার উপর দিয়ে এক কঠিন সময় অতিবাহিত হয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। তখন স্বপ্নদ্রষ্টা বুযূর্গ ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি আমাকে আপনার সেই কঠিন অবস্থা সম্পর্কে বলবেন? আল্লাহ’র ওলী জবাব দিলেন অবশ্যই বলবো। কারণ এতে যমীনবাসীর জন্য শক্ত নছীহত রয়েছে।
অতঃপর তিনি বলা শুরু করলেন, আমার ইন্তেকালের পর ফেরেশতারা আমাকে সরাসরি আল্লাহর নিকট পেশ করেন। আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের বললেন, “হে ফেরেশতারা! তোমরা তাকে কেন এখানে নিয়ে এসেছ”? ফেরেশতারা বললেন, হে আমাদের মালিক! আমরা তাকে খাছ বান্দা হিসেবে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য নিয়ে এসেছি। আল্লাহ বললেন, “তাকে এখান থেকে নিয়ে যাও, তার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে। কারণ সে পূজা করেছে।” আল্লাহর ওলী বলেন, একথা শুনে আমি ভয় পেয়ে গেলাম এবং আমার সমস্ত শরীর ভয়ে থর থর করে কাঁপতে লাগল এবং আমি আরজু করলাম, “হে আল্লাহ! আমার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে কেন? আমি তো সবসময়ই আপনার এবং আপনার রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ফরমাবরদার ছিলাম। কখনও ইচ্ছাকৃত কোন নাফরমানি করিনি। আর পূজা করা তো দূরের কথা আমি কখনো মন্দিরের আশ-পাশ দিয়েও হাঁটিনি। তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন, “তুমি সেদিনের কথা স্মরণ কর, যেদিন হিন্দুস্থানে হোলি পূজা হচ্ছিল। তুমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলে, তোমার সামনে-পিছনে, ডানে-বামে, উপরে-নিচে আশে-পাশে সমস্ত গাছ-পালা, তরুলতা, পশু-পাখী, কীট-পতঙ্গ, বাড়ি-ঘর, সবকিছুতেই রং দেয়া হয়েছিল। এমতাবস্থায় তোমার সামনে দিয়ে একটি গর্দভ (গাধা) হেঁটে যাচ্ছিল যাকে রং দেয়া হয়নি। তুমি সে সময় পান চিবাচ্ছিলে, তুমি সেই গর্দভের গায়ে এক চিপটি পানের পিক বা রঙিন রস নিক্ষেপ করে বলেছিলে- হে গর্দভ! তোমাকে তো এই হোলি পূজার দিনে কেউ রং দেয়নি তাই আমি তোমাকে রং দিয়ে দিলাম। এটা কি তোমার পূজা করা হয়নি? তুমি কি জান না যে, আমার হাবীব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে।” সুতরাং তোমার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে।
ঐ অলী তখন আল্লাহ’র দরবারে ক্ষমা চেয়ে বলল: “আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন, আমি বুঝতে পারিনি, আমার অন্তরও এ ব্যাপারে সাড়া দেয়নি”। তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন; “যাও তোমার অন্যান্য আমলের কারণে তোমাকে ক্ষমা করা হলো।

কিতাবে বর্ণিত এ ঘটনা দ্বারা বুঝা যায়, যারা আজ হিন্দু পূজা পহেলা বৈশাখ পালন করবে, বা তার সাথে সংশ্লিষ্ট যে কোন কাজ করবে সেও মজুসী ও হিন্দু হয়ে যাবে। যারা পহেলা বৈশাখ পালন করবে তারা মারা গেলে কখনই তাদের জানাজা পরা ঠিক হবে না, কারণ যে ব্যক্তি তার জানাজায় অংশ নিবে সেও মুরতাদ হয়ে যাবে। পহেলা বৈশাখ পালনকারীকে পশুর মত মাটির নিচে চাপা দিতে হবে। পরকালে তাদেরকে তোলা হবে মজুসী বা হিন্দু হিসেবে।












 



1 টি মন্তব্য:

  1. আচ্ছালা-মু ‘আলাইকুম ওয়ার’হমাতুল্ল-হ
    আপনার এই কথাটির কোন রেফারেন্স দেখছিনা, দয়া করে রেফারেন্স দিলে ভাল হয়। কারণ আমরা আজ পর্য ন্ত একথা কিুরআন হাদীস, ইসলামি কিতাবসমূহের কোথাও পাইনি (যে সময়টুকুতে কুরবানী করা যায়) হাস-মুরগী জবাই করতে নিষেধ করা হয়েছে।

    উত্তরমুছুন